Friday, March 21, 2025

রাজ্যের স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে অনিশ্চয়তা: নতুন নিয়োগের দিকেই নজর

Share

রাজ্যের স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদটি ফাঁকা রয়েছে। এই পদটি পূরণের জন্য গত মাসে ইন্টারভিউ হলেও এখন পর্যন্ত কোন প্রার্থীকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়নি। উচ্চ শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, যে প্রার্থীরা ইন্টারভিউতে অংশ নিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে কোন একক প্রার্থীকে উপাচার্য পদে যোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি। তাই, এখন আবার নতুন করে ইন্টারভিউয়ের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারে রাজ্য সরকার।

পদ খালি থাকার কারণ

২০২১ সালের ২৫ আগস্ট স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ সুহৃতা পাল। কিন্তু তাঁর নিয়োগ নিয়ে নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। তারপরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ ওঠার পর, ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে রাজ্যপাল আচার্য পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেন। এরপর থেকে ওই পদটি ফাঁকা পড়ে রয়েছে, এবং রাজ্যের স্বাস্থ্য-শিক্ষার ক্ষেত্রে এই পদটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও, তা দীর্ঘদিন ধরে পূর্ণ হয়নি।

নতুন প্রার্থীদের ইন্টারভিউ ও সংকট

রাজ্য সরকারের উচ্চ শিক্ষা দফতরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মোট আটজন প্রার্থী উপাচার্য পদে আবেদন করেছিলেন, যার মধ্যে পাঁচজন চিকিৎসক এবং বাকিরা অচিকিৎসক। এই প্রার্থীদের মধ্যে, রাজ্য সিপিএমের নেতা মহম্মদ সেলিম সহ বেশ কয়েকজন প্রার্থী ছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত সার্চ-কাম-সিলেকশন কমিটি তাদের ইন্টারভিউ গ্রহণ করে। নিয়ম অনুযায়ী, সার্চ কমিটি এই প্রার্থীদের মধ্যে থেকে তিনটি নামের তালিকা তৈরি করে তা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানোর কথা। তারপর সেটি রাজ্যপালের কাছে যাবে। তবে, সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই তালিকা এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি।

যোগ্য প্রার্থীর নিয়োগে সমস্যা

এই প্রক্রিয়ায় কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছে। জানা যাচ্ছে, প্রথম যে প্রার্থীকে উপাচার্য পদে যোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল, সেই অধ্যক্ষের চাকরি শেষ হতে যাচ্ছে মাত্র চার মাসের মধ্যে। নিয়ম অনুযায়ী, তাকে ছয় মাসের জন্য এক্সটেনশন দেওয়া সম্ভব, কিন্তু তাও খুব কম সময়ের জন্য উপাচার্য পদে নিয়োগ দিলে তার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। এছাড়া, সুহৃতা পালকে সরিয়ে দেওয়ার পর, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই নাম নিয়েও মতানৈক্য সৃষ্টি হয়েছে।

চিকিৎসক মহলের উদ্বেগ

স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদটি দীর্ঘদিন ধরে ফাঁকা থাকায়, চিকিৎসক মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। তারা জানাচ্ছেন, এই পদটি পূর্ণ হলে রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যবস্থা আরও সুসংহত হবে, এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে। তবে, এখন পর্যন্ত সেই আশার আলো দেখা যাচ্ছে না।

Read more

Local News