Maharashtra Election
মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন ২০২৪-এর দিন, মুম্বইয়ের ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বলিউড তারকা এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা ভোট দিতে আসেন। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন শিবসেনা ইউবিটি সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী। ভোট দেওয়ার পর তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি শেয়ার করেন, যেখানে তার কালো আঙুল দেখা যায়, এবং ক্যাপশনে লেখেন, “মাশাল সুপারমেসি! এমভিএ বিজয়!” তবে তার পোস্টটি যতটা না রাজনীতি নিয়ে, তার চেয়ে বেশি আলোচনা শুরু হয় তার পরনের টি-শার্ট নিয়ে।
প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী যেদিন ভোট দিতে যান, সেদিন তিনি পরেছিলেন একটি বিলাসবহুল ব্র্যান্ড বারবেরির টি-শার্ট, যা ছিল নীল জিন্সের সঙ্গে। কিন্তু পোস্টটি শেয়ার করার পরেই নেটিজেনদের একাংশ তার আউটফিট নিয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করে। একাধিক মন্তব্যে তাকে আক্রমণ করা হয়, কারণ তিনি একটি দামি ব্র্যান্ডের পোশাক পরেছিলেন, যা তাঁদের মতে সাধারণ মানুষের সঙ্গে অমিল। কেউ কেউ দাবি করেন, ওই টি-শার্টটির দাম ৩০ হাজার টাকা।
প্রিয়াঙ্কার পরনে বিলাসবহুল পোশাকের ছবি দেখে নেটিজেনরা তাকে ‘ব্র্যান্ডের দোকান’ বলেও উপহাস করেন। এমনকি কিছু নেটিজেন টি-শার্টটির দামসহ ব্র্যান্ডের ওয়েবসাইটের স্ক্রিনশটও শেয়ার করেন। এই ব্যাপারে অনেকেই মনে করেন, রাজনীতিবিদদের সাধারণ মানুষের পাশে থাকার ইমেজ বজায় রাখা উচিত এবং উচ্চমূল্যের পোশাক পরার কারণে সাধারণ মানুষের কাছে তারা আরও দূরে চলে যান।
কিন্তু এসব ট্রোলিংয়ের পর, চুপ থাকতে রাজি হননি প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী। তিনি আবারও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লেখেন, “আজকের ছবি বিজেপি আইটি সেলের ২ টাকার টুইটের টার্গেট হয়ে গেছে। আমি নিশ্চিত করে বলছি, ভবিষ্যতেও এই ট্রোলিংয়ের দোকান বন্ধ করতে দেব না।” প্রিয়াঙ্কা নিজেকে সঙ্গতিপূর্ণ ভাবে প্রতিরোধ করেছেন এবং ট্রোলিংয়ের বিরুদ্ধে তার অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।
তবে একদিনের জন্য হইচই হলেও, প্রিয়াঙ্কার ছবি এবং তার প্রতি নেতিবাচক মন্তব্যগুলি তার প্রতি জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি ও সমালোচনার প্রতিবন্ধকতা জানায়। রাজনীতিতে ব্যক্তিত্বের প্রতিফলন এবং তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবন ও শৈলীও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে, যেটি প্রায়ই সমালোচনা এবং বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে।

