Monday, December 1, 2025

ট্রাম্পের শুল্কে রাশিয়ায় চাপ, মোদীর ফোন পুতিনকে, ইউক্রেন ইস্যুতে জল্পনা

Share

ইউক্রেন ইস্যুতে জল্পনা

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের উপর যে বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছেন, তার প্রভাব ইতিমধ্যেই দেখা যাচ্ছে। নেটো প্রধান মার্ক রুটের দাবি, এই শুল্ক রাশিয়ার ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে। রুটের মতে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরাসরি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন এবং ইউক্রেন বিষয়ক অবস্থান জানতে চাইছেন।

নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের একটি বৈঠকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় মার্ক রুটে জানিয়েছেন, ‘‘ভারতের উপর ট্রাম্পের শুল্ক চাপানোর ফলে রাশিয়ার ওপর স্পষ্ট প্রভাব পড়ছে। মোদী পুতিনকে ফোন করছেন, ইউক্রেন নিয়ে বারবার প্রশ্ন করছেন।’’ এই মন্তব্য থেকে ধারণা করা যায়, শুল্কের চাপ কূটনৈতিক স্তরেও অনুভূত হচ্ছে।

ট্রাম্প ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন ভারতের উপর, যা রাশিয়া থেকে খনিজ তেল কেনার ‘শাস্তি’ হিসেবে ধরা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের যুক্তি, ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের ব্যয় ভারতীয় তেল কেনার অর্থ থেকে আসে। তবে নয়াদিল্লি এই দাবি খারিজ করেছে। কেন্দ্র জানিয়েছে, ভারতের বাণিজ্যনীতি আন্তর্জাতিক বাজারদর ও জাতীয় স্বার্থের ওপর ভিত্তি করে গঠিত হয়েছে। একই সঙ্গে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, অন্য দেশ রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে গেলেও তাদের উপর কেন এমন শুল্ক আরোপ হয়নি।

শুল্কের কারণে ভারত ও আমেরিকার সম্পর্ক কিছুটা তিক্ত হয়ে উঠেছিল। গত মাসে ট্রাম্প ভারতের সঙ্গে আলোচনার ইঙ্গিত দেন এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ‘বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেন। মোদীও বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিক্রিয়া দেন। তবে এখনও শুল্ক হ্রাস হয়নি, এবং এর প্রভাব দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে স্পষ্ট।

শুল্কের জেরে রাশিয়া এবং চীনের সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে। মোদী সম্প্রতি এসকো সম্মেলনে অংশ নিতে চীনে যান এবং সেখানে শি জিনপিং ও পুতিনের সঙ্গে আলাদা বৈঠকও হয়। শুল্কের বিষয়ে রাশিয়ার বিরোধিতা স্পষ্ট, এবং নেটো প্রধানের মন্তব্য অনুযায়ী, মোদী সেই চাপ কমাতে সরাসরি পুতিনের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।

মার্কিন শুল্কের ফলে দিল্লি রাশিয়ার নীতি ও অবস্থান নিয়ে আরও সতর্ক হচ্ছে। যদিও এখনও মোদী বা পুতিনের তরফ থেকে এই ফোন আলাপের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। তবে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে এটিকে নতুন করে জল্পনার জন্ম দিয়েছে।

সংক্ষেপে বলা যায়, ট্রাম্পের শুল্ক ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপকে ত্বরান্বিত করেছে। মোদী পুতিনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করছেন, যাতে ইউক্রেন ইস্যুতে পরিস্থিতি বুঝে সঠিক অবস্থান নেওয়া যায়। এই প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, কূটনৈতিক চাপ এবং ভূ-রাজনৈতিক সম্পর্ক—সবকিছুই সংযুক্ত হয়ে যাচ্ছে।

ব্যালকনির উপর উড়ালপুল! নাগপুরের সেতু স্মরণ করাচ্ছে ভোপালের ৯০ ডিগ্রি রেলসেতুর ঘটনার কথা

Read more

Local News