কাচের মতো উজ্জ্বল ত্বকের রহস্য ফাঁস করলেন তারা সুতারিয়া!
বিনোদন দুনিয়ায় নতুন প্রজন্মের অন্যতম আলোচিত মুখ তারা সুতারিয়া। প্রথম ছবিতেই নজর কেড়েছিলেন তিনি। সৌন্দর্য, উপস্থিত বুদ্ধি এবং নাচে পারদর্শিতার জন্য আলাদা পরিচিতিও পেয়েছেন। তবে ব্যক্তিজীবনে নানা গুঞ্জন, প্রেম নিয়ে বিতর্ক, সমালোচনা—সব মিলিয়ে তাঁকে ঘিরে আগ্রহের শেষ নেই। অভিনয়ে খুব বেশি প্রশংসা না পেলেও, তাঁর ত্বকের জেল্লা নিয়ে কৌতূহল সব সময়ই তুঙ্গে। কাচের মতো স্বচ্ছ, টানটান ত্বক দেখে অনেকেই জানতে চান, ঠিক কী ভাবে রূপচর্চা করেন তারা?
অভিনেত্রী নিজেই জানিয়েছেন, দামী প্রসাধনী নয়, বরং ঘরোয়া উপকরণ দিয়েই তিনি ত্বকের যত্ন নিতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। ব্যস্ত শুটিং সূচির মধ্যেও নিয়ম করে নিজের জন্য সামান্য সময় বের করে নেন, আর তখনই ব্যবহার করেন নিজের হাতে বানানো ফেসমাস্ক।
তারা বলেন, “দই, মধু, হলুদ আর বেসন—এই চারটে উপকরণ একসঙ্গে মেখে আমি মুখে লাগাই। মাত্র পনেরো মিনিট রাখলেই ত্বকের নিস্তেজভাব দূর হয়। ধুয়ে ফেললে মুখে স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরে আসে।” তাঁর মতে, যতই দামি প্রোডাক্ট ব্যবহার করা হোক, ঘরোয়া উপাদানের মতো ফল সব সময় পাওয়া যায় না।
এই প্যাকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বেসন। রূপবিশেষজ্ঞরাও দীর্ঘদিন ধরে বেসনের গুণাগুণের কথা বলে আসছেন। কিন্তু কেন বেসন এত কার্যকর?
১) বেসন ত্বককে স্বাভাবিক ভাবে এক্সফোলিয়েট করে
ত্বকে জমে থাকা মৃত কোষ মুছে ফেলে ত্বককে করে আরও মসৃণ। তৈলাক্ত, শুষ্ক বা সংবেদনশীল—সব ধরনের ত্বকেই বেসন ব্যবহার করা যায়। তার নিরামিষ প্রাকৃতিক গঠন ত্বকে কোনও ক্ষতি করে না।
২) ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়
নিয়ম করে বেসন ব্যবহার করলে মুখের মলিনভাব কমে। রোদে পোড়া দাগ, ব্রণের দাগ বা মেছতা ধীরে ধীরে হালকা হতে শুরু করে। ফলে ত্বক পায় নতুন দীপ্তি।
৩) ‘ওপেন পোর্স’ কমাতে সাহায্য করে
দামী টোনার বা ‘পোর টাইটেনিং’ মাস্ক কেনার প্রয়োজন নেই। বেসনের সঙ্গে দই বা দুধ মিশিয়ে সপ্তাহে দু’-তিন দিন প্যাক লাগালেই বড় ছিদ্র অনেকটাই ছোট দেখাবে। ত্বক হবে টানটান।
৪) অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
যাঁদের মুখে বার বার ব্রণ ওঠে, তাঁদের ত্বকে সাধারণত তেল নিঃসরণ বেশি হয়। বেসন সেই অতিরিক্ত তেল শুষে নিতে সক্ষম, ফলে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনাও কমে। অনেকেই নিয়ম করে ফেসওয়াশের বদলে বেসন ব্যবহার করেন। এতে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্কও হয় না।
তারা সুতারিয়ার ত্বক দেখে চোখে পড়ে এক বিশেষ স্বচ্ছতা। নায়িকা জানান, রূপচর্চার পাশাপাশি পর্যাপ্ত জলপান, ঘুম, আর নিয়মিত ব্যায়ামও তাঁর ত্বকের সৌন্দর্যে বড় ভূমিকা রাখে। সুন্দর ত্বক অর্থ শুধু প্রসাধনী নয়—বরং নিয়মিত যত্ন, সুস্থ জীবনযাপন ও মানসিক প্রশান্তির সমন্বয়।
আজকের ব্যস্ত জীবনে ঘরোয়া উপকরণ দিয়ে ত্বকের যত্ন নেওয়াটা শুধু সহজই নয়, বরং ত্বকের উপর নিরাপদও। তাই তারার মতোই আপনিও চাইলে কয়েকটি প্রাকৃতিক উপাদান দিয়েই নিজের ত্বকে ফিরিয়ে দিতে পারেন হারানো জৌলুস।

