বিজ্ঞাপন বিতর্কে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা কানাডার প্রধানমন্ত্রীর!!
আন্তর্জাতিক কূটনীতির অঙ্গনে ফের একবার চর্চার কেন্দ্রবিন্দু কানাডা ও আমেরিকার বাণিজ্য সম্পর্ক। সম্প্রতি একটি বিতর্কিত বিজ্ঞাপন ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে দুই দেশের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নে। তবে তাতে কি বরফ গলবে ওয়াশিংটন-অটোয়া সম্পর্কের?
📺 কী ছিল সেই বিতর্কিত বিজ্ঞাপনটি?
অন্টারিয়ো প্রদেশের সরকারের অর্থে সম্প্রচারিত হয় একটি টেলিভিশন বিজ্ঞাপন, যেখানে আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগ্যানের বক্তব্য ব্যবহার করা হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, রেগ্যান শুল্কনীতি নিয়ে সতর্ক করছেন—
“শুল্ক আরোপ করলে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হবে, তাতে উৎপাদন কমবে এবং বেকারত্ব বাড়বে।”
তবে অভিযোগ উঠেছে, রেগ্যানের বক্তব্যের প্রেক্ষাপট বিকৃত করা হয়েছে— তাঁর মূল বক্তব্য না দেখিয়ে শুধু এই অংশ ব্যবহার করা হয়েছে। এর পরেই ট্রাম্পের কড়া প্রতিক্রিয়া, তিনি কানাডাকে “ভুয়ো তথ্য প্রচারের দায়ে অভিযুক্ত” করে ১০% অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দেন।
🧾 ঘটনাপ্রবাহ এক নজরে
| বিষয় | বিবরণ |
|---|---|
| বিজ্ঞাপন সম্প্রচার | অন্টারিয়ো প্রাদেশিক সরকারের অর্থে কানাডা জুড়ে প্রচার |
| বিতর্কিত দিক | রেগ্যানের বক্তব্য আংশিকভাবে ব্যবহার |
| ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া | কানাডাকে “জঘন্য কাজের” অভিযোগ, অতিরিক্ত শুল্কের হুমকি |
| কার্নের অবস্থান | ক্ষমা প্রার্থনা ও বাণিজ্য আলোচনায় ফেরার আগ্রহ |
| বর্তমান অবস্থা | ট্রাম্প আপাতত অনড়, আলোচনা বন্ধ |
🇨🇦 কার্নের প্রতিক্রিয়া: আশাবাদী কিন্তু সতর্ক
বিতর্ক ঘনীভূত হতেই কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নে বিবৃতি দেন—
“আমরা আমেরিকার সঙ্গে দ্রুত সমস্যার সমাধান চাই। বিজ্ঞাপনের জন্য আমরা দুঃখিত।”
কার্নে আরও জানান, কানাডা আবারও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যচুক্তি আলোচনায় বসতে প্রস্তুত, যদি আমেরিকা রাজি হয়। যদিও হোয়াইট হাউসের অবস্থান এখনও কঠোর, এবং ট্রাম্প জানিয়েছেন যে তিনি আপাতত আলোচনায় ফিরতে চান না।
🌍 প্রভাব: দুই দেশের অর্থনীতি ও বিশ্ববাজারে প্রভাব
এই ঘটনার ফলে কানাডা-আমেরিকা সম্পর্কের টানাপোড়েন নতুন করে সামনে এসেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি এই শুল্ক যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে তা দুই দেশের বাণিজ্য ভারসাম্য, এমনকি উত্তর আমেরিকার অর্থনীতিকেও প্রভাবিত করতে পারে।
👉 বিস্তারিত পড়ুন Economic Times-এ মূল প্রতিবেদন।
🔗 সম্পর্কিত পাঠ
- ইউক্রেনের জন্য টমাহক ক্ষেপণাস্ত্রের অনুমোদন নিয়ে ট্রাম্পের অবস্থান
- বিশ্বরাজনীতি ও অর্থনীতি সংক্রান্ত আরও খবর পড়ুন
📌 উপসংহার
একটি বিজ্ঞাপন ঘিরে শুরু হওয়া এই বিতর্ক এখন দুই দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের কেন্দ্রবিন্দু। কানাডা ক্ষমা চাইলেও ট্রাম্পের অবস্থান স্পষ্ট— “কোনও আলোচনায় ফিরব না।” এখন দেখার বিষয়, এই ঠান্ডা যুদ্ধ কত দূর গড়ায়, নাকি শেষমেশ কূটনীতির টেবিলেই মীমাংসা হয়।

