রাজের সঙ্গে একত্রবাসে সামান্থা!
দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু এখন শুধু অভিনয় নয়, ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও চর্চায়। নাগা চৈতন্যের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বেশ কিছুটা সময় একাকিত্বে কাটিয়েছিলেন তিনি। তার পর থেকে গুঞ্জন চলছিল, পরিচালক রাজ নিদিমোরুর সঙ্গে তাঁর বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। এখন শোনা যাচ্ছে, হায়দরাবাদ ছেড়ে সামান্থা পাকাপাকি ভাবে মুম্বইয়ে বসবাস করছেন রাজের সঙ্গেই।
আর সেই গুজবেই যেন ছাইচাপা আগুনের মতো উসকে দিল সাম্প্রতিক একটি ঘটনা। সপ্তাহের শুরুতে সকালবেলা জিমে যাওয়ার পথে ফটোগ্রাফারদের ক্যামেরার ফ্ল্যাশে বিরক্ত হয়ে সামান্থা কার্যত রেগে গেলেন। তারকা হলেও তাঁর ‘নিজস্ব পরিসর’ রয়েছে—এ কথা যেন আচমকা মনে করিয়ে দিলেন তিনি।
জিমের বাইরে ক্যামেরা দেখেই চটে গেলেন সামান্থা!
সপ্তাহের শুরুতে মুম্বইয়ের এক বিলাসবহুল জিমের বাইরে দেখা যায় সামান্থাকে। পরনে কালো স্পোর্টস টপ ও ট্র্যাক প্যান্ট, হাতে পানির বোতল। গাড়ি থেকে নেমেই ক্যামেরার ঝলকানিতে ঘিরে ধরেন পাপারাজ্জিরা। আচমকা ছবি তোলা শুরু করতেই সামান্থা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
“আরে কী করছেনটা কী আপনারা!”
জিমে ঢোকার সময় যে বিরক্তি ছিল, সেটা বেরোনোর সময় আরও বেড়ে গিয়েছিল যেন। ফিরে যাওয়ার পথে ক্যামেরা আবার তাঁকে ঘিরে ধরলে সামান্থা ঝাঁঝিয়ে বলেন,
“উফ্, বন্ধ করুন এ সব!”
এই বলে সোজা গাড়িতে উঠে চলে যান তিনি।
এমন আচরণ প্রথম নয়, তবে এই রকম বিরক্তি ‘অস্বাভাবিক’
সামান্থা সাধারণত মিডিয়ার প্রতি সৌজন্যপূর্ণই থাকেন। হাসিমুখেই ছবি তোলার অনুমতি দেন বা ছোটখাটো কথাও বলেন অনুরাগীদের সঙ্গে। কিন্তু এবার যেন ধৈর্যচ্যুতি ঘটল। সম্ভবত তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চলা টানা গুঞ্জনই এই রাগের উৎস।
রাজের সঙ্গে সম্পর্ক—কথা কি বাড়াবাড়ি?
তেলুগু পরিচালক রাজ নিদিমোরুর সঙ্গে সামান্থার ঘনিষ্ঠতার খবর নতুন নয়। তাঁরা একসঙ্গে বেশ কিছু দিন আগে একটি প্রকল্পে কাজ করেছেন। সেই থেকেই বন্ধুত্ব ঘনিয়েছে। গুঞ্জন উঠেছে, তাঁরা নাকি এখন একত্রবাসে রয়েছেন এবং মুম্বইয়ের এক অ্যাপার্টমেন্টে থাকছেন একসঙ্গে।
যদিও এই সম্পর্কের বিষয়ে সামান্থা বা রাজ কেউই এখন পর্যন্ত সরাসরি মুখ খোলেননি।
নেটপাড়ায় প্রতিক্রিয়া
এই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই অনুরাগীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ বলছেন, “তারকাদেরও ব্যক্তিগত পরিসর থাকা উচিত।” আবার কেউ কটাক্ষ করে বলেছেন, “তারকাদের খ্যাতির পিছনে মিডিয়ারও বড় ভূমিকা রয়েছে, এভাবে রেগে যাওয়া মানায় না।”
একসময় নাগ চৈতন্য ও সামান্থা ছিলেন দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির ‘আইকনিক কাপল’। কিন্তু তাঁদের বিয়েবিচ্ছেদের পরবর্তী অধ্যায়ে সামান্থা যেন নিজের জীবন গুছিয়ে নতুন শুরু করতে চাইছেন। কিন্তু মিডিয়ার কৌতূহল, ক্যামেরার লেন্স এবং ব্যক্তিগত সম্পর্কের গুঞ্জন—এই ত্রিমুখী চাপে সামান্থার ধৈর্য কতদূর টিকে থাকে, এখন সেটাই দেখার।
জৌলুস ছেড়ে যোগপথে জ্যাকলিন! রবি শঙ্করের আশ্রমে আধ্যাত্মিক শরণ

