🔍 ফরিদাবাদে ২৯০০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার, দিল্লি বিস্ফোরণের সঙ্গে কি একই চক্র যুক্ত? তদন্তে নতুন প্রশ্ন

ফরিদাবাদে ২৯০০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার!

হরিয়ানার ফরিদাবাদে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধারের পর, দিল্লির লালকেল্লার সামনে গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনা নতুন মোড় নিয়েছে। দুই ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র থাকতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা, যদিও এখনও কোনও চূড়ান্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

💣 কী উদ্ধার হয়েছে?

জম্মু-কাশ্মীর ও হরিয়ানা পুলিশের যৌথ অভিযানে উদ্ধার হয়—

৩৬০ কেজি আরডিএক্স তৈরির মশলা
মোট ২৯০০ কেজি বিস্ফোরক
২০টি বোমার টাইমার ও রিমোট
ওয়াকিটকি সেট
একাধিক পিস্তল ও AK-47 রাইফেল

এর সঙ্গে ৩ জন চিকিৎসকসহ একাধিক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিস্ফোরকের গোডাউন ছিল ফরিদাবাদের একটি ভাড়াবাড়িতে, যেখানে প্রধান সন্দেহভাজন চিকিৎসক মুজাম্মিল আহমেদ থাকত।

🚗 দিল্লির বিস্ফোরণ এবং সন্দেহের তীর

সোমবার সন্ধ্যায় লালকেল্লার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি Hyundai i20 গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে কমপক্ষে ৮ জন মারা গিয়েছেন।

গাড়িটির নম্বরপ্লেট হরিয়ানার
রেজিস্ট্রেশন ছিল মহম্মদ সলমন নামে এক ব্যক্তির নামে
তিনি দাবি করেছেন, গাড়িটি পুলওয়ামার তারেক নামে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করেছিলেন, নাম পরিবর্তন হয়নি

এখন তদন্তকারীরা দুই ঘটনার মধ্যে সম্পর্ক খুঁজছেন।

👥 নাশকতায় চিকিৎসকদের ভূমিকা?

তদন্তে জানা যাচ্ছে—

গ্রেফতার	ভূমিকা	এলাকা
আদিল আহমেদ রেয়াজার	পোস্টার লাগানো ও চক্রের যোগাযোগ	শ্রীনগর
মুজাম্মিল আহমেদ (চিকিৎসক)	ফরিদাবাদে বিস্ফোরক মজুত	ফরিদাবাদ
শাহিন (মহিলা চিকিৎসক)	AK-47 পরিবহণে সহায়তা	লখনউ

চক্রটি সামাজিক কাজের আড়ালে জঙ্গি নিয়োগ ও নাশকতার পরিকল্পনা করছিল বলে অভিযোগ।

⚠️ দিল্লির বিস্ফোরণ — আত্মঘাতী হামলা ছিল?

তদন্তে এখনও সিদ্ধান্ত না হলেও, আত্মঘাতী হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

কারণ:

চালক গাড়ি ছাড়েননি
বিস্ফোরণ গাড়ি থামার পরই ঘটে
ঘটনা ঘটেছে উচ্চ নিরাপত্তা অঞ্চল লালকেল্লার সামনে

🔎 এখন কী খুঁজছে তদন্তকারী দল?

দিল্লি বিস্ফোরণে ব্যবহৃত বিস্ফোরক ফরিদাবাদের মজুতের অংশ ছিল কি না
গাড়ি চালানো ব্যক্তির পরিচয়
চক্রটির উচ্চতর নেতৃত্ব ও পরিকল্পনার কেন্দ্র

🛑 পরিস্থিতি অত্যন্ত সংবেদনশীল

ভিত্তিহীন তথ্য বা গুজব না ছড়ানোর জন্য প্রশাসনের অনুরোধ রয়েছে।
তদন্ত চলছে, এবং পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠ নজরদারিতে।