AI দিয়ে ‘কণ্ঠ তৈরি’?
বীরভূমের প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল, যিনি রাজনীতির মঞ্চে ‘কেষ্ট’ নামেই বেশি পরিচিত, আবারও পুলিশের ডাকে সাড়া দিলেন না। শনিবার পুলিশ তাঁকে সকাল ১১টায় বোলপুর এসডিপিও অফিসে হাজিরা দিতে বলেছিল। কিন্তু সেই সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও অনুব্রতের দেখা মেলেনি। বরং হাজির হন তাঁর আইনজীবী এবং একাধিক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি।
অসুস্থতার অজুহাত, ঘনিষ্ঠদের দাবি AI দিয়ে তৈরি অডিও
অনুব্রতের আইনজীবীরা এসডিপিও অফিসে গিয়ে জানান, তাঁর শারীরিক অবস্থা ভাল নয়, ফলে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়। একই সঙ্গে কেষ্ট ঘনিষ্ঠ গগন সরকার বলেন, ‘‘উনি বাড়িতে বিছানায় শুয়ে আছেন।’’ তবে আশ্চর্যের বিষয়, সেই শনিবারই অনুব্রতকে দেখা গিয়েছে দলীয় কার্যালয়ে। যদিও সে প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিন্হা জানান, ‘‘কোনও মিটিং ছিল না। ওঁর শরীর খারাপ, তাই দেখতে এসেছিলাম।’’
তবে এদিন আরও বিস্ময়কর দাবি করেন গগন সরকার। তাঁর কথায়, পুলিশের হাতে যে অডিও ক্লিপ রয়েছে, তা নাকি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা AI দিয়ে বানানো। অর্থাৎ, কারও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত চক্রান্তে অনুব্রতের গলা ‘নকল’ করে মিথ্যা প্রমাণ তৈরি করা হয়েছে।
পুলিশের তলব ও রাজনৈতিক উত্তাপ
ঘটনার সূত্রপাত একটি এফআইআরকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ, অনুব্রত মণ্ডল পুলিশকে হুমকি দিয়েছেন। সেই ভিত্তিতে তাঁকে শনিবার হাজিরা দিতে বলা হয়। তিনি না যাওয়ায় পুনরায় রবিবার সকাল ১১টার সময় নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু এদিনও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তিনি হাজিরা দেননি।
গগন সরকার বলেন, ‘‘দাদা দুপুরে যেতে পারেন।’’, যদিও দুপুর গড়িয়েও কেষ্ট এলেন না। তাঁর আইনজীবী বিপদতারণ বলেন, ‘‘চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। উনি অসুস্থ, পুলিশকে তা জানানো হয়েছে। তবে তদন্তে সহযোগিতা করবেন।’’
এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি কেষ্ট এবার আগাম জামিনের আবেদন করবেন? আইনজীবী সেই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ। শুধু বলছেন, ‘‘চক্রান্ত চলছে। কিন্তু কে করছেন, কেন করছেন, সেটা বলা যাচ্ছে না।’’
রাজনীতির ছায়ায় তদন্তের গতি?
তৃণমূলের অনেক নেতা-কর্মীর দাবি, অনুব্রতের বিরুদ্ধে এই মামলা পুরোপুরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। রাজ্যে ভোট পর্ব যত এগিয়ে আসছে, ততই চাপ বাড়ছে বিরোধী শিবির থেকে। আবার অন্যদিকে, পুলিশি তদন্তে রাজনৈতিক প্রভাব থাকছে কি না, সেই প্রশ্নও ঘুরছে জনমনে।
‘লুক’ ফিরল, জয়ের ইঙ্গিত? হার্দিক পাণ্ড্যের রূপ বদল ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে

