🕊️ ট্রাম্পের হাত ধরেই শান্তির বার্তা? পাকিস্তানের সুপারিশে নোবেল দৌড়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট!

ট্রাম্পের হাত ধরেই শান্তির বার্তা?

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সাম্প্রতিক উত্তেজনা প্রশমনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘কূটনৈতিক হস্তক্ষেপে’ই যুদ্ধবিরতি সম্ভব হয়েছে— এমনটাই দাবি করল পাকিস্তান। শুধু দাবি নয়, ইসলামাবাদ আরও এক ধাপ এগিয়ে সরাসরি ট্রাম্পের নাম নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য সুপারিশ করল।

এই ঘটনার মধ্যে নতুন করে চর্চায় ফিরে এল ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের প্রেক্ষাপট এবং আন্তর্জাতিক মহলের ভূমিকাও।

ইসলামাবাদের তরফে কী বলা হয়েছে?

শনিবার একটি সরকারি বিবৃতিতে পাক প্রশাসন জানিয়েছে, ট্রাম্পের বিচক্ষণ কূটনৈতিক উদ্যোগে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে বড় মাপের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ এড়ানো গিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়,

“তিনি দুই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে দ্রুততর সময়ে মধ্যস্থতা করে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করেছেন। লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণহানি ও বিপর্যয় রোধ হয়েছে। এই প্রচেষ্টার জন্য ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের দাবিদার ট্রাম্প।”

পাক সংবাদমাধ্যম ‘ডন’ সেই বিবৃতিই উদ্ধৃত করে খবর প্রকাশ করে।

ভারতের অবস্থান?

অন্যদিকে, ভারতের তরফে বিষয়টি একেবারেই ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী জানিয়েছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে ৩৫ মিনিটের কথোপকথনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্পষ্ট করে দেন— ভারত-পাক যুদ্ধবিরতিতে কোনও তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ ছিল না। ইসলামাবাদের পক্ষ থেকেই সংঘর্ষ থামানোর প্রস্তাব আসে, আর ভারত তা মেনে নেয়।

সুতরাং পাকিস্তানের দাবিকে সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছে ভারত।

কী ঘটেছিল সংঘাতের সময়?

২২ এপ্রিল, জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন। ভারত অভিযোগ তোলে, এই হামলার পেছনে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলির হাত রয়েছে।

এর জবাবে ৬ মে গভীর রাতে ভারত চালায় ‘অপারেশন সিঁদুর’। পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পাল্টা প্রত্যাঘাতে নামে পাকিস্তানও। প্রায় চার দিন ধরে চলা এই সংঘাতের অবসান হয় ১০ মে— ভারত ও পাকিস্তানের ডিজিএমও পর্যায়ে হটলাইনে হওয়া আলোচনার মাধ্যমে সংঘর্ষবিরতি কার্যকর হয়।

ট্রাম্পের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

ঘটনার ঠিক পরেই ট্রাম্প দাবি করেন,

“আমি দুই দেশের মধ্যে শান্তি ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছি।”

তিনি এ-ও বলেন, তাঁর মধ্যস্থতার ফলেই দুই দেশ সংঘর্ষবিরতিতে পৌঁছেছে। যদিও ভারতের দাবি, এটি একান্তভাবে ভারত-পাক আলোচনার ফসল।

পাকিস্তান বরাবরই ট্রাম্পের দাবি সমর্থন করে এসেছে। আর এখন তারা চায়, এই ‘শান্তির কূটনীতির’ জন্য বিশ্ব যেন ট্রাম্পকে সম্মান দেয় নোবেল শান্তি পুরস্কার দিয়ে।

পশ্চিম এশিয়ায় ট্রাম্পের সম্ভাব্য ভূমিকা

পাক বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইরান-ইজরায়েল সংঘাতে শান্তি ফিরিয়ে আনতেও ট্রাম্প ‘গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা’ নিতে পারেন। আন্তর্জাতিক মঞ্চে তাঁকে ‘শান্তির দূত’ হিসেবেই দেখতে চায় ইসলামাবাদ।

কোভিডের পর নতুন আতঙ্ক! ফুসফুস-কিডনি-মস্তিষ্কে হানা দিতে পারে এই মারণ ছত্রাক