এমবাপের ‘চতুষ্টয়’ জাদু, ভিটিনহার হ্যাটট্রিক—চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গোলবন্যা!
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রাত মানেই উত্তেজনার বিস্ফোরণ। আর সেই উত্তেজনাকে আকাশছোঁয়া করলেন কিলিয়ান এমবাপে ও পিএসজি-র ভিটিনহা। দু’জনেরই অসাধারণ গোলশিল्पে আনন্দে ভাসল ইউরোপের ফুটবলমঞ্চ। অন্য দিকে দুরবস্থা কাটছে না লিভারপুলের—হারের ধাক্কায় রীতিমতো চাপে কোচ আর্নে স্লট।
এমবাপের একাই চার! রিয়ালের রোমাঞ্চকর জয়
এক ম্যাচে চার গোল—কথায় সহজ, কাজে দুরূহ। কিন্তু এমবাপের কাছে যেন এ সবই রুটিনের অংশ। অলিম্পিয়াকোসের বিরুদ্ধে রিয়াল মাদ্রিদের ৪-৩ ব্যবধানে জয়ের মধ্যমণি ছিলেন ফরাসি তারকা। ম্যাচের শুরুতেই চিকিনহোর গোলে পিছিয়ে পড়ে রিয়াল, কিন্তু মাত্র সাত মিনিটের ব্যবধানে একের পর এক তিনটি গোল করে হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেন এমবাপে।
২২, ২৪ ও ২৯ মিনিটে তাঁর পরপর তিনটি আঘাতে স্তম্ভিত গ্রিসের দল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এটি এমবাপের দ্বিতীয় দ্রুততম হ্যাটট্রিক। দ্বিতীয়ার্ধে তিনি আরও একটি গোল যোগ করেন (৬০ মিনিটে)। যদিও অলিম্পিয়াকোস লড়াই ছাড়েনি—তারেমি ও এল কাবির গোল ম্যাচকে উত্তেজনায় ভরিয়ে দেয়। তবু শেষ পর্যন্ত রিয়ালই শীর্ষে।
ম্যাচের পরে এমবাপে বলেছেন, “এই দলে খেলা মানেই বিশেষ অনুভূতি। সতীর্থরা এমন বল বাড়িয়েছে যে গোল করা সহজ হয়ে গিয়েছিল।”
মোট পাঁচটি হ্যাটট্রিক এখন তাঁর ঝুলিতে—দুর্দান্ত মেসি-রোনাল্ডোর রেকর্ডের দিকেও এগোচ্ছেন ধীরে ধীরে।
পিছিয়েও পিএসজি-র দুরন্ত কামব্যাক—ভিটিনহার হ্যাটট্রিকেই পাল্টে গেল ম্যাচ
টটেনহ্যাম প্রথমে এগিয়ে গেলেও পিএসজি-র ছন্দ ভাঙতে পারেনি। রিচার্লিসন প্রথমে স্পার্সকে লিড দিলেন। তার পরে দৃশ্যপট বদলে দিলেন ভিটিনহা।
ডান, বাঁ—দু’পা দিয়ে গোল এবং একটি পেনাল্টি—এই তিন শটে তিনি পূর্ণ করেন ব্যক্তিগত হ্যাটট্রিক।
বাকি দুই গোল করেন ফ্যাবিয়ান রুইজ় ও উইলিয়ান পাচো। বারবার পিছিয়ে থেকেও ম্যাচে ফিরে এসে শেষে ৫-৩ ব্যবধানে জয় তুলে নেয় গত মরসুমের চ্যাম্পিয়ন পিএসজি।
লিভারপুলের ‘লাল সঙ্কেত’—ঘরের মাঠেই বড় হার
ইংল্যান্ডের জায়ান্ট ক্লাবটি যে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তা ফের প্রমাণ হল পিএসভি আইন্দোভোনের বিরুদ্ধে লজ্জাজনক ১-৪ পরাজয়ে।
ইপিএলে নটিংহ্যামের কাছে ০-৩ ব্যবধানে হার এবং এখন ইউরোপে এই বিপর্যয়—ফলে কোচ আর্নে স্লটের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন বাড়ছে।
শেষ ১২ ম্যাচের মধ্যে ৯টিতে হেরেছে লিভারপুল—১৯৫৩-৫৪ মরসুমের পর যা ভয়ঙ্করতম পরিসংখ্যান।
পিএসভি-র হয়ে ইভান পেরিসিচ, গাস টিল ও কুহাইব ড্রিউয়েচরা গোল করেন। লিভারপুলের একমাত্র গোল সোবোজ়লাইয়ের।
হারের পরে স্লটের মন্তব্য, “ফল সত্যিই অবিশ্বাস্য। কিন্তু কোচিং নিয়ে কী আলোচনা হচ্ছে তা ভেবে মনের জোর হারাতে চাই না।”
নজর কাড়লেন নবীন ও প্রবীণ, এক রাতে দুই রেকর্ড
ডর্টমুন্ডের বিরুদ্ধে নজির গড়া কিশোর ভিক্টর দাদাসেন ফের গোল করলেন কাইরাতের বিরুদ্ধে—চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজের ‘উঠে আসা তারকা’ পরিচয় আরও পাকাপোক্ত করলেন তিনি।
একই রাতে মাঠ কাঁপালেন ব্রাজিলের অভিজ্ঞ ডেভিড লুইজ়ও। আট বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গোল করে প্রমাণ করলেন বয়স কেবল সংখ্যা—তার গোলেই মোনাকোর বিরুদ্ধে ২-২ সমতা টেনে নিল পাফোস।
ফুটবল যে কেবল খেলা নয়, আবেগ—এমন এক রাতে তারই প্রমাণ দিলেন এমবাপে, ভিটিনহা, দাদাসেন, লুইজ়রা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের উত্তাপ এখন আরও তীব্র, আর সামনে অপেক্ষা আরও বহু নাটকের।
আপনি চাইলে আমি—
✔ ম্যাচ ধরে ধরে বিশ্লেষণ
✔ এমবাপের ক্যারিয়ার গ্রাফ
✔ রিয়াল-পিএসজি-লিভারপুলের বর্তমান পয়েন্ট টেবিল
✔ পরের রাউন্ডের সম্ভাব্য পূর্বাভাস
এই সবই প্রস্তুত করে দিতে পারি।

