ক্যাটরিনার মতো ফিট থাকতে চাই?
বলিউড তারকা ক্যাটরিনা কাইফের ঝকঝকে ফিগার আর অনবদ্য ফিটনেস দেখে অনেকেই ভাবেন—ঠিক এমনটা আমিও চাই! কিন্তু ক্যাটরিনার মতো শরীর গড়তে শুধু ইচ্ছা নয়, প্রয়োজন সঠিক নিয়ম আর দৃঢ় প্রতিজ্ঞার। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন জ্যাসমিন করাচিওয়ালা, যিনি শুধুমাত্র কঠিন অনুশীলনেই নয়, বরং শরীরচর্চাকে আনন্দদায়ক এবং কার্যকর করে তোলার কিছু সহজ উপায় বাতলে দিয়েছেন, যা আপনার দৈনন্দিন ফিটনেস রুটিনেও বদল আনতে পারে।
প্রতিদিন একঘেয়ে ব্যায়াম শুধু শরীরকে ক্লান্তই করে না, ধীরে ধীরে মনেও ক্লান্তি এনে দেয়। আর সেই ক্লান্তি কখন যে উৎসাহকে হারিয়ে দেয়, টেরই পাওয়া যায় না। তাই জ্যাসমিনের মতে, রুটিনে বৈচিত্র্য আনা জরুরি। শুধু শরীর নয়, মনেরও উদ্দীপনা ধরে রাখতে হলে দরকার নতুনত্ব—ঠিক যেমন ক্যাটরিনার ট্রেনিংয়ে দেখা যায় ব্যায়ামের নিত্য নতুন ধরন। শারীরিক কাঠামো অনুযায়ী যোগব্যায়াম, পাইলেট, কেটলবেল সুইং বা ডেড লিফটের মতো ফাংশনাল মুভমেন্ট যুক্ত করলে একঘেয়েমি যেমন দূর হয়, তেমনই পেশীর শক্তি ও নমনীয়তা বাড়ে।
শুধু ব্যায়াম করলেই হবে না, তার পূর্ব প্রস্তুতিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। জিমে যাওয়ার আগে শরীরকে যথেষ্ট শক্তি জোগানো দরকার। সেই জায়গায় কাঠবাদাম একটি দারুণ বিকল্প—যার মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রোটিন ও ফাইবার। কিছুটা শুকনো ফল বা একটি কলা যোগ করে নিলে সেই শক্তির ভারসাম্য আরও ভালোভাবে বজায় থাকে। ক্যাটরিনাও প্রতিদিন অনুশীলনের আগে এমনই হালকা অথচ পুষ্টিকর কিছু খান, যা তাঁর পারফরম্যান্সে নজরকাড়া প্রভাব ফেলে।
তবে সবচেয়ে জরুরি বিষয়—লক্ষ্যের প্রতি দায়বদ্ধতা। শরীরচর্চার ফলাফল কোথায় দাঁড়িয়ে, কতটা অগ্রগতি হয়েছে, তা নিয়মিত লিখে রাখলে মনের মধ্যে এক ধরনের ইতিবাচক চাপ কাজ করে। সাফল্যের সেই ধারা ধরে রাখতে গেলে ছোট ছোট লক্ষ্য স্থির করে এগোনোই বুদ্ধিমানের কাজ। আর প্রযুক্তির যুগে স্মার্টওয়াচ বা ফিটনেস অ্যাপের মাধ্যমে দৈনন্দিন উন্নতি রেকর্ড করাও এখন খুব সহজ।
এই তিনটি সাধারণ অথচ কার্যকর পরামর্শ মেনে চললে আপনি নিজের ফিটনেস যাত্রাকে যেমন উপভোগ করতে পারবেন, তেমনই ক্যাটরিনার মতো স্বাস্থ্যবান এবং আত্মবিশ্বাসী শরীরের পথেও অগ্রসর হতে পারবেন।
টাটকা লাউ কিনবেন কীভাবে? চেনুন কৃত্রিম রং ও রাসায়নিক মেশানো সব্জি

