ধোনি ছাড়া উপায় নেই?
চেন্নাই সুপার কিংস যেন ধোনিকে ছাড়া পানি খুঁজেই পায় না! মাত্র ১১ দিনের ব্যবধানে, মাঠে ফিট থাকা সত্ত্বেও হঠাৎই চোটের অজুহাতে সরিয়ে দেওয়া হল রুতুরাজ গায়কোয়াড়কে। আর আবারও ক্যাপ্টেন কুল—মহেন্দ্র সিং ধোনির হাতেই দলের ভার।
গত ৩০ মার্চ রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে খেলতে গিয়ে জফ্রা আর্চারের একটি ডেলিভারিতে কনুইতে চোট পান রুতুরাজ। তবে পরের দু’টি ম্যাচে তিনি নির্বিঘ্নে ফিল্ডিং, ব্যাটিং এবং অধিনায়কত্ব চালিয়ে যান। কোথাও যেন বোঝার উপায় ছিল না যে চোট গুরুতর। অথচ ১১ দিন পর হঠাৎ জানা গেল, তাঁর কনুইয়ের হাড়ে চিড় ধরা পড়েছে এবং তিনি পুরো আইপিএল মরসুম থেকেই ছিটকে গিয়েছেন!
এই ঘোষণার ঠিক পরেই প্রশ্ন উঠছে— এটা কি শুধুই চোটের কারণ? না কি পর পর চারটি ম্যাচে হারের দায়েই সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে?
রুতুরাজের অধিনায়কত্বে এই মরসুমে শুরুটা কিন্তু খারাপ হয়নি। মুম্বইকে হারিয়ে দারুণ সূচনা করেছিল চেন্নাই। কিন্তু এরপর টানা হারে ভেঙে পড়ে দল—বেঙ্গালুরু, রাজস্থান, দিল্লি ও পঞ্জাবের কাছে হার। পারফরম্যান্স তো দুর্বল ছিলই, সঙ্গে দলের মধ্যে পরিকল্পনার স্পষ্ট অভাবও ছিল চোখে পড়ার মতো। তাই কি ব্যর্থতার দায়ে রুতুরাজের কাঁধ থেকে নামিয়ে আনা হল ক্যাপ্টেনের ব্যাটন?
তবে এমন ঘটনা চেন্নাই শিবিরে নতুন নয়। ২০২2-তে ঠিক এমনটাই ঘটেছিল। সে বার ধোনি অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন, নেতৃত্ব পেয়েছিলেন রবীন্দ্র জাডেজা। কিন্তু আট ম্যাচে ছ’টি হারের পর তাঁকে সরিয়ে ফের ধোনিকেই দায়িত্বে ফেরানো হয়। জাডেজাও পরে জানিয়েছিলেন, তিনি চোটে খেলতে পারেননি।
২০২৩-এ ধোনির নেতৃত্বে দুর্দান্ত কামব্যাক করে ফাইনালে গুজরাতকে হারিয়ে পঞ্চম আইপিএল ট্রফি ঘরে তোলে চেন্নাই। সেই জয়ের রূপকার ধোনি, আর শেষ ওভারে জয় এনে দেওয়া জাডেজা।
২০২৪-এ আবারও নেতৃত্ব ছেড়ে দেন ধোনি। রুতুরাজকে ক্যাপ্টেন করা হয়। প্রথম মরসুমে প্লে-অফে ওঠা না হলেও দলের বিশ্বাস ছিল তাঁর উপর। কিন্তু এ বারের হারের ধাক্কা, দলীয় কৌশলের অভাব আর রেজাল্টের চাপে ফের সেই চেনা পথেই ফিরল চেন্নাই— ধোনির কাঁধেই ভরসা।
ধোনির বয়স ৪৩ হলেও ম্যানেজমেন্টের আস্থা যেন অটুট। তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে— রুতুরাজ সত্যিই কি খেলতে পারতেন না? না কি এটা ধোনিকে আবার সামনে আনার পরিকল্পিত পথ?
শুক্রবার কলকাতার বিরুদ্ধে ম্যাচে ধোনি মাঠে নামবেন নেতৃত্বে। এখন দেখার, অভিজ্ঞতার মিশেলে চেন্নাই আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে কিনা।
ধোনি কি আবারও প্রমাণ করবেন— “ফর্ম ইজ টেম্পোরারি, ক্লাস ইজ পার্মানেন্ট”? সমর্থকরা অপেক্ষায়।
হয়তো এই বিবাদে শেষ কথা বলবে।
তালা ভাঙার পাল্টা তালা! কসবা থেকে হুগলি—চাকরিহারাদের ক্ষোভে কাঁপছে রাজ্য