🕊️ ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কি নিশ্চিত? ট্রাম্প কেন ১৪ দিনের সময় নিচ্ছেন — ৫টি বড় কারণের বিশ্লেষণ!

🕊️ ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কি নিশ্চিত?

ইজ়রায়েল চায় অবিলম্বে যুদ্ধ, কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়ে দিয়েছেন— অন্তত দুই সপ্তাহ সময় লাগবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে। এই ঘোষণার পর বিশ্ব রাজনীতিতে শুরু হয়েছে জল্পনার ঝড়। কেন এই সময় নিলেন ট্রাম্প? কূটনৈতিক, সামরিক ও ভূরাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে উঠে এসেছে ৫টি প্রধান কারণ। পাশাপাশি, এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে চিন, রাশিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নও।

১. শেষ সুযোগ কূটনীতির জন্য

হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, “এখনও ইরানের সঙ্গে বোঝাপড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই প্রেসিডেন্ট দু’সপ্তাহ সময় চেয়েছেন সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য।”

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প এই সময়টুকু ইরানকে শেষ বার আলোচনায় বসার জন্য আমন্ত্রণ জানানোর কৌশল হিসেবেই ব্যবহার করছেন। এতে এক দিকে বিশ্বমঞ্চে কূটনীতিবান নেতা হিসেবে তাঁর ভাবমূর্তি জোরদার হয়, অন্য দিকে সম্ভাব্য যুদ্ধ এড়ানোর ক্ষেত্রেও খোলা থাকে দরজা।

২. সামরিক প্রস্তুতির প্রয়োজন

যদি আলোচনায় কিছু না হয়, তখন যুদ্ধ অনিবার্য— সেটা জানেন ট্রাম্পও। সেই প্রস্তুতি সারতেই সময় নিচ্ছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর। পশ্চিম এশিয়ায় আমেরিকার ঘাঁটিগুলিকে নিশানা করার হুমকি আগেই দিয়েছে ইরান। তাই প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করতেই এই সময়চাওয়া।

৩. ইজ়রায়েলের যুদ্ধসীমা ১৪ দিন?

বিশ্লেষণে আরও বলা হচ্ছে, ইজ়রায়েলের একার পক্ষে দীর্ঘ যুদ্ধ সম্ভব নয়। তারা জানে, টানা দু’সপ্তাহ ‘আগ্রাসন’ চালিয়ে কিছুটা দুর্বল করতে পারলে আমেরিকার পক্ষে পরিস্থিতি সহজ হবে। তাই ট্রাম্প হয়তো চাইছেন ইজ়রায়েলকে সময় দিতে, যাতে তারা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী প্রথম ধাক্কাটা সামাল দিতে পারে।

৪. চিনা বিমানের রহস্য

ফ্লাইটরেডার২৪ জানিয়েছে, চিন থেকে একাধিক বোয়িং ৭৪৭ ইরানের দিকে রওনা হয়েছে। যদিও তারা লুক্সেমবার্গগামী বলে দাবি করা হয়েছে, তবু ইউরোপের আকাশে দেখা যায়নি বিমানগুলোকে। ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, ইরানকে চাপ দিতে গিয়ে যদি চিন পাশে দাঁড়িয়ে যায়, তবে যুদ্ধের রূপ বদলে যেতে পারে। ট্রাম্প এই দিকটিও পরখ করছেন।

৫. রাশিয়ার সতর্কবার্তা

রাশিয়ার মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ স্পষ্ট বলেছেন— “ইরানে জমানা পরিবর্তন নিয়ে ভাবনাই সমর্থনযোগ্য নয়। খামেনেইয়ের হত্যার চেষ্টা হলে চরমপন্থা বাড়বে।” মস্কো আমেরিকাকে সরাসরি সতর্ক করেছে যে, ইরানে হামলা চালালে তার ‘পরমাণু পরিণতি’ হতে পারে। তাই ট্রাম্প হয়তো রাশিয়ার প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষাতেও রয়েছেন।

নেতানিয়াহু: “আমেরিকা থাকুক বা না থাকুক, হামলা চলবে”

ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছেন— ইরানের পরমাণুঘাঁটিতে হামলা চালানো হচ্ছে এবং চলবে। এ বিষয়ে কারও অনুমতি বা সাহায্যের প্রয়োজন নেই।

কোভিডের পর নতুন আতঙ্ক! ফুসফুস-কিডনি-মস্তিষ্কে হানা দিতে পারে এই মারণ ছত্রাক