আমিরশাহিকে হারিয়ে সুপার ফোরে সলমনের পাকিস্তান
ক্রিকেট মানেই আবেগ, আর ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই অন্য মাত্রার উত্তেজনা। সেই উত্তেজনাই আবারও ফিরে আসছে এশিয়া কাপে। আগামী রবিবার ফের মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল। ঠিক এক সপ্তাহ আগে হ্যান্ডশেক নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল দুই শিবিরে। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের সূর্যকুমার যাদবদের চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত সলমন আলি আঘার পাকিস্তান।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহিকে ৪১ রানে হারিয়ে সুপার ফোরে জায়গা করে নিয়েছে পাকিস্তান। বুধবার নানা অনিশ্চয়তার পর অবশেষে মাঠে নেমে খেলে যায় দলটি। তবে জয়ের পথ খুব একটা কঠিন হয়নি সলমনদের জন্য। প্রথমে ব্যাট করে তারা তোলে ৯ উইকেটে ১৪৬ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আমিরশাহি গুটিয়ে যায় ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানে।
টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠান আমিরশাহির অধিনায়ক মহম্মদ ওয়াসিম। শুরুটা ছিল ভয়ঙ্কর খারাপ। ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান (৫) এবং সাইম আয়ুব (০) দ্রুত সাজঘরে ফেরেন। এর পর সলমন (২০), হাসান নওয়াজ (৩) এবং খুশদিল শাহ (৪) বিশেষ কিছু করতে পারেননি। এক সময়ে ৯৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান।
সেই সময় ভরসা জুগিয়েছিলেন ফখর জামান। তিন নম্বরে নেমে তিনি ৩৬ বলে অর্ধশতরান করেন। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ২টি চার ও ৩টি ছক্কা। শেষে ঝড়ো ব্যাটিং করে দলকে লড়াই করার মতো জায়গায় নিয়ে যান শাহিন আফ্রিদি। ১০ নম্বরে নেমে মাত্র ১৪ বলে অপরাজিত ২৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তাঁর ব্যাটে ছিল ৩টি চার ও ২টি ছক্কা। এছাড়া মহম্মদ হ্যারিসের ব্যাট থেকে আসে ১৮ রান।
আমিরশাহির হয়ে সবচেয়ে সফল ছিলেন জেনেইদ সিদ্দিকি, যিনি মাত্র ১৮ রানে ৪ উইকেট নেন। সিমরণজিৎ সিংও নজর কাড়েন, তিনি তুলে নেন ৩টি উইকেট ১৬ রানে। ধ্রুব পরাশর ১টি উইকেট নেন ৩৩ রানে।
১৪৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই বিপর্যয়ে পড়ে আমিরশাহি। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে ম্যাচে ফিরতে পারেনি তারা। আলিশান শারাফু (১২), ওয়াসিম (১৪), মহম্মদ জোহাইব (৪) ব্যর্থ হন। এরপর কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করেন ধ্রুব পরাশর ও রাহুল চোপড়া। পরাশর ২৩ বলে ২০ রান করেন, আর চোপড়া খেলেন লড়াকু ৩৫ বলে ৩৫ রানের ইনিংস, যেখানে ছিল ১টি চার ও ১টি ছয়। কিন্তু তাঁদের জুটি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। শেষদিকে ধসে পড়ে পুরো দল। ইনিংসের শেষ ১৭ বলে ৬ উইকেট হারিয়ে তারা শেষ পর্যন্ত ১০৫ রানে থামে।
পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে শাহিন আফ্রিদি ছিলেন সেরা। ব্যাট হাতে যেমন ঝড় তুলেছেন, তেমনই বল হাতে ১৬ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন। পাশাপাশি ১৯ রানে ২ উইকেট পেয়েছেন হারিস রউফ, ১৩ রানে ২ উইকেট নেন আবরার আহমেদ। সলমনও ৯ রানে একটি উইকেট পান।
দুবাইয়ের ম্যাচে একদিকে রেফারিদের সঙ্গে সমঝোতা করে আইসিসি তদন্তের সুর কিছুটা নরম করেছে, অন্যদিকে পাকিস্তানের দাপটই স্পষ্ট করেছে যে তারা প্রস্তুত রবিবারের মহারণের জন্য। ব্যাট ও বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন শাহিন আফ্রিদি।
সব মিলিয়ে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগে এই জয় বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে পাকিস্তানকে। এখন ক্রিকেটপ্রেমীদের অপেক্ষা, রবিবার ২২ গজে আবারও ইতিহাসের সাক্ষী হওয়ার।
ওড়িশায় ব্যবসায়ীর বাড়িতে ইডির তল্লাশি, ১৩৯৬ কোটির প্রতারণা মামলায় উদ্ধার কোটি টাকার সম্পদ

