৫টি অভ্যাস বদলালেই মিলবে ফিটনেসের কাঙ্ক্ষিত ফল
প্রতিদিন সকালে উঠে ঘাম ঝরাচ্ছেন, নিয়ম করে খাচ্ছেন, তবুও ওজন কমছে না? মেদ যাচ্ছে না? কিংবা শরীর তেমন চনমনে লাগছে না? এমন হলে শুধু শরীরচর্চা নয়, নজর দিন জীবনযাপনের কিছু সাধারণ অভ্যাসে। কারণ ফিট থাকা মানে শুধুই জিমে সময় কাটানো নয়—এটা একটা সামগ্রিক জীবনধারা, যেখানে ছোট ছোট কিছু পরিবর্তনই বড় রকমের উপকার আনতে পারে।
চলুন দেখে নেওয়া যাক এমনই পাঁচটি সহজ পরিবর্তন, যা আপনার ফিটনেস যাত্রাকে আরও মসৃণ করে তুলতে পারে।
১. ঘুমে হোক বিনিয়োগ, না হলে শরীর দেবে প্রতিশোধ
প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম না হলে শরীরের হরমোন ভারসাম্য হারায়। এতে ক্ষুধা বাড়ে, মেটাবলিজম কমে যায় এবং শরীর ক্লান্ত থাকে। দেরি করে ঘুমাতে যাওয়া, বা ছুটির দিনে অতিরিক্ত ঘুম—এই অভ্যাসগুলো ওজন কমানোর পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই ঘুমকে গুরুত্ব দিন, নিয়মিত ও পর্যাপ্ত ঘুম শরীরকে পুনরুজ্জীবিত রাখে।
২. হাঁটায় আছে সুস্থতার চাবিকাঠি
জিমে না গেলেও হাঁটার বিকল্প নেই। অফিসে ডেস্কে আটকে থাকার সময়টাতেও প্রতি ঘণ্টায় অন্তত ৫ মিনিট হাঁটার চেষ্টা করুন। দিনে অন্তত ৭,০০০ থেকে ১০,০০০ পা হাঁটার চেষ্টা করুন। হাঁটাহাঁটি পেশীর কার্যক্ষমতা বাড়ায়, রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং ক্লান্তি কমায়। স্মার্টওয়াচ থাকলে, তার মাধ্যমে পদক্ষেপ নজরেও রাখা যায়।
৩. জল খান নিয়ম করে, শুধু গরমে নয় সারা বছরই
শরীরের টক্সিন বার করে দেয় জল, হজমে সাহায্য করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল রাখে। সকালে উঠে অন্তত ৫০০ মিলিলিটার জল খাওয়া অভ্যাস করুন। তারপর চাইলে চা বা কফি খান। সারা দিনে নিয়মিত জল খেলে খিদে কমে এবং শরীর সক্রিয় থাকে।
৪. মন দিয়ে খান, স্ক্রিন নয়
খাবারের সময় টিভি দেখা বা ফোন স্ক্রল করার বদভ্যাসে আমরা কখন খাচ্ছি, কতটা খাচ্ছি—তা বুঝতেই পারি না। মন দিয়ে খেলে পেট ভরা মনে হয় সময়মতো, ফলে বেশি খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। সেই সঙ্গে, রাতের খাবারের পরে কিছু না খাওয়ার অভ্যাস করুন। ‘লেট-নাইট স্ন্যাকস’ ওজন বাড়ানোর অন্যতম কারণ।
৫. সকালে ফোন নয়, নিজের সঙ্গে কিছু সময়
দিনের শুরুতে ফোন হাতে না তুলে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, ধ্যান বা বই পড়ার মতো শান্তিপূর্ণ কিছু করুন। এতে মানসিক চাপ কমে, মন শান্ত হয়, এবং দিন শুরু হয় ইতিবাচকভাবে। ঘুম থেকে উঠে সঙ্গে সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া দেখা এক ধরনের মানসিক ব্যস্ততা তৈরি করে, যা সারাদিনের ছন্দ নষ্ট করে দিতে পারে।
“শাহরুখ আসলে খুবই মধ্যবিত্ত মানুষ” — বলিউডের বাদশাহর এমন গুণ দেখে মুগ্ধ পরিচালক অনুভব সিন্হা

