ফিটনেসের রহস্য উন্মোচন!
বলিউডের অন্যতম ফিট অভিনেতা আদিত্য রায় কপূরের বয়স যখন ৪০—তখন তাঁর শরীর, এনার্জি ও উপস্থিতি দেখে তা অনুমান করাই কঠিন। শুরু থেকেই ফিটনেসে একনিষ্ঠ আদিত্য শুধু জিমে ঘাম ঝরিয়ে নয়, বরং কঠোর ডায়েট মেনে চলেই তৈরি করেছেন নিজের সুঠাম গঠন। তাঁর জন্মদিনে সেই বিশেষ খাদ্যাভ্যাস নিয়েই নতুন করে আগ্রহ বেড়েছে অনুরাগীদের।
১০ বছর অপরিবর্তিত প্রাতরাশ
আদিত্যের দিনের শুরুটা প্রায় এক দশক ধরে একই রকম। তিনি প্রাতরাশে খান—
- এক বাটি ওটস
- সঙ্গে ডিম (অনেক সময় ফলও)
অভিনেতা জানিয়েছেন, একই ব্রেকফাস্ট কখনও বিরক্ত লাগায় না তাঁর, বরং শরীরকে সঠিক জ্বালানি দিতে নির্দিষ্ট রুটিন মেনে চলাই তাঁর কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
প্রোটিননির্ভর খাবার— শরীর গঠনের মূল চাবিকাঠি
একটি সাক্ষাৎকারে আদিত্য স্বীকার করেছেন, তাঁর ডায়েটের সবচেয়ে বড় অংশটাই প্রোটিন। এর কারণও জানিয়েছেন—যথেষ্ট প্রোটিন না পেলে মাংসপেশি তৈরি ও ধরে রাখা অসম্ভব। তাই দিনের সব খাবারেই তিনি প্রোটিন রাখার চেষ্টা করেন।
দুপুরের আহার— ভারতীয় খাবারেই ভরসা
আদিত্য ভারতীয় ডায়েটেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। দুপুরে তাঁর প্লেটে থাকে—
- তিনটি রুটি
- হালকা মশলার সব্জি
- মুরগির মাংসের ঝোল
ভারতীয় মসলা, রুটি আর ঘরোয়া রান্না—এই ত্রয়ী তাঁকে দিনের বেলায় শক্তি জোগাতে সাহায্য করে।
সন্ধ্যায় অতিরিক্ত প্রোটিন
সারাদিনের প্রোটিনের ঘাটতি পূরণে সন্ধ্যায় তিনি খান ৬টি ডিম। কখনও সেদ্ধ, কখনও অমলেট—তবে নিয়ম ভাঙেন না।
এই অভ্যাস তাঁর মাংসপেশিকে শক্ত রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
রাতে হালকা খাবারেই ভরসা
রাতের খাবারে কোনওভাবেই ভারী বা তেলমশলাদার পদ পছন্দ করেন না আদিত্য। তাঁর ডিনার প্লেটে থাকে—
- কম তেলের মাংস
- পর্যাপ্ত সব্জি
তিনি বিশেষ ভাবে পছন্দ করেন—
- আম
- চিংড়ি
- ঢ্যাঁড়শ
তবে পরিমিত মাত্রায়ই খান।
চিট ডে— সপ্তাহে একদিন মন ভরানো ভোজ
কঠোর ডায়েটের মধ্যেও আদিত্য নিজের ইচ্ছাগুলোকে বাঁচিয়ে রাখেন ‘চিট ডে’-তে। সে দিন তিনি মন খুলে খান—
- রুটি দিয়ে পাঁঠার মাংস
- বিরিয়ানি
- মিষ্টি
মিষ্টির মধ্যে তাঁর প্রিয়—
- গাজরের হালুয়া
- অ্যাপল পাই
- প্যান কেক
এমনকি আইসক্রিমও বাদ যায় না।
ফিটনেসের প্রতি অঙ্গীকার
জিমে নিয়মিত ব্যায়াম, রুটিন মেনে চলা, ঝাল-তেল-চিনি নিয়ন্ত্রণ—এই তিনেই আদিত্যের ফিটনেসের মূল মন্ত্র। বয়স বাড়লেও শরীরচর্চা, মনোসংযম ও খাবারের শৃঙ্খলাকে জীবনের অংশ করে নেওয়ার জন্যই আজও বলিউডে ‘ফিট হাঙ্ক’ হিসেবে পরিচিত তিনি।

