অবসাদ কাটাতে হু-র বেছে দেওয়া ৫ ভারতীয় আসন!
অবসাদ, উদ্বেগ কিংবা ক্লান্তিতে ডুবে থাকা মনকে আর ওষুধের উপর নির্ভর না করেও সুস্থ রাখা সম্ভব—তাও সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রাচীন পদ্ধতিতে। অবাক হলেও সত্যি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এক গবেষণায় জানাচ্ছে, কয়েকটি নির্দিষ্ট যোগাসন নিয়মিত করলে মন ভালো থাকে, অবসাদ কমে এবং উদ্বেগও নিয়ন্ত্রণে আসে।
আজকের যান্ত্রিক জীবনে মানসিক শান্তি যেন বিলাসিতা। বাইরের দুনিয়ার চাপে অনেক সময় নিজের ভেতরেই গুটিয়ে যেতে শুরু করে মানুষ। এক সময় এমন হয় যে, কারও সঙ্গে কথা বলতেও মন চায় না, কোনো কিছুর প্রতি উৎসাহ থাকে না। চিকিৎসাবিজ্ঞানে একে বলা হয় ‘ডিসোসিয়েটিভ ডিজ়অর্ডার’। আর যখন অতিসরল বিষয়ও মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তখন তা রূপ নেয় ‘অ্যাংজ়াইটি ডিজ়অর্ডার’-এ। এই অবস্থায় কী করবেন?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত মাত্র কয়েক মিনিট যোগাসন অভ্যাস করলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। হু বেছে নিয়েছে এমন ৫টি আসন, যেগুলি মানসিক প্রশান্তি আনার পাশাপাশি শরীরকেও চনমনে রাখে।
✅ ১. সেতুবন্ধাসন (ব্রিজ পোজ)
মাটিতে শুয়ে হাঁটু ভাঁজ করে পা জমিয়ে রাখুন। কোমর ধীরে ধীরে উপরে তুলুন, পিঠে ভর দিন। ২০ সেকেন্ড ধরে রেখে স্বাভাবিক ভাবে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস নিন। মনের ভার হালকা করতে এবং পিঠের ব্যথা কমাতেও কার্যকর।
✅ ২. বালাসন (চাইল্ড পোজ)
হাঁটু মুড়ে গোড়ালির উপর বসুন। এবার কোমর থেকে শরীর সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে বুক ঊরুর উপর রাখুন, মাথা ঠেকান মাটিতে। হাত দু’টি সামনে প্রসারিত করুন। ৩০ সেকেন্ড রাখুন, ৩ বার অভ্যাস করুন। মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে মানসিক চাপ কমায়।
✅ ৩. বিপরীত করণী (লেগ আপ দ্য ওয়াল পোজ)
চিৎ হয়ে শুয়ে পা দুটি সোজা করে উপরের দিকে তুলুন। শুরুতে দেওয়ালে ভর দিয়ে অভ্যাস করুন। শরীরের ভারসাম্য বজায় রেখে শরীর ও মনে প্রশান্তি আনে।
✅ ৪. উত্তনাসন (স্ট্যান্ডিং ফরোয়ার্ড ফোল্ড)
সোজা দাঁড়িয়ে কোমর থেকে শরীর ভাঁজ করুন, হাত দিয়ে মাটি ছোঁয়ার চেষ্টা করুন। হাঁটু না ভাঙিয়ে ১০ সেকেন্ড অবস্থান করুন। পিঠের রক্ত চলাচল বাড়ায়, ক্লান্তি ও বিষণ্ণতা দূর করে।
✅ ৫. মার্জারাসন (ক্যাট পোজ)
হাত-পা মাটিতে রেখে বিড়ালের মতো ভঙ্গি নিন। পিঠ উঁচু করে শ্বাস নিন, মাথা নিচু করে পেট ঢুকিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। ৫ বার অভ্যাস করুন। এটি স্নায়ুর চাপ হ্রাস করে এবং মনকে করে হালকা।
পশ্চিমবঙ্গের পহেলগাঁও: পুরুলিয়ার টুরগা উপত্যকার সবুজ মোহে মুগ্ধ দেশ, আপনি যাবেন কবে?

