শুল্কযুদ্ধের মাঝেই আমেরিকা সফরে মোদী?
সেপ্টেম্বরে আবারও আমেরিকা সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লক্ষ্য: নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত হতে চলা রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক। যদিও এখনো ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এই সফর নিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি, তবু কূটনৈতিক মহলে জোর আলোচনা চলছে যে মোদী ওই সম্মেলনে অংশ নিতে পারেন।
এই সফর ঘিরে সবচেয়ে বড় জল্পনার বিষয়—মোদী ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য বৈঠক। ফেব্রুয়ারিতেই মোদী প্রথমবার ট্রাম্পের দ্বিতীয় দফার প্রেসিডেন্ট পদে থাকার সময় ওয়াশিংটন সফর করেছিলেন। তখন দুই নেতার মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। তবে সেই আলোচনার বাস্তবায়ন আজও অধরা। বরং, গত কয়েক মাসে দুই দেশের মধ্যে শুল্ক ও বাণিজ্য ঘিরে মতবিরোধ বেড়েছে।
ট্রাম্প সম্প্রতি একতরফাভাবে ভারতীয় পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ আমদানি শুল্ক বসিয়েছেন। পাশাপাশি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন—যদি ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ না করে, তবে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই অবস্থানে মোদীর তরফ থেকেও কড়া প্রতিক্রিয়া এসেছে। ফলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আপাতত বেশ টানাপড়েনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
এই প্রেক্ষাপটে যদি মোদী সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে নিউ ইয়র্ক যান এবং ট্রাম্পের সঙ্গে একান্তে বৈঠকে বসেন, তবে সেটা হতে পারে একটি কৌশলগত মোড়। অনেকেরই ধারণা, রাষ্ট্রপুঞ্জের বৈঠকের ফাঁকে দু’জনের এই আলোচনা দুই দেশের ভবিষ্যৎ বাণিজ্যিক সম্পর্ক নির্ধারণে বড় ভূমিকা নিতে পারে। আলোচনায় উঠে আসতে পারে শুল্ক সমস্যার সমাধান, নতুন বাণিজ্যচুক্তির সম্ভাবনা, এমনকি ভূরাজনৈতিক বিষয়ও।
সেপ্টেম্বর মাসের রাষ্ট্রপুঞ্জ অধিবেশনে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা উপস্থিত থাকবেন। সেই তালিকায় থাকবেন ট্রাম্পও। ফলে, মোদী-ট্রাম্প মুখোমুখি সাক্ষাৎ এখন সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছেন অনেক কূটনৈতিক বিশ্লেষক।
এছাড়া, ভারত-রাশিয়া-আমেরিকা সম্পর্কের ত্রিকোণ ব্যবস্থাও এই সফরের সময় আলোচনার কেন্দ্রে থাকতে পারে। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদী ফোনে কথা বলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জ়েলেনস্কির সঙ্গে। শোনা যাচ্ছে, নিউ ইয়র্ক সফরের সময় মোদীর সঙ্গে জ়েলেনস্কির পৃথক বৈঠকের সম্ভাবনাও রয়েছে।
অন্যদিকে, ১৫ অগস্ট আলাস্কায় ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকও নজরে রাখছে নয়াদিল্লি। আমেরিকা ও রাশিয়ার ঘনিষ্ঠতা ভারতের আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে কী প্রভাব ফেলবে, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠতে পারে মোদী-ট্রাম্প আলোচনায়।
সব মিলিয়ে বলা যায়, মোদীর এই সম্ভাব্য সফর কেবল রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি আনুষ্ঠানিক সভায় যোগদান নয়—এটি হতে পারে ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের নতুন দিকচিহ্ন। ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক হলে তা কেবল বাণিজ্যচুক্তির জট কাটানো নয়, বরং বৈশ্বিক রাজনীতিতে ভারতের অবস্থানকে আরও দৃঢ় করার এক বড় সুযোগও হতে পারে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে নতুন অভ্যাস শুরু করেছেন সোহা আলি খান, শরীর ভালো রাখতে খালি পেটে কী খান তিনি?

