Wednesday, May 7, 2025

SSC-র তালিকায় ‘আশার আলো’, কিন্তু কসবার ‘লাথি-তুফান’ পিছু ছাড়ছে না!

Share

SSC-র তালিকায় ‘আশার আলো’!

রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির আবহে এসএসসি অবশেষে যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশের প্রস্তুতি শুরু করেছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরিহারা প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের প্রাণপণ দাবি ছিল— “যোগ্যদের নামের তালিকা প্রকাশ করতেই হবে!” শুক্রবার বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠকে সেই দাবিতে মিলল সরকারি আশ্বাস।

💼 দুই সপ্তাহের মধ্যে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশের আশ্বাস

শিক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আইনি পরামর্শ নিয়ে আগামী ২১ এপ্রিলের মধ্যে তালিকা প্রকাশের চেষ্টা করা হবে। এসএসসি-র চেয়ারম্যান বৈঠকে জানিয়েছেন, কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। পাশাপাশি ওএমআর-এর ‘মিরর ইমেজ’ প্রকাশের ক্ষেত্রেও সরকারের আপত্তি নেই, যদিও প্রকৃত মিরর ইমেজ নাকি আর নেই। সিবিআইয়ের হাতে থাকা কপিটাই সামনে আনা হবে।

এই আশ্বাসে কিছুটা স্বস্তি মিললেও চাকরিহারারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, যত দিন না দাবি আদায় হচ্ছে, তত দিন শান্তি নয়।

🔁 কসবাকাণ্ড: আন্দোলনের পাশে লাথি বিতর্কের ছায়া

এই আলোচনার মধ্যেই কসবায় পুলিশের ‘লাথি-কাণ্ড’ ঘিরে বিতর্ক যেন নতুন মাত্রা পেল। এক শিক্ষককে লাথি মারার ঘটনায় অভিযুক্ত এসআই রিটন দাসকে অবশেষে তদন্তের দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে। তাঁর জায়গায় এসেছেন এসআই সঞ্জয় সিংহ।

পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা শুক্রবার জানিয়েছেন, আন্দোলনে ‘বহিরাগতরাও’ ছিলেন এবং পুলিশ আশাহত হয়েছিল শিক্ষকদের হিংসাত্মক আচরণ দেখে। তবে তিনি স্পষ্ট করে স্বীকার করেছেন, “লাথি মারা উচিত হয়নি।”

🗣️ প্রতাপের প্রতিবাদ: “আমি বলেছিলাম নিজেকে জ্বালাবো”

কলকাতা পুলিশের প্রকাশিত ভিডিয়োয় এক শিক্ষককে বলতে শোনা যায়, “পেট্রল আন, জ্বালিয়ে দেব!” বিতর্কিত মন্তব্য করা শিক্ষক প্রতাপ রায়চৌধুরী পরে দাবি করেছেন, তিনি সরকারি অফিস নয়, নিজেকে জ্বালানোর কথা বলেছিলেন। তাঁর কথায়, “চাকরি না পেলে আত্মহনন ছাড়া উপায় নেই। আমাদের অবস্থা এমনই করুণ।”

প্রতাপ জানান, তাঁর ঘাড়ে ঋণের বোঝা, ছোট সন্তান। মুখ দেখাতে পারছেন না পরিবারকে। তাঁর দাবি, “আমি আইনত চাকরি পেয়েছিলাম, আইনতই ফিরিয়ে আনব। আমি অযোগ্য কিনা, সেটা প্রমাণ করে দেখাক কেউ।”

📢 দানা বাঁধছে আন্দোলন, আশ্বাসে থেমে নেই বিক্ষোভ

শুধু কসবা নয়, এসএসসি অফিসের সামনেও চলছে লাগাতার বিক্ষোভ। কেউ কেউ অনশনেও বসেছেন। চিকিৎসক, প্রাক্তন বিচারপতি পর্যন্ত উপস্থিত হয়ে আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী নিজে অনুরোধ করেছেন, চাকরিহারারা যেন স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন না করেন। ক্লাসে ফিরে গিয়ে ‘স্বেচ্ছাসেবা’ চালিয়ে যেতে বলেছেন, আগেও যা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

✅ শেষ কথা:

যোগ্যতা নিয়ে বিভ্রান্তি, লাথি কাণ্ড নিয়ে বিতর্ক, আবার একই সঙ্গে সরকারি আশ্বাসের আলো— সব মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগ আন্দোলন এখন এক জটিল গাঁটছড়া। যোগ্যদের তালিকা সত্যিই প্রকাশ পেলে অনেকের দীর্ঘ দিনের অপেক্ষা হয়তো শেষ হবে, কিন্তু যতক্ষণ না ন্যায়বিচার মিলছে, শিক্ষকরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন।

চিন বাদে সব দেশের উপর শুল্কনীতি স্থগিত, ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে বিশ্ববাজারে ফিরল স্বস্তি

Read more

Local News