কাজলের বয়স, উচ্চতা। ওজন, ক্যারিয়ার, আয়, নেট ওয়ার্থ এবং প্রত্যাশা
কাজল একজন মন্ত্রমুগ্ধ বলিউড অভিনেত্রী সত্যিকার অর্থেই বহু প্রতিভাবান ব্যক্তিত্ব। আজ এই গ্ল্যামারাস অভিনেত্রী 49 বছর বয়সী হয়েছেন। তিনি কেবল তার ব্যতিক্রমী অভিনয় দক্ষতার জন্যই পরিচিত নন, তিনি একজন দক্ষ নৃত্যশিল্পী, একজন সফল ব্যবসায়ী এবং একজন ফিটনেস উত্সাহীও। 49 বছর বয়সে, কাজল তার চিত্তাকর্ষক পারফরম্যান্স এবং ক্যারিশম্যাটিক উপস্থিতির সাথে ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পে জ্বলজ্বল করে চলেছেন। সম্প্রতি, কাজল একটি হৃদয়গ্রাহী থ্রিলার নাটক দ্য ট্রেইল এবং লাস্ট স্টোরিজ 2 নিয়ে আসছেন। কাজল এবং রানী মুখার্জিকে বাড়িতে দুর্গাপূজায় একসঙ্গে দেখা গেছে।
কাজল অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে, যার পরিমাণ $30 মিলিয়ন (208 কোটি টাকা) । তার বিজয়ের যাত্রা সত্যিই চিত্তাকর্ষক, বিশেষ করে বিশ্বজুড়ে দুঃসাহসিক ভ্রমণের দ্বারা আকৃতির তার অপ্রচলিত শিক্ষা বিবেচনা করে। এই চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, তিনি তার স্থিতিস্থাপকতা এবং সৃজনশীলতা প্রদর্শন করে চলচ্চিত্র শিল্পে একটি অবিস্মরণীয় চিহ্ন রেখে যেতে সক্ষম হয়েছেন।
কাজল তার অসাধারণ অন-স্ক্রিন পারফরম্যান্সের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী অগণিত ভক্তদের হৃদয়ে স্থায়ী প্রভাব ফেলেছেন। একজন অত্যন্ত প্রতিভাবান এবং বহুমুখী অভিনেত্রী হিসাবে, তিনি দক্ষতার সাথে বিভিন্ন চরিত্রকে জীবন্ত করে তোলেন, তার আবেগপূর্ণ এবং চিত্তাকর্ষক চিত্রায়নের মাধ্যমে জ্ঞানী দর্শকদের মুগ্ধ করে। সে একটি হৃদয়গ্রাহী রোমান্টিক চরিত্রে চিত্রিত হোক বা একটি শক্তিশালী এবং প্রভাবশালী চরিত্রের প্রতিমূর্তি হোক না কেন, কাজলের অভিনয় ক্ষমতা তার প্রতিটি প্রকল্পে সত্যই উজ্জ্বল।
তার অভিনয় ক্যারিয়ারের বাইরেও, কাজল তার উদ্যোক্তা মনোভাব গ্রহণ করেছেন এবং ব্যবসায়িক জগতে প্রবেশ করেছেন। তার বিচক্ষণ ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত এবং লোভনীয় অনুমোদন শুধুমাত্র তার চিত্তাকর্ষক নেট ওয়ার্থে যোগ করেনি বরং একজন সফল ব্যবসায়ী নারী হিসেবে তার বুদ্ধিমত্তা প্রদর্শন করেছে।
তার পেশাদার কৃতিত্বের পাশাপাশি, ফিটনেসের প্রতি কাজলের নিবেদন তার প্রাণবন্ত এবং তারুণ্যময় চেহারায় স্পষ্ট। তিনি অন্যদের জন্য একটি অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করেন, এটি প্রদর্শন করে যে একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রায় নেতৃত্ব দেওয়া বয়সকে অতিক্রম করতে পারে এবং ফলস্বরূপ একটি উজ্জ্বল এবং উদ্যমী আচরণ করতে পারে। শারীরিক সুস্থতার প্রতি তার অঙ্গীকারের মাধ্যমে, কাজল অন্যদেরকে তাদের স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিতে এবং এই ধারণাটিকে আলিঙ্গন করতে উৎসাহিত করে যে বয়স কখনই নিজের সেরা আত্ম অর্জনে বাধা হয়ে দাঁড়ানো উচিত নয়।
বিনোদন ক্ষেত্রে কাজলের কর্মজীবন তার দক্ষতা, চ্যালেঞ্জগুলি অতিক্রম করার ক্ষমতা এবং অভিযোজনযোগ্যতা প্রদর্শন করে। তার চিত্তাকর্ষক কৃতিত্ব এবং তার নৈপুণ্যের প্রতি অটল উত্সর্গ তাকে বলিউডে একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে, যা তার ভক্তদের এবং সমগ্র শিল্পের উপর স্থায়ী প্রভাব ফেলেছে।
কাজল কে?
কাজল, যার পুরো নাম কাজল মুখার্জি দেবগন, একজন প্রশংসিত ভারতীয় অভিনেত্রী যিনি বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছেন। 5 আগস্ট, 1974 সালে ভারতের মুম্বাইতে জন্মগ্রহণ করেন, তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পে গভীরভাবে প্রোথিত একটি পরিবার থেকে এসেছেন। কাজল অভিনেত্রী তনুজা সমর্থ এবং চলচ্চিত্র পরিচালক শমু মুখার্জির মেয়ে। তিনি প্রখ্যাত অভিনেত্রী নূতনের ভাগ্নি এবং সমসাময়িক অভিনেত্রী রানী মুখার্জির চাচাতো ভাই।
কাজল 1992 সালে “বেখুদি” চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন কিন্তু তার দ্বিতীয় চলচ্চিত্র “বাজিগর” (1993) এর মাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি এবং সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করেন, যেখানে তিনি শাহরুখ খানের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন। ছবিটি একটি বাণিজ্যিক সাফল্য ছিল এবং শাহরুখ খানের সাথে কাজলের সফল অন-স্ক্রিন জুটির সূচনা হয়েছিল, যার সাথে তিনি বেশ কয়েকটি স্মরণীয় চলচ্চিত্র প্রদান করেছিলেন।
কাজলের অভিনয় জীবনের একটি সংজ্ঞায়িত দিক হল তার অনায়াসে বিস্তৃত চরিত্রগুলিকে চিত্রিত করার ক্ষমতা। তার অভিব্যক্তিপূর্ণ চোখ, প্রাণবন্ত শক্তি এবং প্রাকৃতিক ক্যারিশমার জন্য পরিচিত, তিনি সমান সূক্ষ্মতার সাথে তীব্র এবং হালকা-হৃদয় উভয় ভূমিকাই চিত্রিত করেছেন। “দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে” (1995) এর মতো চলচ্চিত্রে একজন উচ্ছৃঙ্খল এবং স্বাধীন মহিলার চিত্রিত হোক বা “কুছ কুছ হোতা হ্যায়” (1998) তে মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী যুবতীর চরিত্রে তার অভিনয় তার বহুমুখী প্রতিভা প্রদর্শন করেছে।
কাজল আদিত্য চোপড়া, করণ জোহর এবং যশ চোপড়া সহ শিল্পের সবচেয়ে বিখ্যাত পরিচালকদের সাথে সহযোগিতা করেছেন। শাহরুখ খান, অজয় দেবগন (তার বাস্তব জীবনের স্বামী), এবং আমির খানের মতো অভিনেতাদের সাথে তার অন-স্ক্রিন রসায়ন দর্শক এবং সমালোচকদের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। কাজলের অভিনয় তার অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ছয়টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, যা তাকে ভারতীয় চলচ্চিত্রের সবচেয়ে সজ্জিত অভিনেত্রীদের একজন করে তুলেছে।
“দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে” (1995) ছবিতে কাজলের সবচেয়ে আইকনিক ভূমিকাগুলির মধ্যে একটি এসেছিল, যেখানে তিনি উত্সাহী এবং স্বাধীন সিমরান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ছবিটির অসামান্য সাফল্য শুধু কাজলকে একজন নেতৃস্থানীয় অভিনেত্রী হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত করেনি বরং বলিউডের সেরা নায়িকা হিসেবে তার মর্যাদাও বাড়িয়ে দিয়েছে। শাহরুখ খানের সাথে তার রসায়ন ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছিল, এবং ছবিটি ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে দীর্ঘতম চলমান চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে একটি হয়ে ওঠে।
ভারতীয় সিনেমায় কাজলের অবদান বাণিজ্যিক সাফল্যের বাইরেও প্রসারিত। তিনি চলচ্চিত্রগুলির একটি অংশ ছিলেন যা সামাজিক সমস্যাগুলি মোকাবেলা করে এবং সামাজিক নিয়মকে চ্যালেঞ্জ করে। “গুপ্ত: দ্য হিডেন ট্রুথ” (1997) এবং “দুশমান” (1998) এর মতো চলচ্চিত্রগুলিতে, তিনি প্রতিশোধ এবং সহিংসতার থিম নিয়ে জটিল চরিত্রগুলি চিত্রিত করেছিলেন। এই চলচ্চিত্রগুলিতে তার অভিনয়গুলি তার গাঢ় এবং আরও তীব্র ভূমিকার মধ্যে অনুসন্ধান করার ক্ষমতা প্রদর্শন করে, একটি বহুমুখী অভিনেত্রী হিসাবে তার খ্যাতি আরও মজবুত করে।
অভিনয় থেকে বিরতি নেওয়ার পর, কাজল 2006 সালে “ফানা” চলচ্চিত্রের মাধ্যমে একটি সফল প্রত্যাবর্তন করেন। প্রেমে একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মহিলার চরিত্রে অভিনয় সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছিল এবং বলিউডের সেরা অভিনেত্রীদের একজন হিসাবে তার অবস্থানকে পুনরুদ্ধার করে। তিনি “মাই নেম ইজ খান” (2010) এবং “দিলওয়ালে” (2015) এর মতো চলচ্চিত্রে প্রভাবশালী অভিনয় চালিয়ে যান।
কাজলের বয়স, উচ্চতা, ওজন, ক্যারিয়ার, মোট মূল্য, সম্পর্ক এবং পরিবার:
| নামের প্রথম অংশ | কাজল |
| নামের শেষাংশ | দেবগন |
| জন্ম তারিখ | 1974 সালের 5 আগস্ট |
| জন্মস্থান | মুম্বাই |
| উচ্চতা | 1.66 মি |
| পেশা | অভিনেত্রী |
| বয়স | 49 বছর বয়সী |
| রাশিচক্র সাইন | ক্যান্সার |
| দেশ | ভারত |
| 2023 সালে আনুমানিক নেট ওয়ার্থ | $30 মিলিয়ন বা রুপি 251 কোটি INR |
| আনুমানিক বার্ষিক বেতন | 25 কোটি |
কাজলের কেরিয়ার কী?
বিনোদন শিল্পে কাজলের কর্মজীবন তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বিস্তৃত এবং বিভিন্ন ভূমিকা, সমালোচকদের প্রশংসা এবং বাণিজ্যিক সাফল্যের দ্বারা চিহ্নিত। তিনি 1992 সালে “বেখুদি” চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন, তবে এটি তার দ্বিতীয় চলচ্চিত্র “বাজিগর” (1993), যা তাকে স্টারডমের দিকে প্ররোচিত করেছিল। তারপর থেকে, তিনি বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, ভারতীয় চলচ্চিত্রে একটি অমার্জনীয় চিহ্ন রেখে গেছেন।
কাজলের প্রথম দিকের চলচ্চিত্রগুলি তার প্রতিভা এবং পর্দায় উপস্থিতি প্রদর্শন করেছিল। “ইয়ে দিল্লাগি” (1994) এবং “করণ অর্জুন” (1995) এর মতো চলচ্চিত্রে তার অভিনয় একজন প্রতিশ্রুতিশীল অভিনেত্রী হিসেবে তার অবস্থানকে দৃঢ় করেছে। যাইহোক, “দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে” (1995) তে সিমরানের চরিত্রে অভিনয় তাকে সুপারস্টারডমের দিকে নিয়ে যায়। আদিত্য চোপড়া পরিচালিত এবং শাহরুখ খান অভিনীত ছবিটি একটি আইকনিক রোমান্টিক ড্রামা হয়ে ওঠে এবং ভারতীয় সিনেমার অন্যতম সেরা ক্লাসিক হিসেবে বিবেচিত হয়। দৃঢ়-ইচ্ছাপূর্ণ অথচ দুর্বল সিমরানের ভূমিকায় কাজলের অভিনয় ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে এবং সেরা অভিনেত্রীর জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেছে।
“দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে”-এর সাফল্যের পর কাজল বিভিন্ন চরিত্রে স্মরণীয় অভিনয় করতে থাকেন। “গুপ্ত: দ্য হিডেন ট্রুথ” (1997) এবং “দুশমান” (1998) এর মতো চলচ্চিত্রগুলিতে, তিনি জটিল এবং চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করে তার বহুমুখীতা প্রদর্শন করেছিলেন। “দুশমন”-এ প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য একজন মহিলার চরিত্রে অভিনয় তার সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করে এবং সেরা অভিনেত্রীর জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন লাভ করে।
কাজল একটি অসফল রোমান্টিক ড্রামা ফিল্ম বেখুদি (1992) তে অভিনয় করেছেন, যে সময়ে তিনি উপস্থিত ছিলেন। পড়াশোনার চেয়ে অভিনয়ের দিকেই বেশি মনোযোগ দেন তিনি। প্রথম বাণিজ্যিকভাবে সফল চলচ্চিত্র ছিল থ্রিলার বাজিগর (1993)। এর পরে, তিনি অনেক রোমান্টিক নাটকও জিতেছিলেন যেগুলিতে তিনি প্রচুর সাফল্য পেয়েছিলেন, সেই ছবিগুলি, যেমন শাহরুখ খানের সাথে দিলওয়ালে দুলহানি লে যায়েঙ্গে (1995), সালমান খানের সাথে পেয়ার কিয়া থেকে ডরনা কেয়া (1998), পেয়ার তো হোনা হি। থা (1998), কুছ কুছ হোতা হ্যায় (1998) এবং কাভি খুশি কাভি গম (2001)।
পুরস্কার
কাজল তার বলিউড ক্যারিয়ারে নিজেকে একজন উজ্জ্বল এবং চমৎকার অভিনেত্রী হিসেবে প্রমাণ করেছেন । অভিনেত্রীর ছয়টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার এবং 12টি ফিল্মফেয়ার মনোনয়ন রয়েছে৷ এছাড়াও, তিনি সেরা অভিনেত্রীর জন্য পাঁচটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেছেন । 2011 সালে, ভারত সরকার তাকে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ পুরস্কার পদ্মশ্রী দিয়ে সম্মানিত করে।
কাজল নেট ওয়ার্থ
সফল বলিউড অভিনেত্রীর মোট নেট মূল্য 30 মিলিয়ন USD, ভারতীয় মুদ্রায় 2,40,21,58,000.00 ভারতীয় রুপি। রিপোর্ট অনুযায়ী, তার উপার্জনের বেশিরভাগই আসে ব্র্যান্ড এন্ডোর্সমেন্ট থেকে। কাজল ভারতের একজন পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেত্রী। আয়ের সর্বাধিক পরিমাণ হল সিনেমা, ব্র্যান্ড অনুমোদন, স্টেজ শো এবং তার নিজের মেকআপ ব্র্যান্ড Kay থেকে।
| নাম | কাজল |
| ভারতীয় টাকায় মোট মূল্য | 251 কোটি INR |
| পেশা | অভিনেত্রী |
| মাসিক আয় ও বেতন | 2 কোটি + |
| বাত্সরিক আয় | 25 কোটি + |
| নেট ওয়ার্থ (2023) | $30 মিলিয়ন |
কাজল প্রেমের গল্প
কাজল অভিনেতা অজয় দেবগনের সাথে ডেটিং করছিলেন যেমন তিনি চলচ্চিত্রে কাজ করছিলেন যখন তিনি 1994 সালে গুন্দারাজের শুটিংয়ের সময় দুজন প্রেমে পড়েছিলেন। দুজনের ভিন্ন রঙের কারণে মিডিয়ার কেউ কেউ তাদের নিয়ে তুমুল সমালোচনাও করছিলেন। তাদের সম্পর্কের বিষয়ে দেবগন জানান, কিম বলেন, ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি বলার জন্য একে অপরকে কখনো ভালোবাসিনি, আমাদের মধ্যে কোনো প্রস্তাবও ছিল না।
24 ফেব্রুয়ারী 1999 এ দুজনের বিয়ে হয় এবং তারা দুজনেই মহারাষ্ট্রীয় পদ্ধতিতে বিয়ে করেন। বিয়ের পর দেবগনের বাড়িতে থাকতে শুরু করেন কাজল।
সম্পদ
কাজল দেবগন মুম্বাইয়ের সবচেয়ে বিলাসবহুল এবং ক্লাসিক বাড়ি কিনেছেন। কাজলের ভবনের নাম ‘শিবশক্তি’। এটি রিপোর্ট করে যে বাড়িটি স্থাপত্যের একটি মাস্টারপিস হিসাবে স্বীকৃত। কাজল তার স্বামী অজয় দেবগনের সাথে একটি বিলাসবহুল অডি Q7ও কিনেছেন বলে জানা গেছে তাকে উপহার দিয়েছেন।
কাজল পরিবার
কাজল ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পের গভীর শিকড় সহ একটি মর্যাদাপূর্ণ এবং বিশিষ্ট পরিবার থেকে এসেছেন। তিনি ফিল্মি ব্যাকগ্রাউন্ডের পিতামাতার কাছে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তার মা, তনুজা সমর্থ, একজন বিখ্যাত অভিনেত্রী ছিলেন এবং তার বাবা, শমু মুখার্জি, একজন চলচ্চিত্র পরিচালক এবং প্রযোজক। কাজলের মামা শোভনা সমর্থও তার সময়ে একজন বিশিষ্ট অভিনেত্রী ছিলেন এবং তার মামা জয় মুখার্জি এবং দেব মুখার্জিও অভিনেতা ছিলেন।
কাজলের বোন তানিশা মুখার্জিও একজন অভিনেত্রী এবং বেশ কয়েকটি বলিউড ও আঞ্চলিক ছবিতে অভিনয় করেছেন। তানিশা 2003 সালে “Sssshhh…” ফিল্ম দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে তার আত্মপ্রকাশ করেন এবং তারপর থেকে তিনি বিভিন্ন চলচ্চিত্র এবং রিয়েলিটি শো-এর একটি অংশ ছিলেন।
ব্যক্তিগত ফ্রন্টে, কাজল 1999 সালে অভিনেতা অজয় দেবগনের সাথে গাঁটছড়া বাঁধেন। অজয় দেবগন, একজন সফল অভিনেতা, এবং নিজে চলচ্চিত্র নির্মাতা, বলিউডে একটি অসাধারণ ক্যারিয়ার করেছেন। এই দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে, কন্যা নাইসা এবং পুত্র যুগ, যারা মাঝে মাঝে তাদের পিতামাতার সাথে প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন।
কাজলের চাচাতো বোন, রানী মুখার্জি, ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পের আরেকজন বিশিষ্ট অভিনেত্রী। রানি “কুছ কুছ হোতা হ্যায়” (1998), “ব্ল্যাক” (2005), এবং “মারদানি” (2014) এর মতো চলচ্চিত্রে বেশ কিছু স্মরণীয় অভিনয় করেছেন।
ভারতীয় চলচ্চিত্রে মুখার্জি-সমর্থ পরিবারের উল্লেখযোগ্য প্রভাব রয়েছে। কাজলের প্রপিতামহ, রতন বাই ছিলেন ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পের একজন অগ্রণী ব্যক্তিত্ব, যিনি প্রথম ভারতীয় টকি চলচ্চিত্র “আলম আরা” (1931) এ অভিনয় করেছিলেন। কাজলের মামা-মামা, অশোক কুমার ছিলেন তার সময়ের একজন নেতৃস্থানীয় অভিনেতা এবং কয়েক দশক ধরে বিস্তৃত একটি দুর্দান্ত ক্যারিয়ার ছিল।
কাজলকে জন্মদিনের উষ্ণ শুভেচ্ছা জানাই। কামনা করি সে তার সব স্বপ্ন পূরণ করুক!!!
আরও পড়ুন: 2023 সালে বলিউড ডিভা দীপিকা পাড়ুকোনের মোট মূল্য, বয়স, উচ্চতা, ক্যারিয়ার, আয়, বিনিয়োগ, বায়ো
FAQs
কাজলের বয়স কত?
বর্তমানে, কাজলের বয়স ৪৯ বছর (৫ই আগস্ট ১৯৭৪)।
কাজলের স্বামীর নাম কী?
অজয় দেবগনকে বিয়ে করেছিলেন কাজল।
