মাহীপ কপূরের গল্প
বলিউড তারকা সঞ্জয় কপূরের স্ত্রী মাহীপ কপূর ওটিটি প্ল্যাটফর্মে প্রচারিত জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ ‘ফ্যাবুলাস লাইভস অফ বলিউড ওয়াইভস’-এর মাধ্যমে আলোচনায় আসেন। এই সিরিজে বলিউডের তারকা-গৃহিণীরা তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন, সম্পর্ক এবং নানা অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন। অভিনয়ের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না থাকলেও মাহীপ এই সিরিজের পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। কিন্তু তাঁর দাম্পত্য জীবনের এক বিশেষ গল্প আজও মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করে। এক রাতে মদের নেশায় সঞ্জয়ের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তই বদলে দিয়েছিল তাঁর জীবন।
প্রায় ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে সঞ্জয় ও মাহীপ একসঙ্গে রয়েছেন। কিন্তু তাঁদের প্রেম ও বিবাহের গল্প খুবই অনন্য। মাহীপ জানান, সেই রাতের কথা যখন তিনি মদ্যপ অবস্থায় সঞ্জয়ের পার্টিতে চলে গিয়েছিলেন। তাঁর ভাষায়, “গলা পর্যন্ত মদ খেয়ে আমি সঞ্জয়ের পার্টিতে হাজির হই। সেই রাত ওর সঙ্গে কাটাই। সেই পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন সঞ্জয়ের পুরো পরিবার—শ্বশুর-শাশুড়ি, ভাসুর অনিল কপূর এবং জা শ্রীদেবী। আমাকে সেই অবস্থায় দেখার পরেও তাঁরা আমাকে খোলা মনে গ্রহণ করেন।”
মদ্যপানের প্রতি মাহীপের বিশেষ ভালোবাসার কথা তিনি নিজেই অকপটে শেয়ার করেছেন। সিরিজে তাঁর সোজাসাপটা এবং ঠোঁটকাটা স্বভাবের জন্য দর্শকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। মাহীপ বলেন, “আমি পার্টি করতে এবং গালমন্দ করতে পছন্দ করি। সেই রাতে টাকিলা পানীয় খেতে খেতে সঞ্জয়ের সঙ্গে জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিই।”
বিয়ের আগে পাঁচ বছর ধরে সঞ্জয়ের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন মাহীপ। তাঁদের প্রেমের গল্পের আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো, সঞ্জয়ের প্রস্তাব দেওয়ার মুহূর্ত। মাহীপ বলেন, “মদের নেশায় বুঁদ হয়ে সঞ্জয় আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। আমিও তখন ‘হ্যাঁ’ বলে দিই। সেই মুহূর্ত ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের।”
মদ্যপান থেকে শুরু করে এক রাত কাটানোর গল্প—এসব অভিজ্ঞতা মাহীপের জীবনে এক নতুন মোড় এনে দিয়েছিল। এই দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে, যাঁদের মধ্যে মেয়ে শানায়া কপূর খুব শীঘ্রই বলিউডে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন।
মাহীপের এই অভিজ্ঞতা দেখিয়ে দেয়, সম্পর্ক কখনো কখনো অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি থেকেই গড়ে উঠতে পারে। তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের উদার মনোভাব এবং তাঁকে গ্রহণ করার ইচ্ছা মাহীপের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। তিনি নিজেও তাঁদের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। মাহীপ বলেন, “ওই পরিস্থিতিতে আমাকে যেভাবে গ্রহণ করা হয়েছিল, তাতে আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। এটি আমার জীবনে একটি বিশেষ অনুভূতি।”
মাহীপ এবং সঞ্জয়ের সম্পর্কের এই যাত্রা যেমন মজার, তেমনই প্রেরণাদায়ক। তাঁদের দাম্পত্য জীবনের খোলা মেজাজ, একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা তাঁদের সম্পর্ককে আজও মজবুত করে রেখেছে।

