অফিসের আগে ‘৫টা-৯টা’!
সারা দিনের দৌড়ঝাঁপ, অফিসের চাপ, খাওয়ার তাড়া— জীবনে যেন একটা মিনিটও নিজের জন্য মেলে না। এই ব্যস্ততার মাঝেই জন্ম নিয়েছে এক নতুন জীবনদর্শন— ‘৯টা-৫টার আগে ৫টা-৯টা’। অর্থাৎ, অফিসে ঢোকার আগে ভোরের সময়টুকু নিজেকেই উৎসর্গ করা।
শুধু অফিসের পর ক্লান্ত হয়ে নয়, অফিসের আগে একান্ত নিজের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলিই হতে পারে জীবনের সেরা উপহার। নতুন এই জীবনযাত্রার ধরন, সুবিধা আর কিছু সাবধানতার কথাই এখন জানাব আপনাকে।
‘৫টা-৯টা’ ট্রেন্ড কী বলছে?
খুব সহজ ভাষায় বললে, ভোর ৫টায় ঘুম থেকে উঠে ৯টা পর্যন্ত শুধুমাত্র নিজের শরীর, মন এবং আত্মার খেয়াল রাখা। তারপর তৈরি হয়ে অফিসে রওনা দেওয়া। এই সময়টিতে যা করা যেতে পারে:
- স্বাস্থ্যকর জলখাবার বানিয়ে খাওয়া
- শরীরচর্চা বা ব্যায়াম
- ধ্যান বা মেডিটেশন
- বই পড়া বা লেখালেখি
- প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটানো
- পেশার বাইরে জমে থাকা কাজ শেষ করা
- শখের চর্চা করা
এই চার ঘণ্টা মানেই— নিজেকে বোঝা, ভালোবাসা আর নতুন দিনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা।
কেন ‘৫টা-৯টা’ আপনার জীবনে জরুরি হতে পারে?
নিজের জন্য সময় বের করা মানেই মানসিক শান্তি আর শারীরিক সতেজতা।
ভোরের নরম আলোয় যখন চারপাশ ঘুমন্ত, তখন নিজের ছোট ছোট আনন্দগুলো আপনাকে সারাদিন প্রাণবন্ত রাখবে। এই অভ্যাস বাড়াবে আত্মবিশ্বাস, মন থাকবে ফুরফুরে, অফিসের চাপও সামলানো হবে সহজে। সূর্যোদয় দেখা, নিঃশব্দে বই পড়া বা প্রিয় কাজের মাঝে হারিয়ে যাওয়া— এগুলোই হয়তো জীবনের হারিয়ে যাওয়া ছন্দ ফিরিয়ে আনবে।
তবে সবাই কি পারবে এই ছন্দে হাঁটতে?
কিন্তু বাস্তবতা বলছে, এই রুটিন সকলের জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন—
পর্যাপ্ত ঘুম ছাড়া শরীর ও মন দুটোই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই—
- আপনি যদি নিশাচর হন, ভোরে ওঠা আপনার জন্য ক্ষতিকর।
- যদি রাতের শিফটে কাজ করেন বা গভীর রাতে জেগে থাকেন, এই অভ্যাস ঠিক নয়।
- ঘুম সংক্রান্ত কোনো রোগ থাকলে বা সদ্য অসুস্থতা থেকে উঠলে এই ট্রেন্ড মেনে চলা বিপজ্জনক।
- পর্যাপ্ত ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে উল্টে কর্মক্ষমতাই কমে যেতে পারে।
তাহলে কী করবেন?
প্রথম শর্ত— পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করা।
তারপর, যদি সম্ভব হয়, ধীরে ধীরে শরীরকে গড়ে তুলুন এই নতুন অভ্যাসের সঙ্গে। সময়ের সেরা বিনিয়োগ হবে আপনার নিজের জন্য সময় বের করা— সেটা সকাল হোক বা অন্য সময়।
নিজের প্রতি ভালোবাসা দেখাতে ৫টা-৯টার ছন্দ আপনার জীবনেও বাজতে পারে, যদি শরীর-মনের সঙ্গে বোঝাপড়া ঠিক থাকে।
পহেলগাঁও হামলা: বলিউডের তারকাদের ক্ষোভের মুখে কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র বার্তা