🗳️ ২০০২ সালের ভোটার তালিকা নিয়ে বিপাকে মানুষ: হেল্পডেস্কেও মিলছে না সমাধান

২০০২ সালের ভোটার তালিকা নিয়ে বিপাকে মানুষ!

বর্তমান ভোটারদের বড় অংশই ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নিজের বা পরিবারের নাম খুঁজে পাচ্ছেন না। ঠিকানা বদল, সময়ের ব্যবধান এবং বুথ সংক্রান্ত তথ্য হারিয়ে যাওয়ায় বহু মানুষ এনুমারেশন ফর্ম কী ভাবে পূরণ করবেন, তা বুঝে উঠতে পারছেন না। নির্বাচন কমিশনের হেল্পডেস্কেও সঠিক দিশা মিলছে না— এমন অভিযোগ ক্রমশ বাড়ছে।

কী নিয়ে সমস্যা?

অনেকেই জানেন না—

• ২০০২ সালে তাঁদের বাড়ি কোন এলাকায় ছিল
• কোন বুথে তাঁরা ভোট দিতেন
• তাঁদের মৃত বাবা-মা কোন কেন্দ্রের ভোটার ছিলেন

যেমন—

• হুগলির সপ্তগ্রামের রানা দত্তগুপ্ত মনে করতে পারছেন না, ২০০২ সালে তাঁদের ভোটের বুথ কোনটি ছিল
• বেলগাছিয়ার সুদীপা দাশগুপ্তের পরিবার ১৯৯৫-এ তালতলায় থাকলেও, বর্তমানে তিনি অন্য ঠিকানায়। ২০০২ সালের তালিকায় তাঁর বাবা-মায়ের নাম নেই
• কামারহাটির এক ডব্লিউবিসিএস অফিসারও নিজের ও স্ত্রীর নাম খুঁজে পাচ্ছেন না
• হরিণঘাটা থেকে পানিহাটিতে যাওয়া মিতা ভট্টাচার্যও একই সমস্যায়

এ রকম অভিযোগ অসম্ভব বেশি সংখ্যায় জমা পড়ছে কমিশনের কাছে।

হেল্পডেস্ক কেন সাহায্য করতে পারছে না?

হেল্পডেস্ক কর্তৃপক্ষের বক্তব্য:

“ভোটারের কাছে সঠিক পুরনো ঠিকানা ও বুথের তথ্য না থাকলে ২০০২ সালের তালিকা থেকে নাম খুঁজে বের করা খুব কঠিন।”

অর্থাৎ, তথ্য না থাকলে কমিশনের ডেটাবেসও অনুসন্ধান করতে পারছে না।

বিএলও-রাও অসহায়

বুথ লেভেল অফিসারেরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম দিচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু
যাঁদের ঠিকানা বদল হয়েছে, তাঁদের তথ্য ট্র্যাক করা কঠিন হওয়ায়
বিএলও-রাও প্রয়োজনীয় সাহায্য করতে পারছেন না।

ভোটাররা কী চাইছেন?

ভোটারদের আবেদন—

• কমিশন স্পষ্ট নির্দেশিকা দিক,
• কোন বিকল্প নথি দেখালে ফর্ম পূরণ করা যাবে,
• এবং পুরনো বুথ বা তালিকা জানার সহজ পদ্ধতি জানানো হোক।

সরকারি ভাবে সঠিক নির্দেশ না এলে, সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়, মনে করছেন অনেকে।