যশ থেকে দূরে নুসরত!
টলিপাড়ায় গুঞ্জনের ঝড়—নুসরত জাহান ও যশ দাশগুপ্তের মধ্যে কি সত্যিই দূরত্ব তৈরি হয়েছে? সম্পর্কের টানাপোড়েনের জল্পনা যেন এক নতুন মোড় নিল যখন অভিনেত্রী নিজেই ভাগ করে নিলেন ‘শ্রীমদ্ভগবদ্ গীতা’র একটি গভীর অর্থবোধক শ্লোক। প্রশ্ন উঠছে, ব্যক্তিগত জীবনের এই টানাপোড়েনের মাঝেই কি নুসরত খুঁজছেন এক নতুন ধরনের স্বাধীনতা?
সম্প্রতি দেখা গেছে, ইনস্টাগ্রামে একে অপরকে ‘আনফলো’ করেছেন নুসরত ও যশ। তাঁদের অনুরাগীদের নজর এড়ায়নি এই পরিবর্তন। দু’জনের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টেও আর দেখা যাচ্ছে না একে অপরের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তের ছবি। গুজবের আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছে যশের একটি পোস্ট, যেখানে তিনি লেখেন, “দিন শেষে তোমার পাশে থাকবে কেবল তুমিই।”
এই প্রসঙ্গে আরও নজর কাড়ে নুসরতের একটি নতুন ইনস্টাগ্রাম পোস্ট, যেখানে তিনি শেয়ার করেন “সর্বধর্মান পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ” — অর্থাৎ “সব ধর্ম ত্যাগ করে শুধু আমার শরণাপন্ন হও” — যা গীতায় শ্রীকৃষ্ণ বলেছিলেন অর্জুনকে। এই শ্লোকের ইংরেজি ভাবানুবাদে নুসরত লেখেন, “Surrender where you have no control, and you will find peace and freedom.” (যেখানে তোমার হাত নেই, সেখানে সমর্পণ করো— তাহলেই শান্তি ও স্বাধীনতা আসবে)। এই লেখার সঙ্গে দার্জিলিংয়ে ঈশান ও নিজের পরিবারের সঙ্গে কাটানো ছুটি থেকে একগুচ্ছ ছবিও শেয়ার করেছেন তিনি।
অন্যদিকে, যশ এখন বিদেশ সফরে নিজের প্রথম পক্ষের সন্তানের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। দু’জনের এই আলাদা ছুটি এবং একে অপরের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে ধীরে ধীরে সরে যাওয়া— সব মিলিয়ে গুঞ্জনের মাত্রা এখন তুঙ্গে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই নিজেদের অভিনীত ছবি ‘আড়ি’-র প্রচারে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল এই জুটিকে। তাঁদের কেমিস্ট্রি তখনও বেশ জমাট ছিল, এমনকি স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক নিয়েও তাঁরা খোলামেলা টিপস দিয়েছিলেন। ফলে সম্পর্ক ভাঙনের এই গুঞ্জন অনেকের কাছেই বিস্ময়কর।
তবে নুসরতের ‘গীতা’ অবলম্বনে পোস্ট কি আত্ম-অনুসন্ধানের ইঙ্গিত? নাকি নতুন পথচলার প্রস্তুতি? তিনি সরাসরি কিছু না বললেও, তাঁর শ্লোকচয়ন ও লেখার ভঙ্গিমা যেন একরকম ‘নতুন করে বাঁচার’ ইচ্ছেরই ইঙ্গিত দেয়।
সম্পর্ক জটিল হতেই পারে, কিন্তু যখন একজন নারী নিজের মধ্যে শান্তি ও স্বাধীনতা খুঁজে নিতে চায়— সেটিই হয়তো তাঁর সত্যিকারের যাত্রা। নুসরতের এই আভাস, হয়তো সেই যাত্রার শুরু।
আপনার জিমেল আইডি কি অন্য কেউ ব্যবহার করছে? সতর্ক না হলে বিপদ ডেকে আনতে পারেন!

