পুতিন যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চান!
ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বরং যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন বিতর্ক উসকে দিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। তাঁর দাবি, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আসলে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চান, কিন্তু সেই কথা সরাসরি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বলতে ভয় পাচ্ছেন!
পুতিনের সন্দেহ, ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন, তিনি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের অবসান ঘটাবেন এবং এর জন্য আমেরিকা ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব দিয়েছে। তাঁর বিশ্বাস, রাশিয়া এই প্রস্তাবে সম্মত হবে। তবে, ট্রাম্প হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন যে, যদি রাশিয়া এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অর্থনৈতিক অবরোধ জারি করা হতে পারে।
পুতিন প্রকাশ্যে বলেছেন যে, তিনি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের বিষয়টি বিবেচনা করছেন। তবে কীভাবে এটি বাস্তবায়ন হবে, সে বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। আর এখানেই জ়েলেনস্কির কটাক্ষ— আসলে পুতিন যুদ্ধ থামানোর কোনো পরিকল্পনাই করছেন না।
জ়েলেনস্কির তীব্র কটাক্ষ
জ়েলেনস্কি বলেন, “পুতিন আসলে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের পরিকল্পনা করছেন। তিনি জানেন, তিনি এই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চান এবং ইউক্রেনের মানুষকে হত্যা করতে চান। কিন্তু এই সত্যিটা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বলার সাহস পাচ্ছেন না।”
ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের বক্তব্য স্পষ্ট, রাশিয়া যদি সত্যিই শান্তি চায়, তাহলে তারা এই প্রস্তাব মেনে নিত। কিন্তু বাস্তবে তারা যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পক্ষেই বেশি আগ্রহী।
তিন বছর পেরিয়ে গেল, সমাধানের পথ অধরাই
গত তিন বছর ধরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে রাশিয়া ইউক্রেনের একাধিক অঞ্চলে সেনা মোতায়েন করে এবং এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ এলাকা দখল করে ফেলেছে।
ট্রাম্পের দাবি, তিনি প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন এই যুদ্ধ থামাবেন এবং রাশিয়াকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কিন্তু রাশিয়া যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পক্ষেই বেশি আগ্রহী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কূটনৈতিক দড়ি টানাটানি
এখন প্রশ্ন হলো, রাশিয়া কি আদৌ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হবে? নাকি তারা নিজেদের কৌশলগত পরিকল্পনা অনুযায়ী আগ্রাসন চালিয়ে যাবে?
🔹 ট্রাম্প চাচ্ছেন যুদ্ধ থামাতে।
🔹 ইউক্রেন যুদ্ধবিরতিতে রাজি।
🔹 পুতিন প্রকাশ্যে কিছু না বললেও, যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চাইছেন বলেই দাবি জ়েলেনস্কির।
এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে চাপে পড়েছেন পুতিন। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে তা রাশিয়ার জন্য কৌশলগত ক্ষতির কারণ হতে পারে, কারণ তারা বর্তমানে সামরিকভাবে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে।
তবে ট্রাম্পের অর্থনৈতিক অবরোধের হুমকির ফলে রাশিয়া চাপে পড়তে পারে। এখন দেখার বিষয়, পুতিন কী সিদ্ধান্ত নেন এবং এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব বাস্তবে পরিণত হয় কি না।
২০২৭ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করলেন রোহিত, ফিটনেসে নজর দিচ্ছেন অভিষেক নায়ারের সাহায্যে