বাংলা-সহ ১২ রাজ্যে শুরু হচ্ছে এসআইআর!
ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার রবিবার ঘোষণা করলেন, বিহারের সাফল্যের পর এবার বাংলা-সহ ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু হচ্ছে এসআইআর (Special Intensive Revision)। এই উদ্যোগের লক্ষ্য — দেশের ভোটার তালিকাকে আরও নির্ভুল ও আপডেট রাখা।
🗳️ কী এই এসআইআর?
এসআইআর (Special Intensive Revision) হল এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে ভোটার তালিকা যাচাই, সংশোধন ও হালনাগাদ করা হয় ঘরে ঘরে গিয়ে।
এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভুয়ো নাম বাদ, নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তি, ঠিকানার পরিবর্তন ইত্যাদি কাজ সম্পন্ন করা হয়।
| বিষয় | তথ্য |
|---|---|
| প্রক্রিয়া শুরু | ১ নভেম্বর ২০২৫ |
| রাজ্যের সংখ্যা | ১২ (বাংলা-সহ) |
| প্রথম সফল প্রয়োগ | বিহার |
| দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী | বুথ লেভেল অফিসার (BLO) |
| শেষ বার এসআইআর হয়েছিল | ২০০২ সালে (বাংলায়) |
📋 বাংলায় কীভাবে চলবে প্রক্রিয়া
কমিশনের সূত্র অনুযায়ী, আগামী ১ নভেম্বর থেকে বুথ লেভেল অফিসাররা (BLO) প্রত্যেক ভোটারের বাড়িতে যাবেন এনুমারেশন ফর্ম নিয়ে।
প্রক্রিয়ার ধাপ:
- প্রতি ভোটারের জন্য দু’টি ফর্ম ছাপা হবে।
- একটির কপি ভোটারের কাছে থাকবে, অপরটি বিএলও জমা দেবেন।
- ভোটারদের প্রয়োজনীয় পরিচয়পত্র ও ঠিকানার প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে।
📊 বাংলায় বর্তমানে প্রায় ৭.৬৫ কোটি ভোটার, ফলে কমিশন মোট ১৫.৩ কোটি ফর্ম ছাপাবে।
💬 মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য
জ্ঞানেশ কুমার বলেন,
“বিহারে সাড়ে সাত কোটি ভোটদাতা অংশগ্রহণ করেছেন। এবার ১২ রাজ্যে সেই একই সাফল্যের পুনরাবৃত্তি ঘটবে বলে আশাবাদী আমরা।”
তিনি আরও জানান, প্রতি ১০০০ ভোটারের জন্য একটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থাকবে এবং প্রতিটি কেন্দ্রে একজন ইলেকটোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ERO) নিয়োজিত থাকবেন, যাঁর অধীনে কাজ করবেন বিএলওরা।
🌐 কেন এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ
- ভোটার তালিকার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে।
- ডুপ্লিকেট ও ভুয়ো ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হবে।
- নতুন ভোটারদের অন্তর্ভুক্তি সহজতর হবে।
- দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া হবে আরও বিশ্বাসযোগ্য ও প্রযুক্তিনির্ভর।
🔗 আরও পড়ুন
- ভারতের নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ঘোষণা
- বাংলায় শেষ এসআইআর হয়েছিল কবে ও কেন
- ভোটার আইডি আপডেট ও নতুন নিবন্ধন পদ্ধতি
সংক্ষেপে:
- ১২ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু হচ্ছে এসআইআর।
- ১ নভেম্বর থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম বিতরণ করবেন বিএলওরা।
- বাংলায় শেষ এসআইআর হয়েছিল ২০০২ সালে — এবার তা আধুনিক ও ডিজিটাল পদ্ধতিতে।
🔍 আরও নির্বাচনী খবর, প্রযুক্তি ও আপডেট পেতে ভিজিট করুন TechnoSports বাংলা।

