আইপিএলের মঞ্চে সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে বৈভব সূর্যবংশী!
আইপিএলের নিলামে রাজস্থান রয়্যালস যখন ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় ১৪ বছরের কিশোর ব্যাটার বৈভব সূর্যবংশীকে দলে নিল, তখনই ক্রিকেটমহলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। তার পর থেকে কোচ মণীশ ওঝার তত্ত্বাবধানে কঠোর অনুশীলনে নিজেকে তৈরি করেছেন বৈভব। তবে, একসময় মাংস ও পিৎজ়া তার প্রিয় খাবার হলেও, আইপিএলের জন্য তার ওপর ছিল কঠিন নিয়ন্ত্রণ।
কোচের কঠোর বিধিনিষেধ
বৈভবের খাবারের তালিকায় ছিল মটন, পিৎজ়া, কিন্তু কোচ মণীশ ওঝা এইসব খাবারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। মণীশ বলেন, “বৈভব মাংস খুব ভালোবাসে, বিশেষত মটন। কিন্তু তার শরীরের ওজন বাড়ছিল, তাই তাকে খাদ্যাভ্যাসে নিয়ন্ত্রণ আনতে হয়েছিল। এই কঠোর নিয়মের ফলস্বরূপ আজ সে একদম ফিট এবং প্রস্তুত।”
তবে, বৈভব মটন এবং পিৎজ়া ছেড়ে দিলেও তার ক্রিকেটে শৃঙ্খলা ও কঠোর অনুশীলন থেকে নিজের সাফল্য অর্জন করেছে। কোচের বিশ্বাস, বৈভবের ভবিষ্যত উজ্জ্বল, এবং সে আইপিএলে আরও বড় রান করবে।
বিরাটের মতো ভয়ডরহীন ব্যাটিং
বৈভবের প্রথম আইপিএল ম্যাচ ছিল পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে। প্রথম বলেই শার্দূল ঠাকুরকে ছক্কা মারার পর, ২০ বলে ৩৪ রান করে তিনি সকলের নজর কাড়েন। কোচ মণীশ আশাবাদী, “বৈভব খুবই ভয়ডরহীন ব্যাটার। তার মধ্যে ব্রায়ান লারার গতি এবং যুবরাজ সিংহের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের মিশ্রণ রয়েছে।”
বৈভবের খেলা নিয়ে কোচ মণীশ আরও বলেন, “বৈভব একে একে সব লক্ষ্য পূরণ করেছিল, এবং তার মধ্যে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো আত্মবিশ্বাস রয়েছে। সে জানে কীভাবে পিচের পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিং করতে হবে।”
পরিবারের সমর্থন
বৈভবের পরিবারের সমর্থনও ছিল অপরিসীম। তার বাবা সঞ্জীব সূর্যবংশী প্রতিদিন ৯০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বৈভবকে কোচ মণীশের অ্যাকাডেমিতে অনুশীলন করাতে নিয়ে যেতেন। এই কঠোর অনুশীলন ও পরিবারের সমর্থনেই বৈভব আজ আইপিএলে খেলার সুযোগ পেয়েছে।
দ্রাবিড়ের সহায়তা
প্রথম ম্যাচের আগে, বৈভব কোচ মণীশকে ফোন করে জানায়, “রাহুল দ্রাবিড় স্যর আমাকে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে খেলানোর সুযোগ দিয়েছেন!” এই সুখবর শোনার পর কোচ মণীশ বৈভবকে উপদেশ দেন, “মাথা ঠান্ডা রেখে নিজের খেলা উপভোগ করো এবং যদি ছয় মারার সুযোগ পেয়ে যাও, কোনো দ্বিধা না রেখে মারো।”
গুগল সিইওর প্রশংসা
বৈভবের প্রথম ম্যাচের পারফরম্যান্স দেখে মুগ্ধ হয়েছেন গুগল সিইও সুন্দর পিচাইও। তিনি সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, “অষ্টম শ্রেণির ছাত্রের খেলা আইপিএলে দেখার জন্য ঘুম থেকে উঠে পড়েছিলাম। কী অসাধারণ অভিষেক!”
উপসংহার:
বৈভব সূর্যবংশী তার কঠোর পরিশ্রম এবং সহায়তা পাচ্ছেন তার কোচ ও পরিবার থেকে, এবং এভাবেই তিনি আইপিএল মঞ্চে নিজের পরিচয় তৈরি করছেন। সঠিক পথনির্দেশনা এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তার আগামী দিনগুলো আরও অনেক সাফল্যের সাক্ষী হতে পারে।
বাঙালির পাতে ভাত নয়, থাকবে ঘি-মাখন-প্রোটিন! ডায়াবেটিস আর মোটা হওয়া আটকাবে এই নতুন ডায়েটেই?