কন্যাকে বিশেষ কারণে কান-এ নিয়ে যান ঐশ্বর্যা!!
২০০২ সাল থেকে কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিচ্ছেন ঐশ্বর্যা রায় বচ্চন। দীর্ঘদিন ধরে এই উৎসব তাঁর জন্য শুধু কাজের ক্ষেত্র নয়, বরং নিজের স্টাইল এবং উপস্থিতি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু। আর ২০১৭ সাল থেকে তাঁর সঙ্গে যেতে শুরু করেছে ছোট্ট কন্যা আরাধ্যাও। তবে কেন ঐশ্বর্যা এত ছোট বয়সেই নিজের মেয়েকে নিয়ে যান এই বড় ও গ্ল্যামারাস উৎসবে? এর পেছনে রয়েছে এক বিশেষ কারণ।
মা ও মেয়ের সম্পর্ক সবার নজর কেড়েছে অনেক সময়। যেখানে ঐশ্বর্যার ছাড়া আরাধ্যার এক মুহূর্তও কাটে না, সেখানে ঐশ্বর্যার সঙ্গে নানা অনুষ্ঠানে যেতে আরাধ্যার সঙ্গে থাকা যেন এক অভ্যাস। তবে কান উৎসবের পরিবেশে কিভাবে আরাধ্যা মানিয়ে নেয়, সেটা অনেকেরই কৌতূহল।
এক সাক্ষাৎকারে ঐশ্বর্যা প্রকাশ করেছিলেন, কান চলচ্চিত্র উৎসবে আসলে আরাধ্যা অনেকটাই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। অচেনা বিদেশি পরিবেশ, নানা মানুষের ভিড়, ভিন্ন ভিন্ন সাজ-গোজ, এবং উৎসবের ঝলমলে পরিবেশে আরাধ্যা কোনোভাবেই অসুবিধা পায় না। বরং এই সব কিছুই তাকে আকর্ষণ করে এবং উৎসাহ দেয়।
ঐশ্বর্যা আরও বলেন, আরাধ্যার কাছে পরিবার এবং পরিজনের সঙ্গে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে সকলের সঙ্গে মিশতে পছন্দ করে, একা থাকতে চায় না। এসব কারণেই মা ঐশ্বর্যা ছোট থেকেই তাকে উৎসবে নিয়ে আসেন, যাতে আরাধ্যা ছোটবেলা থেকেই বিশ্বমঞ্চের গ্ল্যামার এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশের সঙ্গে পরিচিত হতে পারে।
কান উৎসবের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক শুধু কাজের জন্য নয়, এটি একটি পারিবারিক bonding-এ পরিণত হয়েছে। আরাধ্যা মাকে নিয়ে থাকাকালীন সময়গুলো উপভোগ করে এবং এইসব মুহূর্তের স্মৃতি তার জন্য খুবই মূল্যবান হয়ে দাঁড়ায়।
ঐশ্বর্যার ব্যক্তিগত জীবনের কথায় গেলেও দেখা যায়, অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে ‘গুরু’ ছবির সেট থেকেই শুরু হয়েছিল তাঁদের প্রেমের গল্প। তারপর ২০০৭ সালে বিয়ে করেন তারা। ২০১১ সালে তাঁদের ঘরে আসে কন্যা আরাধ্যা, যিনি আজ মা-মেয়ের এই বিশেষ সম্পর্কের কেন্দ্রবিন্দু।
মা-বাবার পরিচর্যায় বড় হওয়া আরাধ্যার এই কান উৎসবের অভিজ্ঞতা শুধু নতুন সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে না, বরং বড় মঞ্চে নিজের আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলতেও সাহায্য করছে। দর্শক যেমন ঐশ্বর্যার ফ্যাশন নিয়ে আগ্রহী, তেমনি তার মেয়ের ছোট ছোট খুশির মুহূর্তগুলোও ফ্যানদের মধ্যে উচ্ছ্বাস সৃষ্টি করে।
তাই, ঐশ্বর্যার জন্য কান উৎসব শুধু একটি কাজের প্ল্যাটফর্ম নয়, এটা একটি পারিবারিক উৎসব যেখানে মা ও মেয়ের বন্ধন আরো মজবুত হয়, আর ছোট্ট আরাধ্যার জন্য এটি একটি শিক্ষা ও আনন্দের মঞ্চ।
সরস্বতী নদীর দূষণ নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা কাগজেই সীমাবদ্ধ? বাস্তব কাজ এখনও অধরা