Sunday, November 30, 2025

“পলাশের আসল রূপটাই জানাতে চেয়েছিলাম”—মেরি ডি’কোস্টার স্পষ্ট বক্তব্য, স্মৃতি–পলাশ বিতর্কে কী বললেন তিনি?

Share

মেরি ডি’কোস্টার স্পষ্ট বক্তব্য, স্মৃতি–পলাশ বিতর্কে কী বললেন তিনি?

স্মৃতি মন্ধানা ও পলাশ মুচ্ছলের বিয়ে স্থগিত হওয়ার পর থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন মেরি ডি’কোস্টা। সামাজিক মাধ্যমে পলাশ ও তাঁর কথোপকথনের স্ক্রিনশট ও ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই নানা জল্পনা বাড়ছিল। কেউ বলছিলেন, মেরি নাকি পেশায় কোরিয়োগ্রাফার, আবার কেউ দাবি করেছিলেন স্মৃতি–পলাশের সঙ্গীত অনুষ্ঠানের নাচের দায়িত্বও নাকি তাঁরই ছিল। অবশেষে নীরবতা ভেঙে পুরো ঘটনার ব্যাখ্যা দিলেন মেরি।


❖ কেন প্রকাশ করলেন স্ক্রিনশট? সরাসরি উত্তর দিলেন মেরি

সোমবার রাতে নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি দীর্ঘ পোস্ট করে মেরি জানান—

“আমি কারও ক্ষতি করতে চাইনি। কেবল মনে হয়েছিল, মানুষের সত্যিটা জানা উচিত। আমার কোনও গোপন উদ্দেশ্য ছিল না।”

সংবাদমাধ্যম সূত্রে সামনে আসে যে, ২০২৫ সালের মে থেকে জুলাই—এই তিন মাসে পলাশের সঙ্গে মেরির কথোপকথন হয়েছিল। সেই সব স্ক্রিনশটই তিনি প্রকাশ্যে আনেন। তাঁর দাবি—

  • মাত্র এক মাস কথোপকথন হয়েছিল
  • তিনি পলাশের সঙ্গে কখনও দেখা করেননি
  • কোনও রকম সম্পর্কে জড়িয়েও পড়েননি

মেরির কথায়, তিনি বরাবরই ক্রিকেটপ্রেমী, এবং স্মৃতি মন্ধানা তাঁর খুব প্রিয় ক্রিকেটার। তাই স্মৃতির জীবনে ভুল কোনও মানুষ ঢুকুক—এটা তিনি চাননি।


❖ “বিয়ের কোরিয়োগ্রাফার আমি নই” — জল্পনার শেষ টানলেন মেরি

সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়িয়েছিল যে স্মৃতি–পলাশের সঙ্গীতের কোরিয়োগ্রাফারই নাকি মেরি। তিনি সেই দাবি একেবারে উড়িয়ে দিয়ে লিখেছেন—

“বিয়ের আসরে যিনি কোরিয়োগ্রাফার ছিলেন, তিনি আমি নই। পলাশ যাঁর সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছিলেন, তিনি ওই মহিলা—আমি নই।”

এই বক্তব্যে স্পষ্ট, বিয়ের বাড়ির অন্য এক মহিলার সঙ্গেই পলাশের গোপন যোগাযোগ ছিল। সেই জায়গায় মেরি নিজেকে নিয়ে ওঠা ভুল অনুমান ভাঙলেন।


❖ কেন অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিলেন মেরি?

স্ক্রিনশট প্রকাশ্যে আসতেই সমাজমাধ্যমে তাঁকে লক্ষ্য করে আক্রমণ শুরু হয়। কটূক্তি, দোষারোপ—সব মিলিয়ে মানসিক চাপ বাড়তে থাকে। তাই তিনি নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রাইভেট করে দেন। তাঁর আক্ষেপ ভরা বক্তব্য—

“আমি তো কোনও ভুল করিনি। কথোপকথনেও কখনও কোনও বাড়াবাড়ি করিনি। তবু আমাকে আক্রমণ করা হচ্ছে। আমি আর নিতে পারছি না।”

তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, তাঁর উদ্দেশ্য কারও সুনাম নষ্ট করা নয়—বরং সত্যিটা সামনে আনা।


❖ স্মৃতির বিরুদ্ধে কিছুই চান না মেরি

সমাজমাধ্যমে অনেকেই ধারণা করেছিলেন, তিনি হয়তো স্মৃতি মন্ধানার প্রতি ঈর্ষান্বিত। কিন্তু মেরি সাফ জানান—

“আমি কোনও মহিলার ক্ষতি করতে পারব না—সে জনপ্রিয় হোক বা না হোক। স্মৃতির বিরুদ্ধে আমার কিছুই নেই।”

তাঁর কথায়, নিজের সম্মান বাঁচাতেই তিনি সত্যিটা জানিয়েছেন।


❖ সম্পর্ক কত দূর এগোবে? উত্তর দিলেন মেরি

মেরির মতে, তাঁর ও পলাশের সম্পর্ক বলতে কিছুই ছিল না। তাই ভবিষ্যতেরও কোনও প্রশ্ন নেই।

“আমি পলাশকে কখনও দেখিইনি। কথা বলা ছাড়া আর কোনও সম্পর্ক ছিল না, নেইও।”


❖ উপসংহার

স্মৃতি–পলাশের বিয়ে স্থগিত হওয়া নিয়ে যতই বিতর্ক হোক, মেরির বক্তব্যে পরিষ্কার—

  • তিনি কোনও অশান্তি সৃষ্টি করতে চাননি
  • শুধু পলাশের আচরণের একটি দিক সামনে আনতে চেয়েছিলেন
  • স্মৃতিকে ভুল পথে যেতে দেখলে তিনি ব্যথিত হতেন

দুই পক্ষই এখন নীরব, বিয়ে কবে হবে কেউ জানে না। কিন্তু এই ঘটনায় মেরির ভূমিকা নিয়ে যে ধোঁয়াশা ছিল, তা তাঁর পোস্টে অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে গেল।

Read more

Local News