Tuesday, April 29, 2025

“যুদ্ধ থামবেই, খুব তাড়াতাড়ি”—গাজায় শান্তির ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প, শুল্ক ছাড়ে হতাশ নেতানিয়াহু

Share

গাজায় শান্তির ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প!

গাজা উপত্যকার রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ থামতে আর বেশি সময় লাগবে না—এই আশার আলো দেখালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ইজরায়েলের জন্য সুখবর সেখানেই সীমাবদ্ধ। হোয়াইট হাউসে ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনায় যুদ্ধ থামানোর বিষয়ে আশাবাদী বার্তা মিললেও, মার্কিন বাজারে ইজরায়েলি পণ্যের উপর আরোপিত শুল্ক ছাড়ের বিষয়ে কোনও আশ্বাসই পেল না তেলআবিব।

সোমবার হোয়াইট হাউসে মুখোমুখি বসেন দুই রাষ্ট্রনেতা। আলোচনার কেন্দ্রে ছিল দুটি বড় বিষয়—গাজায় চলমান যুদ্ধ এবং ইজরায়েলি রপ্তানির উপর মার্কিন শুল্কের বোঝা। ট্রাম্প দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই তাঁদের দ্বিতীয় বৈঠক।

যুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্পের বার্তা কিছুটা আশার সঞ্চার করলেও, শুল্ক প্রসঙ্গে নেতানিয়াহুর চাওয়া যে আপাতত অপূর্ণই রইল, তা স্পষ্ট। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়ে দেন, “আমরা ইজরায়েলকে অনেক সাহায্য করি, বছরে ৪০০ কোটি ডলার দিয়ে থাকি। সেটাই যথেষ্ট।”

ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন বাণিজ্য নীতির ফলে আমেরিকায় ইজরায়েলি পণ্যের উপর চাপানো হয়েছে ১৭ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক। নেতানিয়াহু এই বোঝা কিছুটা কমাতে চাইলেও, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাতে আগ্রহী নন বলেই প্রতীয়মান। যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে নেতানিয়াহু বলেন, “আমরা আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি দূর করতে চাই। খুব দ্রুত কিছু পদক্ষেপ নিতে চাই, যা অন্য দেশগুলির জন্য উদাহরণ হয়ে উঠতে পারে।”

যদিও এই বাণিজ্যিক আলোচনার ফাঁকেই গাজা প্রসঙ্গেও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন ট্রাম্প। বলেন, “আমি যুদ্ধ থামাতে চাই। আমার বিশ্বাস, এই সংঘাত এখন এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে যুদ্ধ থেমে যাওয়া সময়ের অপেক্ষা মাত্র।” নির্বাচনী প্রচারে গাজা যুদ্ধ থামানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এবার বাস্তবেও সেই লক্ষ্যে এগোতে চান বলে ইঙ্গিত দিলেন।

উল্লেখ্য, বহুদিন ধরেই গাজায় হামাস এবং ইজরায়েলি সেনার মধ্যে চলছে সংঘর্ষ। প্যালেস্টাইনপন্থী গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে সংঘাতে বরাবরই ইজরায়েলকে সমর্থন করেছে আমেরিকা। কিন্তু যুদ্ধের দীর্ঘায়িত হওয়া ও আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে, এবার ট্রাম্প প্রশাসন কিছুটা নমনীয় হওয়ার ইঙ্গিত দিল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

তবে যুদ্ধ থামানোর বার্তা যতটা আশাব্যঞ্জক, বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ততটাই কঠোর থাকছে আমেরিকা। শুল্ক ছাড় নিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্যে স্পষ্ট, ইজরায়েলকে যে সব রকম সুবিধা আগের মতো আর মিলবে না।

সব মিলিয়ে, একদিকে গাজায় শান্তির সম্ভাবনা—অন্যদিকে ইজরায়েলের কাঁধে বাণিজ্যিক চাপ। নেতানিয়াহুর মার্কিন সফর আপাতত দ্বৈতবার্তা নিয়েই শেষ হল। শান্তির অপেক্ষায় বিশ্ব, আর অর্থনীতির ভার কাঁধে নিয়েই ফিরতে হল নেতানিয়াহুকে।

পুরুষের ত্বকে ক্যানসারের ঝুঁকি ৫০% বেশি! সানস্ক্রিন মাখছেন ঠিকঠাক?

Read more

Local News