কাম্বলির মস্তিষ্কে সমস্যা ও স্মৃতিশক্তির ক্ষয়!
ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার বিনোদ কাম্বলি বর্তমানে শারীরিকভাবে একাধিক সমস্যার সম্মুখীন। কিছু দিন আগে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন, এবং চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে তাঁর মস্তিষ্কে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। কাম্বলির স্মৃতিশক্তি ক্ষয় হয়েছে, পাশাপাশি তাঁর মূত্রনালিতেও সংক্রমণ ছিল। চিকিৎসক বিবেক দ্বিবেদীর মতে, কাম্বলি এখনও পুরোপুরি সুস্থ না হলেও তাঁর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
মূত্রনালির সংক্রমণ এবং মস্তিষ্কের সমস্যা
কিছু দিন আগে কাম্বলিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে তাঁর মূত্রনালিতে সংক্রমণ ধরা পড়ে এবং মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার বিষয়টিও সামনে আসে। চিকিৎসক বিবেক জানিয়েছেন, কাম্বলির শরীরে পুষ্টির অভাব ছিল এবং সঠিক পুষ্টি ও ফিজিয়োথেরাপির প্রয়োজন ছিল। তবে, এখন তাঁর অবস্থার উন্নতি হয়েছে, এবং সময়ের সঙ্গে ধীরে ধীরে তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন।
বিবেক দ্বিবেদী আরও বলেন, “কাম্বলিকে যখন হাসপাতালে আনা হয়েছিল, তখন তিনি অপুষ্টিতে ভুগছিলেন। তাঁর শরীরের পুষ্টির অভাব রয়েছে এবং এজন্য তাকে প্রয়োজন ফিজিয়োথেরাপি এবং পুষ্টিকর খাবার।” তবে, তাঁর মস্তিষ্কে কিছু সমস্যা সৃষ্টি হলেও চিকিৎসকরা আশাবাদী যে, সঠিক চিকিৎসায় কাম্বলি ৮০-৯০ শতাংশ স্মৃতিশক্তি ফিরে পাবেন।
এমআরআই না হওয়া ও ভবিষ্যত চিকিৎসা
কাম্বলির এমআরআই করার কথা ছিল, তবে তাঁর জ্বর থাকায় তা সম্ভব হয়নি। এমআরআই পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যেতে পারত, মস্তিষ্কে কোথাও আরও রক্ত জমাট বাঁধেছে কি না। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে, কাম্বলির মস্তিষ্কে যে রক্ত জমাট বেঁধেছিল, তা ওষুধের মাধ্যমে ঠিক করা সম্ভব। অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন নেই।
বিবেক জানান, “মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা ওষুধের মাধ্যমে দূর করা যাবে। এটি একটি চিকিৎসাযোগ্য সমস্যা। তবে, উন্নতির জন্য ফিজিয়োথেরাপি এবং সঠিক পুষ্টি অত্যন্ত জরুরি। এভাবে চিকিৎসা চললে কাম্বলি অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠবেন।”
কাম্বলির জীবনযাত্রা ও পরামর্শ
প্রাক্তন ক্রিকেটার কাম্বলি দীর্ঘদিন ধরেই ব্যক্তিগত সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছিলেন। তাঁর জীবনযাপনের কিছু দোষ এবং মদ্যপানের অভ্যাসের কারণে তিনি জাতীয় দলের বাইরে চলে যান। কাম্বলির ব্যক্তিগত জীবনের সমস্যা মদ্যপানের কারণে আরও বাড়তে থাকে, যা তাঁর ক্রিকেট জীবনেরও অবসান ঘটায়। তবে, সম্প্রতি তিনি বড়দিনের আগে সমর্থকদের উদ্দেশে একটি পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “সামনেই বড়দিন এবং নতুন বছর। জীবনটা উপভোগ করতে হবে, তবে সেটা ভুলে গিয়ে নয়। কিছুটা বাঁচিয়ে রেখো, মজা করতে গিয়ে সব ভুলে যেও না। মাতাল হয়ে যেয়ো না, কারণ মা-বাবা সেটা পছন্দ করবেন না।” কাম্বলি তাঁর এই পরামর্শের মাধ্যমে একটি ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন, যাতে তাঁর সমর্থকরা মদ্যপান থেকে বিরত থাকে এবং জীবনের আনন্দ উপভোগ করতে সচেতন হয়।
কাম্বলির সুস্থতার আশাবাদ
এখন কাম্বলি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন। যদিও তাঁর মস্তিষ্কে কিছু সমস্যা ছিল এবং স্মৃতিশক্তি ক্ষয় হয়েছিল, তবে চিকিৎসকরা আশাবাদী যে তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন। কাম্বলির এই যাত্রা শুধু তাঁর ব্যক্তিগত সংগ্রাম নয়, বরং সকলের জন্য একটি শিক্ষা, যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং জীবনযাপনের গুরুত্ব কোনো অবস্থাতেই উপেক্ষা করা উচিত নয়।