ঘড়ির কাঁটায় রাত কাবার হলেও ঘুম আসে না?
রাত গড়িয়ে সকাল— তবুও চোখে ঘুম নেই? ফোন স্ক্রল করতে করতে কেটে যাচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা? এই অভ্যাস শুধু আপনার স্বাস্থ্যেরই ক্ষতি করছে না, শাস্ত্রমতে রুষ্ট করছেন রাহু, কেতু ও শনি— এই তিন রাগী গ্রহকে। তাই এখনই বদলে ফেলুন রাত জাগার অভ্যাস, নইলে বাড়তে পারে অনিদ্রা, মানসিক ক্লান্তি এমনকি ভাগ্যবিপর্যয়ও!
🌌 শাস্ত্রমতে রাত জাগলে কী ঘটে?
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, রাত হলো বিশ্রাম ও পুনরুজ্জীবনের সময়।
রাত জেগে থাকলে দেহের প্রাকৃতিক চক্র (Circadian Rhythm) নষ্ট হয়, যা মনের ও শরীরের ভারসাম্য নষ্ট করে। এর সঙ্গে, শনি, রাহু ও কেতু— এই তিন গ্রহের প্রভাবেও জীবনে আসে বাধা, কর্মহানি ও উদ্বেগ।
| রাগী গ্রহ | প্রভাব |
|---|---|
| শনি | কর্মক্ষেত্রে বাধা, ক্লান্তি |
| রাহু | বিভ্রান্তি, মানসিক চাপ |
| কেতু | মনোসংযোগ কমে যাওয়া, অনিদ্রা বৃদ্ধি |
📖 আরও জানুন: আত্মবিশ্বাস বাড়াতে মানুন এই সহজ উপায়গুলি
🚫 রাত জেগে এই ৩ কাজ কখনও করবেন না
১. রাতে কিছু খাওয়া:
বেশি রাত পর্যন্ত জেগে থাকলে খিদে পাওয়া স্বাভাবিক, কিন্তু জ্যোতিষশাস্ত্র মতে রাত জেগে কিছু খেলে রাহু-কেতু রুষ্ট হন। তাই রাতের খাবার রাত ১১টার আগে খেয়ে নেওয়া উচিত।
২. অকারণে জেগে থাকা:
যদি কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজ বা পড়াশোনা না থাকে, তবে নিরর্থক জেগে থাকা একেবারেই নয়। এতে শরীর-মন দুইয়েরই ক্ষতি হয়।
৩. অন্যের ঘুম নষ্ট করা:
রাতে ফোন বা মেসেজ করে অন্যের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটানো থেকেও বিরত থাকুন। শাস্ত্রমতে, এতে রুষ্ট হন শনি ও রাহু।
📚 আরও পড়ুন: শরীরচর্চায় ভুলে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয় কীভাবে?
😴 অনিদ্রা দূর করার সহজ টোটকা
| টোটকা | উপকারিতা |
|---|---|
| ঘুমের আগে এক বাটি জল বিছানার পাশে রাখুন | মানসিক শান্তি বাড়ায় |
| বিছানা পরিষ্কার ও গুছিয়ে রাখুন | ঘুমে আরাম দেয় |
| কর্পূরের ধোঁয়া দিন | নেতিবাচক শক্তি দূর করে |
| মাথা উত্তরমুখী না রেখে শোবেন | অনিদ্রা কমে |
| শোয়ার আগে শিবমন্ত্র বা দুর্গামন্ত্র জপ করুন | মানসিক প্রশান্তি আনে |
🩺 ঘুমের স্বাস্থ্য বিষয়ক বৈজ্ঞানিক দিক জানতে পারেন World Health Organization (WHO)–এর Sleep and Health সংক্রান্ত গাইডলাইন থেকে।
🌙 শেষকথা:
ঘুম শরীরের পুনর্গঠনের সময়। জ্যোতিষশাস্ত্র যেমন বলে, রাত জাগা ভাগ্যের শত্রু— তেমনি চিকিৎসাবিজ্ঞানেরও মত একই। তাই আজ থেকেই নিজের ঘুমের সময়কে গুরুত্ব দিন, বন্ধ করুন অকারণ রাতজাগা।
নিজের স্বাস্থ্য, মন ও ভাগ্য— তিনটিই তখন আপনার পক্ষে কাজ করবে। 🌿

