Wednesday, May 14, 2025

এসএসসি-র পর এ বার প্রাথমিকেও বিপদ! ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের সঙ্কটে হাজারো স্বপ্ন

Share

এসএসসি-র পর এ বার প্রাথমিকেও বিপদ!

২৬ হাজার চাকরি বাতিলের রেশ কাটতে না কাটতেই আরও এক ধাক্কা! এ বার প্রাথমিক শিক্ষকদের ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের সম্ভাবনায় কাঁপছে হাজারো পরিবার। কলকাতা হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ আগে এই নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল। এ বার সেই রায় বহাল থাকবে কিনা, তা নির্ধারণ করবে ডিভিশন বেঞ্চ।

সোমবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের বেঞ্চে মামলার শুনানি শুরু হবে। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হতে চলেছে বহু প্রত্যাশিত এই শুনানি, যার দিকে তাকিয়ে আছেন বহু চাকরিপ্রার্থী ও তাঁদের পরিবার।

২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে দু’টি নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। ২০১৬ সালের নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ এনে ২০২২ সালে প্রিয়াঙ্কা নস্কর-সহ প্রায় ১৪০ জন চাকরিপ্রার্থী মামলা দায়ের করেন। ২০২৩ সালের মে মাসে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ৪২,৫০০ জন নিযুক্ত শিক্ষকের মধ্যে প্রশিক্ষণহীন ৩২ হাজার জনের চাকরি বাতিল করতে। তবে তাঁদের স্কুলে যাওয়ার নির্দেশও দেন তিনি। পাশাপাশি রাজ্য সরকারকে তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়।

এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। ডিভিশন বেঞ্চ ওই রায়ের উপর আংশিক স্থগিতাদেশ দিলেও নতুন নিয়োগ চালু রাখতে বলে। পরে বিষয়টি পৌঁছয় সুপ্রিম কোর্টে, যেখান থেকে ফের নির্দেশ আসে, সব পক্ষের বক্তব্য শুনে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

কিন্তু দীর্ঘ দু’বছর কেটে গেলেও শুনানি এগোয়নি। একাধিকবার বেঞ্চ পরিবর্তন হয়েছে, বিচারপতিরাও ব্যক্তিগত কারণে মামলা থেকে সরে গিয়েছেন। অবশেষে নতুন ডিভিশন বেঞ্চের হাতেই মামলার ভবিষ্যৎ।

মামলাকারীদের আইনজীবীরা মনে করছেন, এসএসসি মামলার মতোই এই ক্ষেত্রেও চাকরি বাতিলের সম্ভাবনা প্রবল। তরুণজ্যোতি তিওয়ারির মতে, প্রাথমিকের নিয়োগে দুর্নীতির মাত্রা এসএসসি থেকেও বেশি। এখানে অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়নি, সংরক্ষণ নীতি মানা হয়নি, পুরো প্যানেল প্রকাশ করা হয়নি এবং বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছে। একই মত প্রকাশ করেছেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিমও। তাঁর মতে, নম্বরের কারসাজি করে অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হয়েছে, যা এখন সিবিআইয়ের তদন্তের আওতায়।

এসএসসি মামলার সঙ্গে প্রাথমিকের অনেক মিল রয়েছে। যেমন, ওএমআর শিটের আসল নথি সংরক্ষিত নেই। পর্ষদ দাবি করলেও, তার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে আদালতে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। সিবিআই-এর তদন্তেও বেআইনি নিয়োগের ইঙ্গিত মিলেছে।

এই পরিস্থিতিতে ৩২ হাজার চাকরির ভবিষ্যৎ এখন ঝুলে রয়েছে আদালতের সিদ্ধান্তের ওপর। হাজারো চাকরিপ্রার্থী আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। স্বপ্নের মঞ্চ থেকে ছিটকে পড়ার ভয় তাঁদের চোখেমুখে। আগামী শুনানির পর স্পষ্ট হবে, স্বপ্ন রক্ষার পথ খোলা থাকবে, না কি আরেক দফা দুর্দিনের সম্মুখীন হবেন তাঁরা।

একটিমাত্র ছবিতে অভিনয়! কেন অভিনয় ছাড়লেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ে মেঘা?

Read more

Local News