Monday, May 12, 2025

ট্রাম্পের নির্বাচন সংস্কার: নাগরিকত্ব প্রমাণ ছাড়া ভোট নয়

Share

ট্রাম্পের নির্বাচন সংস্কার!

মার্কিন নির্বাচনী ব্যবস্থায় বড়সড় পরিবর্তনের পথে হাঁটলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি স্বাক্ষরিত একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, শুধুমাত্র নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পারলেই কোনও ব্যক্তি ভোটার হিসাবে নিবন্ধন করতে পারবেন। পাশাপাশি, নির্বাচনের দিনেই ভোট সম্পন্ন করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।

নাগরিকত্বের প্রমাণ বাধ্যতামূলক

ট্রাম্পের আদেশনামা অনুযায়ী, ভোটার হিসাবে নাম নথিভুক্ত করতে নাগরিকত্বের সঠিক প্রমাণপত্র জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক হবে। এমনকি নির্বাচন শেষ হওয়ার পর আর কোনও ব্যালট গ্রহণ করা হবে না। প্রেসিডেন্টের মতে, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে আনতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

কারচুপি রোধে কঠোর অবস্থান

ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই ডাকযোগে ভোট ও নির্বাচন-পরবর্তী ব্যালট গ্রহণের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে আসছিলেন। তার বক্তব্য, এতে নির্বাচনে কারচুপির আশঙ্কা তৈরি হয়। নতুন আদেশ কার্যকর হলে, কোনও রাজ্য নির্ধারিত সময়ের বাইরে ভোট গ্রহণ করতে পারবে না।

রাজ্যগুলির উপর প্রভাব

যদিও যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, রাজ্য সরকারগুলিই নির্বাচনী নিয়মকানুন স্থির করে, তবুও ট্রাম্পের নির্দেশ মানতে বাধ্য হতে পারে তারা। প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, এই আদেশ লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্ট রাজ্য আর্থিক অনুদান হারাতে পারে।

বিরোধীদের প্রতিক্রিয়া

ডেমোক্র্যাটরা ইতিমধ্যেই ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তাদের মতে, এই আদেশ লক্ষ লক্ষ যোগ্য ভোটারকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারে, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটাররা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এছাড়া নাগরিকত্বের প্রমাণ সংক্রান্ত অসুবিধা নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করা হয়েছে। এক সমীক্ষা অনুসারে, আনুমানিক ৯ শতাংশ যোগ্য মার্কিন নাগরিকের কাছে নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র সহজলভ্য নয়।

আইনি লড়াইয়ের সম্ভাবনা

বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। মার্কিন কংগ্রেস এবং আদালত এই আদেশের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন। ইতোমধ্যেই বেশ কিছু মানবাধিকার সংস্থা আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ভবিষ্যতের দিশা

ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত মার্কিন নির্বাচনী ব্যবস্থায় দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে। নাগরিকত্বের প্রমাণ সংক্রান্ত কঠোর নিয়ম কার্যকর হলে, ভোটদানে অংশগ্রহণের হার হ্রাস পেতে পারে। অন্যদিকে, নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ কার্যকর হতে পারে বলেও কেউ কেউ মনে করছেন।

মার্কিন রাজনীতির এই নতুন মোড়ে দেশজুড়ে বিতর্ক এবং আলোচনার ঝড় উঠেছে। আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এবং জনমতের প্রতিক্রিয়ার উপর নির্ভর করছে এই আদেশের ভবিষ্যৎ।

বাংলা এখন শুধু বিনিয়োগের গন্তব্য নয়, এটি সম্ভাবনার ঠিকানা।

কনকনে ঠান্ডায় লন্ডনে মমতা: বিলেতে শুরু ছয় দিনের কর্মসূচি!

Read more

Local News