Sunday, November 30, 2025

দক্ষিণ কোরিয়ায় তারকা নানার বাড়িতে সইফ-সদৃশ হামলা! সকালের আতঙ্কে কাঁপল সোল

Share

দক্ষিণ কোরিয়ায় তারকা নানার বাড়িতে সইফ-সদৃশ হামলা!!

বলিউডে সইফ আলি খানের বাড়িতে দুষ্কৃতীর অনুপ্রবেশ ও প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা এখনও তাজা। আর সেই স্মৃতি ফিরে এল বহু দূরের দক্ষিণ কোরিয়ায়। জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও গায়িকা নানা-র বাড়িতে শনিবার সকালেই ঘটল প্রায় হুবহু একই কাণ্ড—অস্ত্রধারীর অনুপ্রবেশ, ভয়াবহ হুমকি এবং অবশেষে পুলিশি উদ্ধার।

সোলের কাছে নানার বাড়িতে সকালবেলা হঠাৎই ঢুকে পড়ে প্রায় তিরিশোর্ধ্ব এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। হাতে ছিল ধারালো অস্ত্র। ৩৪ বছরের অভিনেত্রী ও তাঁর মাকে লক্ষ্য করে মুহূর্তে চড়াও হয়ে ওঠে সে। প্রথমে দু’জনকেই ভয় দেখাতে থাকে, পরে সরাসরি হুমকি দিতে শুরু করে। নানার সহকারী দলের বক্তব্য, পুলিশ পৌঁছনোর আগ পর্যন্ত মা-মেয়েকে নিজেরাই রুখে দাঁড়াতে হয়েছিল ওই আততায়ীর বিরুদ্ধে।

দীর্ঘক্ষণ ধস্তাধস্তির পর ক্লান্ত ও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন দু’জনেই। নানার মা জ্ঞান হারান ঘটনাস্থলেই। নানা নিজেও শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিস্থিতি বুঝে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। আতঙ্কের সেই মুহূর্তে বাড়ির ভেতরের প্রতিটি সেকেন্ডই ছিল ভয়াবহ। ঠিক সময়ে পুলিশ এসে পৌঁছনোর ফলেই বড় বিপদ থেকে রক্ষা পান তাঁরা। পুলিশ নানা-র বাড়ির ভেতর থেকেই অভিযুক্তকে আটক করে গুরি থানায় নিয়ে যায়।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের উদ্দেশ্য ছিল চুরি ও ডাকাতি। বাড়ির ভেতর ঢুকে অস্ত্র দেখিয়ে দুই মহিলা তার ছকে বাধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে সে। পুলিশের দাবি—বাড়তি ক্ষতি করার ইচ্ছাও ছিল অভিযুক্তের।

নানা, আসল নাম ইম-জিন-আহ, ২০০৯ সাল থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় গার্ল ব্যান্ড ‘আফটার স্কুল’-এর সদস্য হিসেবে পরিচিতি পান। পরে অভিনয়ে পা রেখে ‘কিল ইট’, ‘জাস্টিস’-এর মতো ধারাবাহিকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছেন। সোলের এক অভিজাত এলাকায় থাকা এই তারকার বাড়িতে এমন ঘটনা ঘটায় স্তম্ভিত তাঁর অনুরাগীরা।

ব্যাপারটি মনে করিয়ে দিল চলতি বছরের শুরুতে ঘটে যাওয়া সইফ আলি খানের বাড়ির ভয়াবহ রাতের কথা—মধ্যরাতে এক দুষ্কৃতী ঢুকে পরপর ছ’বার ছুরিকাঘাত করে পলাতক হয়েছিল। কিছু দিন আগেই সলমন খানের বাড়িতেও ঢুকে পড়েছিল এক অজ্ঞাতপরিচয় অনুরাগী। দক্ষিণ কোরিয়ার এই ঘটনার পর ভক্তরা বলছেন—দুই দেশের শিল্পীদেরই নিরাপত্তা বাড়ানো জরুরি।

নানার দল জানিয়েছে, চিকিৎসা চলছে। মানসিক আঘাতও সামান্য নয়। তদন্ত চলছে, পুলিশের প্রাথমিক অনুমান—আর্থিক উদ্দেশ্যেই অভিযুক্ত ঢুকেছিল, তবে পরিস্থিতি দ্রুত ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারত।

Read more

Local News