Sunday, May 18, 2025

ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র আতঙ্ক: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের বিশেষ সিদ্ধান্ত

Share

পুরীর জগন্নাথ

ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র প্রভাবে ওড়িশা জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আবহাওয়ার পরিস্থিতি সোমবার থেকেই বদলাতে শুরু করে এবং বুধবার এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, ‘ডানা’র প্রভাবে ওড়িশার ১৪টি জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য রাজ্য সরকার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে এবং আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রথম থেকেই পুরীর সমুদ্রে নামা নিষিদ্ধ ছিল। ‘ডানা’ বৃহস্পতিবার রাতের দিকে বাংলা ও ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমানে, ডানা পারাদ্বীপ থেকে ৫৬০ কিলোমিটার এবং সাগরদ্বীপ থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। আজ দিনভর এই ঝড়ের শক্তি বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে, বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য ওড়িশা সরকার ফ্লাড সেন্টার খোলার পাশাপাশি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে প্রস্তুত করেছে। উপকূলবর্তী এবং নিম্ন এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য শুকনো খাবার, পানীয় জল, ওষুধ ও ইমার্জেন্সি লাইট হাতের কাছে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

জগন্নাথ

ওড়িশার রাজস্ব ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী জানিয়েছেন, ৮০০টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং ৫০০টি অস্থায়ী ত্রাণকেন্দ্রও তৈরি করা হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ২০টি টিম স্ট্যান্ড বাই রাখা হয়েছে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য।

এখন, এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেই পুরীর জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, ‘ডানা’র প্রভাবে যাতে মন্দিরে কোনও বিপত্তি না ঘটে, সেজন্য আপাতত মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পুণ্যার্থীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকলেও, পুজো চলবে। মন্দিরের ভিতরে প্রতিদিনের মতো সমস্ত নিয়ম মেনে নিষ্ঠার সঙ্গে জগন্নাথের পুজো হবে। কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।

পুরীর জগন্নাথ মন্দির বাংলাদেশের অন্যতম একটি পবিত্র স্থান। এখানে বছরের বিভিন্ন সময়ে হাজার হাজার পুণ্যার্থী আসেন। কিন্তু বর্তমানে, ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র কারণে এই পবিত্র স্থানে আসা পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। আশা করা যায়, সরকার ও কর্তৃপক্ষের প্রস্তুতি সফল হবে এবং ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

Read more

Local News