Thursday, January 30, 2025

অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে হুমকি! গ্রেফতার জনপ্রিয় বিরিয়ানি ব্যবসায়ী অনির্বাণ দাস

Share

গ্রেফতার জনপ্রিয় বিরিয়ানি ব্যবসায়ী অনির্বাণ দাস

মধ্যমগ্রামের বিখ্যাত ‘ডি বাপি বিরিয়ানি’ দোকানের কর্ণধার অনির্বাণ দাসকে গ্রেফতার করল পুলিশ। অভিযোগ, তিনি পুরসভার এক কর্মচারীকে মারধর করেছেন এবং আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখিয়েছেন। সোমবার বাদামতলা এলাকায় ঘটে যাওয়া এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

কী ঘটেছিল সেদিন?

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাদামতলার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ দত্তের বাড়ির একটি অংশ ভাড়া নিয়েছিলেন অনির্বাণ। তবে অভিযোগ, ভাড়ার চুক্তি শেষ হয়ে গেলেও তিনি ওই বাড়ি ছাড়ছিলেন না। এই নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।

সোমবার পরিস্থিতি চরমে ওঠে। বিশ্বজিৎ দত্ত বাড়ি ছাড়ার বিষয়ে চাপ দিলে অনির্বাণের সঙ্গে তাঁর বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে অনির্বাণ ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন এবং পরবর্তীতে বিশ্বজিৎকে মারধরও করেন। এখানেই শেষ নয়, অনির্বাণের এক নিরাপত্তারক্ষীর কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্রটি তিনি নিয়ে বিশ্বজিতের দিকে তাক করে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে

পুরসভার কর্মচারীর অভিযোগ ও পুলিশের পদক্ষেপ

হামলার পর বিশ্বজিৎ দত্ত মধ্যমগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার পরই পুলিশ তদন্তে নামে এবং অনির্বাণ দাসকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে, তবে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে আরও বিশদে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পরিবার ও ঘনিষ্ঠদের দাবি— ষড়যন্ত্র?

অন্যদিকে, অনির্বাণের পরিবার এবং ঘনিষ্ঠরা পুরো অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁদের দাবি, ঘটনাটিকে অতিরঞ্জিত করা হচ্ছে। অনির্বাণ দীর্ঘ তিন বছর ধরে বিশ্বজিতের কাছ থেকে জায়গাটি ভাড়া নিয়ে সেখানে ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। তবে বাড়ির মালিকের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী শৌচাগার ব্যবহারের অনুমতি নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। সেটাই মূলত বিবাদের কারণ বলে দাবি অনির্বাণপক্ষের।

তাঁদের আরও দাবি, আগ্নেয়াস্ত্র দেখানোর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করলেই প্রকৃত সত্য প্রকাশ পাবে।

জনপ্রিয়তা ও বিতর্ক— দুই নিয়েই চর্চায় অনির্বাণ

‘ডি বাপি বিরিয়ানি’ নামটি মধ্যমগ্রামে অত্যন্ত জনপ্রিয়। সেখানকার বিরিয়ানির স্বাদ বহু মানুষকেই আকর্ষণ করে। কিন্তু ব্যবসার জনপ্রিয়তার পাশাপাশি অনির্বাণের বিরুদ্ধে আগে থেকেই কিছু বিতর্কিত অভিযোগ ছিল। স্থানীয়দের মতে, তিনি প্রায়ই প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেন। কিছুদিন আগেও একটি ব্যবসায়িক বিরোধ নিয়ে তাঁর নাম জড়িয়েছিল।

তবে তাঁর সমর্থকরা বলছেন, এটি পরিকল্পিতভাবে তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র।

এখন কী হবে?

বর্তমানে অনির্বাণ পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্রের বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাইছে এবং সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে।

এই ঘটনায় মধ্যমগ্রামের ব্যবসায়ী মহলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই বিষয়টি নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত— কেউ বলছেন, অনির্বাণের শাস্তি হওয়া উচিত, আবার কেউ মনে করছেন, তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে।

ত্রিবেণী সঙ্গম থেকে পুণ্যার্থীদের সরাতে কঠোর পদক্ষেপ, ঘোড়সওয়ার পুলিশ নামাল যোগী সরকার

Read more

Local News