হাসিনাকে থামানোর আহ্বান!
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ধানমন্ডির সাম্প্রতিক ঘটনার পর। দেশের একাংশে চলমান অশান্তির জন্য ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যকেই দায়ী করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ সরকার ভারতকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছে যেন হাসিনার “উস্কানিমূলক” বিবৃতি বন্ধ করা হয়। পাশাপাশি, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় উপরাষ্ট্রদূতকে ডেকে এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
অশান্তির কেন্দ্রে হাসিনার বক্তব্য
বুধবার রাত থেকে ঢাকার ধানমন্ডিতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩২ নম্বর বাড়িতে হামলা চালিয়ে তা গুঁড়িয়ে দেন এবং আগুন ধরিয়ে দেন। একইসঙ্গে, শেখ হাসিনার বাসভবন সুধা সদনেও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
ঘটনার পর বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, “হাসিনা ভারত থেকে যেসব বক্তৃতা দিচ্ছেন, তা দেশের ছাত্র-জনতা ভালোভাবে নিচ্ছে না। তিনি বারবার উস্কানি দিচ্ছেন। যদি তিনি এ ধরনের মন্তব্য থেকে বিরত থাকতেন, তাহলে অশান্তি সৃষ্টি হতো না।”
বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছে, তারা ভারতকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়েছে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে “প্রোটেস্ট নোট” পাঠিয়েছে। তবে এখনও এ বিষয়ে নয়াদিল্লি থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
ভারতীয় কূটনীতিককে তলব
চলমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত অনুপস্থিত থাকায় উপরাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়। তাঁকে জানানো হয়েছে যে, হাসিনার বিবৃতি দেশের অস্থিতিশীলতা বাড়িয়ে তুলছে এবং এটি বন্ধ করা জরুরি। বাংলাদেশ সরকার চাইছে, ভারত যেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে এবং তাঁকে উস্কানিমূলক মন্তব্য করা থেকে বিরত রাখে।
কীভাবে শুরু হলো এই অস্থিরতা?
৫ আগস্ট, ২০২৪-এ বাংলাদেশে গণআন্দোলনের চাপে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয়। এরপর তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। সেখান থেকেই তিনি বিভিন্ন সময় ভার্চুয়াল মাধ্যমে ভাষণ দিতে থাকেন, যা বর্তমান সরকার এবং বিরোধীদের মধ্যে নতুন উত্তেজনার জন্ম দেয়।
বুধবার রাতে হাসিনার একটি পূর্বনির্ধারিত ভাষণের আগে থেকেই বিক্ষোভকারীরা ধানমন্ডিতে জড়ো হতে শুরু করেন। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাঁর ভাষণ প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হলে, বিরোধীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে হামলা এবং আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
ভারতের অবস্থান কী?
বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে দিল্লিকে আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের অনুরোধ জানিয়েছে। যদিও ভারত চিঠি গ্রহণ করেছে, কিন্তু এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে কোনো স্পষ্ট বার্তা আসেনি। তবে কূটনৈতিক মহলে ধারণা করা হচ্ছে, ভারত এ বিষয়ে কৌশলী অবস্থান নিচ্ছে এবং পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায় কী?
বাংলাদেশের বর্তমান সরকার চাইছে, দ্রুত স্থিতিশীলতা ফেরানো হোক। কিন্তু শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান এবং তাঁর বক্তব্য এ মুহূর্তে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়াচ্ছে বলে মনে করছে তারা। ভারত যদি হাসিনাকে নিয়ন্ত্রণে আনে, তাহলে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
উদিত নারায়ণের চুমু বিতর্কে কটাক্ষ উরফির! বয়স টেনে এনে বললেন