Sunday, November 30, 2025

শ্রীনগরের থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ: দর্জি মহম্মদ শফির করুণ মৃত্যু, কন্যার শেষ আরজি—“বাবা, যেও না!”

Share

শ্রীনগরের থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ!

শ্রীনগরের নওগাম থানা, শুক্রবার রাত। বাজেয়াপ্ত বিপুল পরিমাণ অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ছোট ছোট ব্যাগে ভরার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত পুলিশ। আর সেই ব্যাগ সেলাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এলাকার জনপ্রিয় দর্জি ৫৭ বছরের মহম্মদ শফিকে। দর্জির পরিবারের ধারণাও ছিল না—সেই রাতই তাঁর জীবনের শেষ রাত হয়ে উঠবে।


🔍 ঘটনা ঠিক কী?

ফরিদাবাদ থেকে বাজেয়াপ্ত প্রায় ২৯০০ কেজি বিস্ফোরক নওগাম থানায় এনে সংরক্ষণ করা হয়েছিল। পরিকল্পনা ছিল, এগুলো ছোট ছোট ব্যাগে ভরে নিরাপদে সরানোর। সেই ব্যাগ সেলাই করার জন্যই বার বার থানায় যেতে হচ্ছিল শফিকে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়—সেদিন রাতের খাবার শেষে তিনি যখন থানায় ফিরতে উদ্যত হন, মেয়ে কান্না চেপে বলেছিল—

“বাবা, আজ আর যেও না। বাইরে খুব ঠান্ডা…”

কিন্তু থানায় কাজ শেষ না হলে ছুটি নেই—বলে তিনি বেরিয়ে যান। আর ফিরে আসেননি।

এক ভয়াবহ বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় শফির দেহ। ধ্বংসস্তূপের এক কোণ থেকে দেহাংশ খুঁজে পেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লেগে যায় পরিবারের।


📌 ঘটনাটির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য (টেবিল আকারে)

বিষয়তথ্য
মৃত ব্যক্তিমহম্মদ শফি (দর্জি), বয়স ৫৭
স্থাননওগাম থানা, শ্রীনগর
কারণবাজেয়াপ্ত অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বিস্ফোরণ
কেন থানায় ছিলেনব্যাগ সেলাইয়ের কাজে
পরিবারস্ত্রী ও ৩ সন্তান—একমাত্র উপার্জনকারী
সরকারের ঘোষণা১০ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা

💬 পরিবারের ক্ষোভ আর অসহায়তা

শফির পরিবার এবং প্রতিবেশীরা প্রশ্ন তুলেছেন—

  • বিপজ্জনক বিস্ফোরক আবাসিক এলাকার থানায় কেন রাখা হয়েছিল?
  • সাধারণ দর্জিকে পুলিশের ঝুঁকিপূর্ণ কাজে কেন ডাকা হয়েছিল?
  • যদি শফি পুলিশকর্মী হতেন, তাঁর পরিবার আজ দিশেহারা হত?

এক আত্মীয় বলেন—
“তিনি পুলিশের সাহায্য করতেই গিয়েছিলেন। পরিবার চালাতে কী হবে এখন?”

Read more

Local News