Sunday, May 18, 2025

১৫ গুণ শক্তিশালী! চিনের হাইড্রোজেন বোমা বিশ্বকে দিল যুদ্ধের নতুন বার্তা

Share

চিনের হাইড্রোজেন বোমা বিশ্বকে দিল যুদ্ধের নতুন বার্তা

আমেরিকার সঙ্গে শুল্কযুদ্ধে উত্তপ্ত আবহেই নতুন করে উত্তেজনার সঞ্চার করল চিন। বেজিংয়ের সামরিক বাহিনী সম্প্রতি সফলভাবে পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়েছে একটি অতি শক্তিশালী অ-পরমাণু হাইড্রোজেন বোমা-র, যা প্রচলিত টিএনটি বিস্ফোরণের চেয়ে অন্তত ১৫ গুণ বেশি ধ্বংসক্ষম। এই বিস্ফোরণ শুধু তাইপেই নয়, ওয়াশিংটনের কপালেও চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এই বিশেষ হাইড্রোজেন বোমাটি মাত্র দু’ কেজি ওজনের হলেও এর ধ্বংসের পরিধি ছিল রীতিমতো বিস্ময়কর। বিস্ফোরণের সময় সৃষ্টি হয় একটি সাদা অগ্নিগোলকের, যা স্থায়ী ছিল প্রায় ২ সেকেন্ড এবং একে টিএনটির তুলনায় বহু গুণ বেশি শক্তিশালী বলে ব্যাখ্যা করেছেন গবেষকেরা।

চায়না স্টেট শিপবিল্ডিং কর্পোরেশনের ৭০৫ রিসার্চ ইনস্টিটিউট এই প্রকল্পের মূল কারিগর। সাগরতলের অস্ত্র বানানোর জন্য বিখ্যাত এই প্রতিষ্ঠান প্রথমবার এক নতুন ধরনের প্রযুক্তির সফল প্রয়োগ করল। হাইড্রোজেন বোমাটিতে ব্যবহৃত হয়েছে ম্যাগনেশিয়াম হাইড্রাইড, যা প্রচুর তাপ উৎপন্ন করতে সক্ষম। এর ফলে বিস্ফোরণের মুহূর্তেই সৃষ্টি হয় হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার অগ্নিকুণ্ড।

চিনের প্রতিরক্ষা গবেষকদের মতে, বোমাটির বিস্ফোরণের সময় ২ মিটারের মধ্যে চাপের মাত্রা পৌঁছায় ৪২৮ কিলোপাস্কালে, যা আধুনিক যেকোনও অস্ত্রের তুলনায় বহুগুণ বেশি। এই শক্তিশালী অস্ত্র ভবিষ্যতে কীভাবে ব্যবহার হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে এটি যে প্লা’র (PLA) সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর অস্ত্রভাণ্ডারে যুক্ত হতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য।

বিশ্লেষকদের মতে, এই বোমা যেমন কোনও সুনির্দিষ্ট এলাকা ধ্বংসে ব্যবহৃত হতে পারে, তেমনই যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুপক্ষের রাস্তা, বিদ্যুৎকেন্দ্র বা যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে দেওয়ার জন্যও এটি এক কার্যকর হাতিয়ার।

চিনের সামরিক বাজেট বাড়ানোর ধারা চলছেই—এই বছর মার্চে ৭.২% বৃদ্ধি করে তা নিয়ে যাওয়া হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার কোটি ডলারে। প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং স্পষ্টভাবে বলেছেন, দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষায় পিএলএ-কে আরও প্রস্তুত করা হবে। হাইড্রোজেন বোমা তৈরির প্রকল্পটি যে এই উদ্যোগেরই অংশ, তা স্পষ্ট।

তাইওয়ান ইস্যুতে আমেরিকার সক্রিয়তা বহুদিন ধরেই চিনের গলায় কাঁটা। তাইপেকে অস্ত্র দেওয়া ও কূটনৈতিক সাহায্যকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ বলেই দেখে বেজিং। এবার সেই ‘চ্যালেঞ্জের’ জবাবে এই বিস্ফোরণের মাধ্যমে শক্তিপ্রদর্শন করল শি জিনপিংয়ের প্রশাসন। এর ফলে দক্ষিণ চিন সাগর ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলির উদ্বেগ আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

শুল্কযুদ্ধের পাশাপাশি এই সামরিক শক্তির প্রদর্শন ইঙ্গিত দিচ্ছে, ওয়াশিংটন ও বেজিংয়ের সম্পর্ক আরও অবনতি দিকে যাচ্ছে। যুদ্ধ না হোক, ঠান্ডা যুদ্ধ যে আরও শাণিত হবে, তাতে সন্দেহ নেই।

সামনেই কি সামান্থার বিয়ে? চর্চিত প্রেমিক রাজ নাদিমরুর সঙ্গে তিরুপতির মন্দিরে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী!

Read more

Local News