২০ বছর পরও মেনে চলেন সেই কথা
বলিউডের ‘কিং খান’ শুধু তাঁর অভিনয়ের জন্যই নয়, সহ-অভিনেতাদের প্রতি তাঁর আন্তরিকতা এবং পরামর্শের জন্যও সমান জনপ্রিয়। এমনই এক উপদেশ একসময় অমৃতা রাওয়ের জীবনকে বদলে দিয়েছিল সম্পূর্ণভাবে। প্রায় ২০ বছর আগে শাহরুখ খানের দেওয়া সেই কথাই আজও তাঁর কাজের মূলমন্ত্র হয়ে রয়েছে।
২০০৪ সালে ফারহা খানের প্রথম পরিচালিত ছবি ম্যাঁয় হুঁ না দিয়ে বলিউডে এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছিল অমৃতা রাওয়ের জীবনের। শাহরুখ খানের সঙ্গে পর্দা ভাগ করে নেওয়া সেই সিনেমা আজও দর্শকের মনে গেঁথে আছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অমৃতা স্মৃতিচারণা করে বলেন, “শাহরুখ শুধু সহ-অভিনেতা নন, তিনি ছিলেন আমার অনুপ্রেরণার উৎস। সেটে সবসময় আমাদের উত্সাহ দিতেন, বিশ্বাস জোগাতেন।”
ফারহার ছবির শুটিং চলাকালীন কিছু দিনের বিরতি এসেছিল। সেই ফাঁকে অন্য একটি ছবির কাজ করছিলেন শাহরুখ। ঠিক সেই সময়ই তিনি অমৃতা এবং তাঁর মাকে সেটে ডেকে পাঠান। সবার সামনে অমৃতার প্রশংসা করেন শাহরুখ এবং বলেন, তাঁর মধ্যে রয়েছে বড় তারকা হয়ে ওঠার সব যোগ্যতা।
কিন্তু শুধু প্রশংসাই নয়, অমৃতার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল শাহরুখের এক বিশেষ পরামর্শ। অমৃতার ভাষায়, “শাহরুখ আমাকে বলেছিলেন, জীবনে হয়তো ২০০টা সিনেমার প্রস্তাব আসবে, কিন্তু সেখান থেকে তোমাকে বেছে নিতে হবে মাত্র দু’টো। আর তার মধ্যে একটি এমন হতে হবে, যেটা দেখার জন্য দর্শক অপেক্ষা করবে।”
এই কথাটাই আজও অক্ষরে অক্ষরে মনে রেখেছেন অমৃতা। তিনি বলেন, “আজও আমি যখন কোনও ছবির প্রস্তাব পাই, তখন শাহরুখের সেই কথাই মাথায় ঘোরে। সেই কারণেই আমি সবসময় বেছে কাজ করি, শুধু সংখ্যার জন্য নয়, মানের জন্য।”
এই এক উপদেশই তাঁকে ভিড়ের মধ্যে আলাদা করে তুলেছে। বলিউডে যখন অধিকাংশ অভিনেত্রী দ্রুত অনেক সিনেমায় কাজ করার দিকে ঝুঁকে পড়েন, তখন অমৃতা বেছে নিয়েছেন ধীর, চিন্তাশীল পথ। খুব বেশি ছবি না করলেও, যেগুলি করেছেন সেগুলি তাঁকে দর্শকের মনে আলাদা জায়গা করে দিয়েছে।
২০ বছর আগের সেই সাক্ষাৎ আজও তাঁর কাছে অমূল্য। শাহরুখের চোখে নিজের সম্ভাবনার প্রতিফলন দেখে আত্মবিশ্বাস পেয়েছিলেন অমৃতা, যা তাঁকে আরও শক্তিশালী করেছে পেশাগতভাবে। সম্প্রতি অমৃতাকে দেখা গিয়েছে অক্ষয় কুমারের সঙ্গে জলি এলএলবি ৩ ছবিতে, যেখানে তাঁর অভিনয় ফের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
শাহরুখের একটিমাত্র উপদেশ যে কত বড় প্রভাব ফেলতে পারে, তার জীবন্ত প্রমাণ অমৃতা রাও। আজও তিনি বিশ্বাস করেন, তারকার আসন কেবল সংখ্যায় নয়, কাজের মানে নির্ধারিত হয়। আর সেই পথ দেখিয়েছিলেন বলিউডের ‘বাদশা’ শাহরুখ খান নিজে।
এই গল্প শুধুই এক নায়িকার জীবনের বাঁকবদলের কথা নয়, এটি শেখায় কিভাবে সঠিক সময়ে পাওয়া একটি সঠিক পরামর্শ সারা জীবনের দিশা হয়ে উঠতে পারে।
ব্যালকনির উপর উড়ালপুল! নাগপুরের সেতু স্মরণ করাচ্ছে ভোপালের ৯০ ডিগ্রি রেলসেতুর ঘটনার কথা

