🔥 হাজি পির দখলের পরিকল্পনায় উত্তপ্ত উপত্যকা! পুতিনের পথেই কি এগোবে ভারত?

হাজি পির দখলের পরিকল্পনায় উত্তপ্ত উপত্যকা!

পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু যেন আগুন ঢেলে দিয়েছে গোটা দেশে। বদলার হাওয়া উঠতেই ফের সামনে এসেছে হাজি পির গিরিপথ পুনর্দখলের দাবি। সাবেক সেনা কর্মকর্তারা এবার রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখলের ছক টেনে বলছেন, সময় এসেছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের এই কৌশলগত পাহাড় দখলে নেওয়ার।

হাজি পির, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২,৬৩৭ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই গিরিপথ, দীর্ঘদিন ধরেই উপত্যকায় জঙ্গি অনুপ্রবেশের প্রধান রাস্তাগুলির একটি। এটি পুঞ্চ ও উরির দূরত্ব অনেকটাই কমিয়ে দেয়, আবার পাক সেনাদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ লিংক রওয়ালকোটের সঙ্গে। তাই একে হাতছাড়া করলে পাকিস্তানের জঙ্গি কার্যকলাপে বড়সড় ধাক্কা লাগবে বলেই মত বিশ্লেষকদের।

এত উত্তেজনার মধ্যে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের পুরনো মন্তব্যও নতুন করে আলোচনায় এসেছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তিনি আখনুরে বলেছিলেন, ‘‘৬০ বছর আগে ভারতীয় সেনা তেরঙা তুলেছিল হাজি পিরে। সেটা যদি ফিরিয়ে না দেওয়া হত, আজ উপত্যকার চেহারাই বদলে যেত।’’ তিন মাসের মাথায় পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড যেন সেই আক্ষেপকে আরও বাস্তব করে তুলেছে।

ইতিহাস বলছে, ১৯৬৫ সালের ভারত-পাক যুদ্ধে ‘অপারেশন বক্সী’-র মাধ্যমে হাজি পির পুনর্দখল করেছিল ভারতীয় সেনা। মেজর রঞ্জিত সিংহ দয়াল রাতভর বৃষ্টি ভেঙে সেনাদের নিয়ে গিরিপথে হানা দেন এবং ২৮ আগস্ট এলাকা নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে তাসখন্দ চুক্তিতে সেই সাফল্য হাতছাড়া হয়। এরপরও ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পরও, সুযোগ থাকার পর, শিমলা চুক্তিতে ফের প্রসঙ্গ উঠেনি।

এখন প্রশ্ন উঠছে — এবার কি নরেন্দ্র মোদী সরকার সেই ইতিহাস বদলাবে?

বিশেষজ্ঞদের মতে, পুতিনের ক্রিমিয়া দখলের মতো সাহসী পদক্ষেপ যদি ভারত নেয়, তবে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সন্ত্রাসের নাড়ি কেটে দেওয়া সম্ভব। ক্রিমিয়ার মতো হাজি পিরও একটি কৌশলগত চাবিকাঠি — একে দখলে রাখলে পাকিস্তানের অনুপ্রবেশ ঠেকানো অনেক সহজ হবে।

তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বহু বিষয় ভাবতে হবে দিল্লিকে। কারণ, হাজি পির দখল মানেই সরাসরি সীমান্তে উত্তেজনার বিস্ফোরণ। আবার এও ঠিক, এ সুযোগ কাজে লাগানো না গেলে হয়তো উপত্যকায় জঙ্গি সন্ত্রাসের ইতিহাস আরও দীর্ঘ হবে।

সাবেক সেনা অফিসারদের আহ্বান স্পষ্ট — ‘‘এখনই সময়! ইতিহাসের পুরনো ভুল শুধরে নেওয়ার এটাই সেরা সুযোগ!’’

এখন সব তাকিয়ে রয়েছে দিল্লির দিকে। নরেন্দ্র মোদী কি ইতিহাসের গতিপথ পাল্টাবেন? না কি আগের মতোই কূটনৈতিক ব্যালান্সেই থেকে যাবে ভারত?

সময়ই দেবে সেই উত্তরের ইঙ্গিত।

একটিমাত্র ছবিতে অভিনয়! কেন অভিনয় ছাড়লেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ে মেঘা?