Monday, December 1, 2025

আত্মবিশ্বাসের অভাবেই কি হারেছিলেন ঐশ্বর্যা? সুস্মিতার সামনে কেন পিছিয়ে গেলেন বিশ্বসুন্দরী

Share

আত্মবিশ্বাসের অভাবেই কি হারেছিলেন ঐশ্বর্যা?

শুধু সৌন্দর্যই নয়, ব্যক্তিত্ব ও কন্ঠের স্বরেও অনুরাগীদের মন জয় করেছেন ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ইংরেজিতে সাক্ষাৎকার দেওয়া থেকে শুরু করে, কথার স্বচ্ছন্দতা—সব দিকেই প্রশংসিত তার দক্ষতা। তবে, জানা গেছে, প্রথম দিকে ইংরেজিতে কথা বলার ক্ষেত্রে ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের আত্মবিশ্বাস কিছুটা কম ছিল।

সম্প্রতি পরিচালক প্রহ্লাদ কক্কড় এক সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে নানা কাহিনি শেয়ার করেছেন। তিনি জানান, সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার সময় ঐশ্বর্যার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন সুস্মিতা সেন। প্রশ্নোত্তর পর্বে ঐশ্বর্যার থেকে বেশি নম্বর পান সুস্মিতা। প্রহ্লাদ বলেন, ঐশ্বর্যার মধ্যে তখন আত্মবিশ্বাসের অভাব ছিল। সেই কারণে সুস্মিতার সামনে তিনি কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিলেন।

প্রহ্লাদ আরও জানান, ঐ সময় ঐশ্বর্যার কাছে ‘হিল’ পরা ছিল নতুন অভিজ্ঞতা। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য তাকে হিল তোলা জুতো পরতে হয়েছিল, যা প্রথমে তাকে বেশ অস্বস্তি দিত। উত্তর দেওয়ার সময় মনোযোগ ঠিকমতো কেন্দ্রীভূত করতে পারছিলেন না তিনি। বারবার কথা বলার চেষ্টা করলেও হোঁচট খাচ্ছিলেন।

তাঁর ভাষাগত কৌশলও তখন পুরোপুরি স্বাভাবিক ছিল না। প্রথমে নিজের মাতৃভাষায় উত্তর ভাবতেন, তারপর সেটি ইংরেজিতে অনুবাদ করার চেষ্টা করতেন। প্রহ্লাদ কক্কড়ের মতে, “কর্মজীবনের শুরুতে ইংরেজিতে স্বচ্ছন্দে কথা বলার আত্মবিশ্বাস ছিল না ঐশ্বর্যার। তুলু বা হিন্দি ভাষায় তিনি অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন। ইংরেজিতে তিনি কম কথা বলতে চাইতেন। অনেকেই তাই মনে করতেন, ও নাকউঁচু। তবে আসলে তিনি ভয় পেতেন—যদি সঠিকভাবে নিজের কথা বলতে না পারেন।”

প্রহ্লাদ আশা ব্যক্ত করেন, যে সময়ে ঐশ্বর্যা কিছুটা নীরব থাকতেন, তা তাঁর ভবিষ্যৎ উন্নতির পথে কোনো বাঁধা নয়। তিনি জানতেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঐশ্বর্যার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে। সত্যিই, অভিনেত্রী নীরব হলেও, ধীরে ধীরে নিজের দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাসকে আরও মজবুত করে তোলেন।

এ ঘটনা শুধু প্রতিযোগিতার মঞ্চের নয়, বরং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পাঠ। তা হলো—প্রথমে কিছুটা ভয় বা আত্মবিশ্বাসের অভাব স্বাভাবিক। তবে ধৈর্য ও পরিশ্রমের মাধ্যমে তা অতিক্রম করা যায়। ঐশ্বর্যার কাহিনি এটি প্রমাণ করে, যে কেউ নিজের সীমাবদ্ধতাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করলে, একদিন সে নিজের প্রতিভা পুরোপুরি ফুটিয়ে তুলতে পারে।

অতএব, সুস্মিতার সামনে হার পাওয়া ঐশ্বর্যার জন্য কেবল এক মুহূর্তের শিক্ষা ছিল। সেই অভিজ্ঞতা তাঁকে আরও দৃঢ়, আরও আত্মবিশ্বাসী ও আন্তর্জাতিক মঞ্চে কড়া উপস্থিতি দেখানোর যোগ্য করে তুলেছিল। আজকের দিনে ঐশ্বর্যার ইংরেজি দক্ষতা এবং আত্মবিশ্বাসকে দেখে মনে হয়, সেই ছোট্ট ভয় আর আত্মসঙ্কোচ একেবারেই নেই।

৭৫-এ উজ্জ্বল শাবানা আজ়মি: নাচে-গানে জন্মদিনের আসর, তারকাদের ভিড়

Read more

Local News