অনুষ্কা শর্মা শিখছেন মেজাজ নিয়ন্ত্রণের কৌশল!
অনুষ্কা শর্মা শিখছেন মেজাজ নিয়ন্ত্রণের কৌশল “সামান্য কথাতেই চরম প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে ফেলতাম,” বললেন অনুষ্কা শর্মা। এমন আচরণ জীবনে অনেক বিড়ম্বনা ডেকে এনেছিল। সম্প্রতি নায়িকা সচেতনভাবে নিজেকে সংযত রাখার চেষ্টা করছেন।
মেজাজ না নিয়ন্ত্রণের কারণ
| কারণ | ব্যাখ্যা |
|---|---|
| মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণ কম | শিশুদের মধ্যে আবেগপ্রবণতা বেশি থাকে; বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি স্বাভাবিকভাবে নিয়ন্ত্রণে আসে |
| সংবেদনশীলতা ও হতাশা | ব্যক্তির সংবেদনশীল জায়গায় আঘাত, দৈনন্দিন হতাশা, অভিমান ও রাগ জমে থাকা |
| হরমোন ও মানসিক অবস্থা | হরমোন এবং নিরাপত্তার বোধ আচরণে প্রভাব ফেলে; সামান্য কথাতেও দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় |
মনোরোগ চিকিৎসক শর্মিলা সরকার এবং মনোবিজ্ঞানী মোহিত রণদীপ মনে করান, আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা শেখা সম্ভব, তবে তা সচেতন চেষ্টার মাধ্যমে হয়।
নিজেকে সংযত রাখার কৌশল
| কৌশল | উপকারিতা |
|---|---|
| প্রাণায়াম ও ধ্যান | মন শান্ত রাখে, আবেগ নিয়ন্ত্রণ সহজ হয় |
| ধৈর্যশীল মানসিকতা | হতাশা ও রাগ কমিয়ে সম্পর্ক সুস্থ রাখে |
| দূরত্ব নেওয়া | উত্তপ্ত মুহূর্তে জায়গা থেকে সরে গিয়ে পরিস্থিতি শান্তভাবে সামাল দেওয়া যায় |
| তৃতীয় ব্যক্তির সাহায্য | রাগ প্রকাশ করার আগে কাউকে বললে আবেগ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা হয় |
মোহিত রণদীপ বলেন, “উদ্বেগ বা হতাশা থাকলে আমরা দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখাই। নিজেকে বোঝানো গুরুত্বপূর্ণ—সব সময় চিৎকার করে কথা বলা সমাধান নয়। নিরন্তর চেষ্টার মাধ্যমে সংযম শেখা সম্ভব।”
দৈনন্দিন অভ্যাসে সংযম বৃদ্ধির টিপস
- প্রাতঃকালে ৫-১০ মিনিট ধ্যান করুন – মস্তিষ্ককে প্রস্তুত করে আবেগ নিয়ন্ত্রণে।
- শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম (প্রাণায়াম) – রাগ ও চাপ কমায়।
- লিখে রাখুন – রাগ বা হতাশা অনুভূতি লিখলে মন শান্ত হয়।
- তৃতীয় ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনা – উত্তপ্ত অবস্থায় সঠিক পরামর্শ পাওয়া সহজ হয়।
আরও পড়ুন:
- Technosports – মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শ
- Harvard Health – Managing Anger – আবেগ নিয়ন্ত্রণের বৈজ্ঞানিক কৌশল
উপসংহার
অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মার মতো আমাদের সবার জীবনে উদ্দীপনা বা ক্ষুদ্র কথাতেই রাগ দেখা দিতে পারে। তবে সচেতন চেষ্টার মাধ্যমে ধৈর্য, সংযম এবং মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করা সম্ভব। নিয়মিত ধ্যান, প্রাণায়াম ও আবেগ নিয়ন্ত্রণের অভ্যাস আমাদের দৈনন্দিন জীবনে শান্তি এবং সম্পর্কের স্থায়িত্ব এনে দিতে পারে।
আপনি চাইলে আমি এটিকে আরও SEO ফ্রেন্ডলি মেটা ট্যাগ ও হেডিং-সহ ভার্সন বানিয়ে দিতে পারি যা গুগলে দ্রুত র্যাংকিং বাড়াবে।

