Wednesday, December 10, 2025

ধন-খ্যাতির আড়ালে নীরব সম্রাট: ‘ধুরন্ধর’-এর রহমান ডাকাতে অক্ষয়ের ২.৫ কোটি! মোট সম্পত্তির অঙ্ক কত জানেন?

Share

‘ধুরন্ধর’-এর রহমান ডাকাতে অক্ষয়ের ২.৫ কোটি! মোট সম্পত্তির অঙ্ক কত জানেন?

ধুরন্ধর’ ছবির পর অক্ষয় খন্নাকে ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে। এই ছবিতে রহস্যময়, নিষ্ঠুর ‘রেহমান বালুচ’-এর চরিত্র ফুটিয়ে তুলে দর্শকদের চমকে দিয়েছেন অভিনেতা। যাঁরা বহু দিন ধরে বলছেন, অক্ষয়কে বলিপাড়ায় কখনও তাঁর প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হয়নি— তাঁরাও যেন এই ছবির পরে নতুন করে অভিনেতাকে আবিষ্কার করছেন। সেই আবিষ্কারের আবহে উঠে এসেছে আর একটি প্রশ্ন— দীর্ঘ কয়েক দশকের অভিনয়জীবনে অক্ষয় খন্না ঠিক কত সম্পত্তির মালিক?

ছবির একটি বিশেষ দৃশ্যে কালো পোশাক পরে, চোখে রোদচশমা লাগিয়ে, গাড়ি থেকে নেমে সেলাম ঠুকে নাচতে নাচতে এক আসরে প্রবেশ করেন অক্ষয়। আরবি সংগীতের ছন্দে তাঁর সেই দৃশ্য যেন রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যায়। এই নাচ শেখার পিছনে কোনও গুরু বা আলাদা কোরিয়োগ্রাফার ছিলেন কি? ছবির অপর অভিনেতা দানিশ পান্ডে জানিয়েছেন, অক্ষয় নিজের মতো করেই নাচটি তৈরি করেছিলেন। পরিচালক আদিত্য ধর তাঁকে মুক্ত হাতে বলেছিলেন— “যা মনে হয়, করুন।” এবং অক্ষয়ের স্বতঃস্ফূর্ত নাচই ক্যামেরায় দুর্দান্ত দেখিয়েছে।

অভিনয়জীবনের শুরু ১৯৯৭ সালে ‘হিমালয়পুত্র’ দিয়ে। তার পর ‘বর্ডার’, ‘দিল চাহতা হ্যায়’, ‘হুলচুল’, ‘আক্সার’-এর মতো ছবিতে তাঁর অভিনয় বহুবার সমালোচকদের প্রশংসা কেড়েছে। তবুও অক্ষয় কখনও প্রচারের আলোতে থাকেননি। সমাজমাধ্যম থেকে দূরে থাকা, কম সাক্ষাৎকার দেওয়া, নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নীরব থাকা— সব মিলিয়ে বলিউডের প্রচলিত তারকা-সংস্কৃতি থেকে অনেকটাই আলাদা তিনি।

২০২৫ সালে খলনায়কের ভূমিকায় তাঁর প্রত্যাবর্তন যেন আশ্চর্য ভাবে তাঁকে ফিরিয়ে এনেছে দর্শকদের কাছে। ‘ছাওয়া’ ছবির ভিলেন হিসেবেও সাড়া ফেলেছেন। আর ‘ধুরন্ধর’-এর পর তো তাঁর জনপ্রিয়তা যেন নতুন উচ্চতায়।

এ বার প্রাণন্তক প্রশ্ন— অক্ষয় খন্নার মোট সম্পত্তির পরিমাণ কত?

বিশ্বাস করা কঠিন হলেও অক্ষয় এখন ১৬৭ কোটি টাকার মালিক। শান্ত, আলোকবিমুখ জীবনের আড়ালে তিনি চুপচাপ গড়ে তুলেছেন নিজের সাম্রাজ্য। মুম্বইয়ের জুহু, মালাবার হিল, টারডেও— শহরের সবচেয়ে দামি এলাকাগুলিতে তাঁর একাধিক বিলাসবহুল আবাসন রয়েছে। স্থাবর সম্পত্তির বাজারদরই প্রায় ১০০ কোটি টাকার কাছাকাছি

শুধু অভিনয়ই নয়, চলচ্চিত্র প্রযোজনা, বিনিয়োগ, রয়্যালটি— মিলিয়ে আয়ের একাধিক উৎস তাঁর। কিন্তু অক্ষয়ের এই সাফল্যের কথা জানা যায় খুব কমই, কারণ তিনি প্রচার চান না। তাঁর মতে, “আমি শুধু কাজ করি। বাকিটা অন্যরা ভাবুক।”

‘ধুরন্ধর’-এ অভিনয়ের জন্য অক্ষয় পেয়েছেন ২.৫ কোটি টাকা পারিশ্রমিক, যা তাঁর কেরিয়ারের অন্যতম বড় চুক্তি— যদিও বলিউডের চড়া হারের তুলনায় এখনও অত্যন্ত সংযত।

আজকের তারকা-যুগে যেখানে প্রায় প্রত্যেকের জীবনই সমাজমাধ্যম নির্ভর, সেখানে অক্ষয় খন্না এক প্রকার ব্যতিক্রম। তিনি না প্রচার করেন, না বিতর্কে জড়ান। কাজ দিয়ে নিজেকে তুলে ধরেন— আর সেই কারণেই, প্রায় তিন দশক পরেও তাঁর অভিনয় আজও তাজা, আকর্ষণীয় এবং অনন্য।

‘ধুরন্ধর’-এর রেহমান বালুচ যেমন রহস্যময়, অক্ষয় খন্না বাস্তবেও তেমনই— নীরব, সাদামাঠা, তবু অপ্রতিরোধ্য। তাঁর সম্পত্তির অঙ্ক যতই বড় হোক, অক্ষয় যেন নিজের মতোই— চুপচাপ, নিজের ছন্দে, নিজের জগতে।

Read more

Local News