🔶 কটাক্ষের ঝড়েও দৃঢ় পা! কম বয়সে বিয়ের সিদ্ধান্তে অনন্যা গুহর স্পষ্ট জবাব

কটাক্ষের ঝড়েও দৃঢ় পা!

বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম পরিচিত মুখ অনন্যা গুহকে নিয়ে সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। অভিনয়ের পাশাপাশি নিয়মিত ভ্লগ তৈরি করেন তিনি। নিজের ব্যক্তিগত মুহূর্ত, ভ্রমণ, কাজ, পারিবারিক অনুষ্ঠান—সবই ভাগ করে নেন দর্শকদের সঙ্গে। কিন্তু যতই অনন্যার জনপ্রিয়তা বাড়ছে, ততই তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে কটাক্ষের ঢেউ উঠছে নেটদুনিয়ায়। আগামী ২০২৬ সালের মার্চ মাসে দীর্ঘদিনের প্রেমিক সুকান্তর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়বেন অভিনেত্রী। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে প্রশ্নের বন্যা— “কেন এত কম বয়সে বিয়ে?” “এ কি অতিরিক্ত পরিণত হওয়ার ফল?” ইত্যাদি।

সম্প্রতি তাঁর প্রাক্-বিয়ের নানা ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কখনও আইবুড়ো ভাতের মুহূর্ত, কখনও বন্ধুদের সঙ্গে বিদেশি ধাঁচে ব্যাচেলরেট পার্টি—সবই নজর কেড়েছে নেটিজ়েনদের। কিন্তু এই মনোরম ছবির আড়ালেই লুকিয়ে ছিল একের পর এক কুরুচিকর মন্তব্য। কেউ লিখছেন, “অল্প বয়সে অতিরিক্ত পাকা মেয়ের মতো আচরণ করছে।” আবার কেউ বলছেন, “২১ বছরেই বিয়ে? এ তো ব্যক্তিগত উন্নতি থামিয়ে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত!”

অনন্যার ভ্লগে দেখা গেছে, তিনি ইতিমধ্যেই গয়না কেনা ও বিয়ের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। বহু দর্শক তাঁর প্রতিটি মুহূর্ত মন দিয়ে দেখলেও, আর এক অংশের নেটিজ়েন বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। তাঁদের দাবি, এই বয়সে বিয়ে করলে ক্যারিয়ারে প্রভাব পড়তে পারে। এমনকি কেউ কেউ ব্যঙ্গ করে বলেছেন, অনন্যা নাকি শুধুই ‘ট্রেন্ডিং’ হওয়ার জন্যই বিয়ের প্রস্তুতি দেখাচ্ছেন।

তবে সমালোচনার মুখে চুপ না থেকে স্পষ্ট উত্তর দিয়েছেন অনন্যা গুহ। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, “সুকান্তর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর এক সপ্তাহের মধ্যেই বুঝেছিলাম—এই মানুষটা আমার জীবনের জন্য ঠিক। যাঁরা বেশি বয়সে বিয়ে করার পরামর্শ দিচ্ছেন, তাঁরা হয়তো কম বয়সে ঠিক মানুষটাকে খুঁজে পাননি, তাই তাঁদের এমন মনে হচ্ছে।”

অনন্যা আরও বলেন, “বিয়ে আমার কাছে কোনও সামাজিক চাপ বা দায়িত্ব নয়। এটি দুই বন্ধুর একসঙ্গে থাকা, একে অন্যকে সমর্থন করার গল্প। ছোটবেলা থেকেই কাজ করছি, দায়িত্ব নিতে অভ্যস্ত। তাই কম বয়সে বিয়ে নিয়ে কারও কটাক্ষ আমাকে বিচলিত করে না।”

অভিনেত্রীর কথায় সবচেয়ে স্পষ্ট হয়ে ওঠে তাঁর আত্মবিশ্বাস—
“আমি আমার জীবনের সিদ্ধান্ত অন্যের মন্তব্য দেখে নেব না। জীবনের সঠিক সময় বলে কিছু নেই; সঠিক মানুষটাই আসল।”

নেটদুনিয়ার বিরূপ মন্তব্যে গুরুত্ব দিতে নারাজ অনন্যা জানিয়ে দেন, “মানুষ কী ভাবছে, সেটাকে প্রাধান্য দেওয়া আমার স্বভাবে নেই। নিজের অনুভূতি ও নিজের সুখই আমার কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ।”

বিয়ে নিয়ে যদিও উচ্ছ্বসিত অনন্যা, একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন নতুন ধারাবাহিকের শুটিংও শিগগিরই শুরু করবেন। অর্থাৎ বিয়ের প্রস্তুতি বা সংসার কোনওটাই তাঁর কর্মজীবনকে থামাবে না। বরং ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবন—দুটোই এগিয়ে নিয়ে যেতে চান তিনি সমান গতিতে।