Monday, December 1, 2025

পাকিস্তানে তালিবানের হামলায় মুখ খুলল সৌদি আরব — শান্তির বার্তা, প্রশ্নে সদ্য স্বাক্ষরিত প্রতিরক্ষা চুক্তি

Share

পাকিস্তানে তালিবানের হামলায় মুখ খুলল সৌদি আরব!

শনিবার রাতে পাকিস্তানে হামলা চালায় আফগানিস্তানের তালিবান বাহিনী। সীমান্তে শুরু হয় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আর তার মাঝেই রবিবার মুখ খুলল পাকিস্তানের ‘বন্ধু দেশ’ সৌদি আরব। রিয়াধের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে সৌদি সরকার দুই দেশকেই সংযম ও আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের আহ্বান জানায়।

সদ্য পাকিস্তানের সঙ্গে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছে সৌদি আরব, যেখানে বলা হয়েছে— স্বাক্ষরকারী দেশগুলির মধ্যে কোনও একটির উপর তৃতীয় পক্ষ হামলা চালালে, সেটি উভয়ের উপর হামলা হিসেবে ধরা হবে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, তালিবানের এই হামলার পর সৌদি কি পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াবে? আপাতত সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানায়নি রিয়াধ।


🔍 সৌদি আরবের বিবৃতি এক নজরে

বিষয়বিবরণ
মূল বার্তাসংযম বজায় রাখা এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আহ্বান
উদ্দেশ্যআঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা
পাকিস্তান-আফগান সংঘাত নিয়ে অবস্থানউভয় দেশকে উত্তেজনা প্রশমনের অনুরোধ
চুক্তির তাৎপর্যপাকিস্তানের সঙ্গে সাম্প্রতিক প্রতিরক্ষা চুক্তি কার্যকর হবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়

সৌদির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সৌদি আরব উভয় পক্ষকে সংযমের আহ্বান জানাচ্ছে। সমস্যার সমাধান শুধুমাত্র আলোচনার মাধ্যমেই সম্ভব।
রিয়াধ আরও জানিয়েছে, তারা এমন সমস্ত আন্তর্জাতিক উদ্যোগের পাশে থাকবে, যা দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চায়।


🌍 আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

এই সংঘাত নিয়ে নীরব থাকেনি প্রতিবেশী দেশ ইরানও। তাদের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচী বলেন, “পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতা পুরো অঞ্চলের শান্তির সঙ্গে যুক্ত। দুই দেশকেই সংযত হতে হবে।”
অন্যদিকে কাতারও দুই দেশকে আলোচনার টেবিলে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে অযথা প্রাণহানি ও সীমান্ত উত্তেজনা এড়ানো যায়।


⚔️ সংঘর্ষের পটভূমি

বিরোধের সূচনা হয় বৃহস্পতিবার, যখন পাকিস্তান কাবুলে বিমান হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। আফগান সরকারের দাবি, সেই হামলার জবাবেই শনিবার রাতে পাকিস্তানের সীমান্তে প্রতিশোধ নেয় তালিবান-নিয়ন্ত্রিত সেনা। রাতভর গোলাগুলি চলে, এখনো সীমান্তে উত্তেজনা তীব্র।

এদিকে, আফগান মন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির ভারত সফরের সময় এই সংঘর্ষের ঘটনার বিশেষ কূটনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।


🔗 প্রাসঙ্গিক তথ্যসূত্র


📰 আরও পড়ুন


শেষ কথা:
সৌদি আরব আপাতত নিরপেক্ষ ভুমিকা নিলেও, সাম্প্রতিক প্রতিরক্ষা চুক্তি কার্যকর হলে পাকিস্তানের প্রতি তাদের অবস্থান বদলাতে পারে। এই সংঘাত এখন শুধু দুই দেশের নয়, গোটা দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ।

Read more

Local News