Saturday, May 3, 2025

চাকরি ফিরলেও স্বস্তি নেই! সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ক্ষণিকের হাঁফছাড়া, স্থায়ী সমাধানের খোঁজে শিক্ষকরা

Share

চাকরি ফিরলেও স্বস্তি নেই!

চাকরি ফিরে পেয়ে কিছুটা স্বস্তি মিললেও শিক্ষকদের মনে এখনও দুঃশ্চিন্তার ভাঁজ। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, যাঁরা ‘দাগি’ বা অযোগ্য নন, আপাতত তাঁদের স্কুলে যেতে কোনো বাধা নেই। এই রায়কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বড় স্বস্তির নিদর্শন বললেও, আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনেকেই এই সিদ্ধান্তকে দেখছেন কেবল একটি সাময়িক উপশম হিসেবে।

রাজ্যের মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আবেদনে সাড়া দিয়ে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চ জানায়, রাজ্য সরকারকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন করে পরীক্ষা নিয়ে পুরো নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। তার আগে ৩১ মে’র মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে এবং তা আদালতে হলফনামার মাধ্যমে জানাতে হবে। অন্যথায়, আদালতের এই নির্দেশ বাতিল হতে পারে।

নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক-শিক্ষিকারা আপাতত স্কুলে যেতে পারবেন এবং বেতন পাবেন। কিন্তু গ্রুপ-সি ও ডি শিক্ষাকর্মীদের ভাগ্যে শূন্যতা! তাঁদের আগের নির্দেশই বহাল থাকায় এখনই কাজে ফেরা সম্ভব নয়।

এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “আমরা আদালতের রায়কে স্বাগত জানাই। এটা বড় স্বস্তির খবর। ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় পেয়েছি, আশা করি ২০২৬ পর্যন্ত এটা গড়াবে না।” শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও আশ্বাস দিয়েছেন, “আইনের পথে থেকে যা যা সম্ভব, তা সরকার করবে।”

তবে আন্দোলন থামছে না। ‘যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী অধিকার মঞ্চ’-এর পক্ষে মেহবুব মণ্ডল জানান, “চাকরিতে ফিরলেও আন্দোলন চলবে। সরকারকে অযোগ্যদের তালিকা থেকে বাদ দিতেই হবে।” সংগঠন আগামী দিনে রাজভবন অভিযান ও বিভিন্ন জেলায় গণস্বাক্ষর কর্মসূচি চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে।

শিক্ষকদের মতো শিক্ষাকর্মীরাও হতাশ। পলাশ মণ্ডল, এক গ্রুপ-ডি কর্মী, বলেন, “একই রায়ে শিক্ষকরা স্বস্তি পেলেন, অথচ আমরা বঞ্চিত হলাম!” তাঁদের দাবি, “পরিবার নিয়ে পথে বসতে হবে, এই অবিচার আমরা মানব না।”

এই রায়কে কেউ কেউ কৌশলগত জয় বলে দেখলেও, আন্দোলনরত শিক্ষক অমিত ভুঁইয়া সাফ জানিয়ে দেন— “এই স্বস্তি সাময়িক। আমরা আমাদের পুরনো চাকরি চাই, সম্মান নিয়ে, ৬০ বছর পর্যন্ত।”

নবান্ন যদিও আইনি পরামর্শের অপেক্ষায়, তবুও অনেকের মনে প্রশ্ন— পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি কি সত্যিই বেরোবে? রাজ্য কি পারবে সময়মতো পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে?

এই রায়ের পরে যেমন একাংশ হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন, তেমনই অনেকের কপালে ভাঁজ! আপাতত চাকরির জয়, কিন্তু স্থায়ী স্বস্তির যুদ্ধ চলছেই।

জয়ী সিংহ ফতেহ্‌সিন! ৮ বছরের অপেক্ষার পর বাবা হলেন জাহির খান, খুশির হাওয়া লখনউ শিবিরে

Read more

Local News