Monday, December 1, 2025

শত্রুর ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেবে ভারতীয় ‘বুদ্ধিমান’ ড্রোন, চিন-পাকিস্তানের রাতের ঘুম কাড়তে আসছে এআই-কামিকাজে অস্ত্র

Share

শত্রুর ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেবে ভারতীয় ‘বুদ্ধিমান’ ড্রোন!

পাকিস্তানের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে কৃত্রিম মেধা (AI) নির্ভর আত্মঘাতী ড্রোন তৈরিতে ঝাঁপিয়েছে ভারত। ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি বা আমদানিকৃত ড্রোনগুলো ইতিমধ্যেই যুদ্ধক্ষেত্রে সফলতার সঙ্গে ব্যবহৃত হয়েছে। এবার সেই প্রযুক্তিকে আরও উন্নত করতে মার্কিন সংস্থা ‘শিল্ড এআই’-এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে জেএসডব্লিউ ডিফেন্স। লক্ষ্য, এমন ড্রোন তৈরি করা যা নিজে সিদ্ধান্ত নিয়ে শত্রু ঘাঁটি শনাক্ত করে হামলা চালাতে পারবে।

এই AI-চালিত কামিকাজে ড্রোনগুলোর মধ্যে ‘ভি-ব্যাট’ নামটি ইতিমধ্যেই চর্চায় উঠে এসেছে। এটি ৫০০ কিমি পাল্লার এই ড্রোন প্রায় ১২ কেজি বিস্ফোরক নিয়ে একটানা ১০ ঘণ্টা আকাশে উড়তে পারে। এতে ইনফ্রারেড ক্যামেরা রয়েছে, যার মাধ্যমে অপারেটরদের কাছে শত্রুসেনার অবস্থান বা চলাচলের তথ্য সরাসরি পাঠানো সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের মতে, অপারেটরের নির্দেশ ছাড়াও এই ড্রোন নির্দিষ্ট টার্গেট শনাক্ত করে নিজের সিদ্ধান্তেই আক্রমণ চালাতে পারে।

এই ধরণের ড্রোন তৈরিতে ভারত কেবল নিজস্ব উদ্যোগেই নয়, বিশ্বমানের প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। শিল্ড এআই-এর সঙ্গে করা ৯ কোটি ডলারের চুক্তির আওতায় ভারতীয় সংস্থা গুলি ভবিষ্যতের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। এই ড্রোনগুলো ‘ভার্টিক্যাল ল্যান্ডিং’ সক্ষম, অর্থাৎ সংকীর্ণ স্থানেও সহজে ওঠানামা করতে পারবে। বিশ্লেষকদের মতে, পুরোপুরি কার্যকর হতে এ প্রযুক্তিকে আরও দেড় থেকে দুই বছর সময় লাগতে পারে।

ভারতের এই প্রচেষ্টার প্রেক্ষিতে তুলনা টানা হচ্ছে রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এআই-চালিত ড্রোন প্রকল্পের সঙ্গে। রাশিয়ার তৈরি ‘টুভিক’ ড্রোন ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এর পাল্লা ৩০ কিমি এবং সর্বোচ্চ গতি ১৮০ কিমি/ঘণ্টা। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের অ্যান্ডুরিল ও শিল্ড এআই সংস্থার তৈরি ‘অ্যালটিয়াস’ ও ‘নোভা’ নামের ড্রোনগুলো ৪০০ কিমি পর্যন্ত উড়তে সক্ষম এবং প্রতি ড্রোনের দাম প্রায় তিন কোটি পাউন্ড।

সম্প্রতি পাকিস্তানের তরফে ভারতের বিভিন্ন বিমানঘাঁটিতে চালানো সোয়ার্ম ড্রোন হামলার পাল্টা জবাবও দিয়েছে ভারতীয় বাহিনী। আত্মঘাতী ড্রোন দিয়ে পাকিস্তানের চিনা নির্মিত HQ-9P এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা গুঁড়িয়ে দিয়েছে তারা। এ ছাড়াও, ইসরায়েলের ‘হারোপ’ এবং ‘স্কাই স্ট্রাইকার’ ড্রোনের সহায়তায় রেডার স্টেশন ও জঙ্গি ঘাঁটিতেও সফল হামলা চালানো হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, AI নির্ভর এই ড্রোনগুলো শুধু যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায়ও কার্যক্ষম নয়, বরং শত্রু পক্ষের স্যাটেলাইট নির্ভর নেভিগেশন ব্যবস্থাও অচল করে দিতে সক্ষম।

এখন প্রশ্ন, এই প্রযুক্তি হাতে পেলে ভারতীয় বাহিনীর কৌশলগত সক্ষমতা কতটা বাড়বে? উত্তর পরিষ্কার—চিন ও পাকিস্তানের জন্য রাতের ঘুম উড়বে নিশ্চিতভাবে। ভারত শুধু প্রযুক্তির দিক থেকেই নয়, কৌশলগত দিক থেকেও আগামী দিনে অন্যতম বিশ্বনেতা হয়ে উঠতে চলেছে।

কন্যাকে বিশেষ কারণে কান-এ নিয়ে যান ঐশ্বর্যা! বিদেশি উৎসবে আরাধ্যার প্রিয় মুহূর্ত কী?

Read more

Local News