কেমোথেরাপির পর ইমিউনোথেরাপি নিচ্ছেন হিনা খান!
স্তন ক্যানসারের বিরুদ্ধে কঠিন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন অভিনেত্রী হিনা খান। কেমোথেরাপির ধকল পার করে এবার তিনি শুরু করেছেন ইমিউনোথেরাপি। কিন্তু কী এই চিকিৎসা? কেন ক্যানসারের চিকিৎসায় অস্ত্রোপচার আর কেমোথেরাপির পরও প্রয়োজন পড়ে এই পদ্ধতির?
💪 ক্যানসারের বিরুদ্ধে হিনার সাহসী লড়াই
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হিনা খান কিছুদিন আগেই জানিয়েছেন, তিনি স্টেজ থ্রি ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। প্রথমে অস্ত্রোপচার করা হয়, তারপর চলে কেমোথেরাপির দীর্ঘ পর্ব।
🔹 কেমোথেরাপি চলাকালীন নিজের শারীরিক কষ্টের কথা খোলাখুলিই ভাগ করে নিয়েছেন তিনি।
🔹 সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে তিনি জানান, কেমোথেরাপির পরও তাঁর চিকিৎসা শেষ হয়নি।
🔹 এখন চলছে ইমিউনোথেরাপি, যা শরীরকে ভবিষ্যতে ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত করবে।
🧬 কেমোথেরাপির পরও কেন দরকার ইমিউনোথেরাপি?
অনেকেই মনে করেন, অস্ত্রোপচার আর কেমোথেরাপির পর ক্যানসার পুরোপুরি নির্মূল হয়ে যায়। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, এটাই শেষ ধাপ নয়।
🔹 ক্যানসারের কোষ অনেক সময় শরীরে লুকিয়ে থেকে যায়, যা ভবিষ্যতে ফিরে আসতে পারে।
🔹 কেমোথেরাপি ক্যানসারের পাশাপাশি সুস্থ কোষগুলোকেও আক্রমণ করে, ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
🔹 ইমিউনোথেরাপি শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে এতটাই শক্তিশালী করে যে, ক্যানসার কোষের পুনরুত্থান প্রতিরোধ করতে পারে।
ক্যানসার চিকিৎসার ক্ষেত্রে এখন ‘পোস্ট ক্যানসার কেয়ার’ বা ‘ফলো-আপ ট্রিটমেন্ট’ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা, জীবনযাত্রার পরিবর্তন এবং ইমিউনোথেরাপি— এই সবকিছু মিলিয়েই নিশ্চিত করা হয়, ক্যানসার যেন ফিরে না আসে।
🩺 কী এই ইমিউনোথেরাপি? কেমোথেরাপির চেয়ে কীভাবে আলাদা?
ইমিউনোথেরাপি হল একটি অত্যাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি, যা শরীরের প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তোলে।
🔹 কেমোথেরাপি: সরাসরি ক্যানসার কোষ ধ্বংস করে, কিন্তু সুস্থ কোষগুলোরও ক্ষতি করে ফেলে।
🔹 ইমিউনোথেরাপি: শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে এতটাই শক্তিশালী করে যে, সেটি নিজেই ক্যানসার কোষগুলিকে চিনে নিয়ে আক্রমণ করে।
চিকিৎসক শ্রীনাথ ডি বলেন,
🗣️ “কেমোথেরাপি যেখানে ভালো কোষগুলোকেও ধ্বংস করে, ইমিউনোথেরাপি সেখানে শুধুমাত্র ক্যানসার কোষগুলিকে নিশানা করে। এটি শরীরের নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতাকে এমনভাবে প্রশিক্ষিত করে যে, ভবিষ্যতে ক্যানসার কোষ জন্ম নিলেও তা সহজেই ধ্বংস হয়ে যায়।”
🤔 কারা নিতে পারেন ইমিউনোথেরাপি?
এই চিকিৎসা সব ক্যানসার রোগীর জন্য উপযুক্ত নয়। চিকিৎসকরা নির্ধারণ করেন কোন রোগীর শরীর কতটা উপযোগী এই থেরাপির জন্য।
🔹 স্তন ক্যানসার
🔹 ফুসফুস ক্যানসার
🔹 ত্বকের ক্যানসার
🔹 সার্ভিকাল বা জরায়ু ক্যানসার
🔹 কলোরেক্টাল বা অন্ত্রের ক্যানসার
এই ধরনের ক্যানসারের ক্ষেত্রে শরীরে সংক্রমণের মাত্রা এবং রোগীর শারীরিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে ইমিউনোথেরাপির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
⚠️ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কি?
যে কোনও চিকিৎসার মতো ইমিউনোথেরাপিরও কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। তবে এগুলো কেমোথেরাপির তুলনায় কম ক্ষতিকর।
❌ ত্বকে র্যাশ বা চুলকানি
❌ পেটের সমস্যা
❌ থাইরয়েডের কার্যকারিতা পরিবর্তন
❌ জ্বর, ক্লান্তি বা দুর্বলতা
যদিও এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাময়িক, তবুও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই থেরাপি নেওয়া উচিত নয়।
৬.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নেপাল, কম্পন অনুভূত শিলিগুড়িতেও! আতঙ্কে রাত কাটালেন বাসিন্দারা

